সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭ Specific Relief Act 1877

0

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার:

বাদী আরজিতে যে প্রতিকার প্রার্থনা আদালত যদি তাকে সেই প্রতিকার প্রদান করে তাকে বলা হয় সুনির্দিষ্ট প্রতিকার।

অথবা
চুক্তি ভঙ্গকারীকে চুক্তি মোতাবেক কাজ করতে বাধ্য করাকেই বুঝায় সুনির্দিষ্ট প্রতিকার বা সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন।

প্রকারভেদ:
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার ২ প্রকার। যথা:
১) আইনগত প্রতিকার
২) ন্যায়পর প্রতিকার

উৎপত্তি:
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের উৎপত্তি ইকুইটি আইন থেকে।

ক্ষেত্রসমূহ:
সম্পত্তি, পদবী, অধিকার এর ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন কার্য সম্পাদন করে থাকে।

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের কিছু তথ্য:
প্রকাশকাল : ৭ই ফেব্রুয়ারী ১৮৭৭
কার্যকর    : ১লা মে ১৮৭৭
সর্বশেষ সংশোধন : ১লা মে ২০০৪ (২৭ নং আইন)
সর্বশেষ সংশোধন কার্যকর : ১লা জুলাই ২০০৫
প্রকৃতি : দেওয়ানী প্রকৃতির
আইনের ধরণ : মূল আইন
প্রস্তাবনা : ১টি
খন্ড : ৩টি
অধ্যায় : ১০টি
ধারা : ৫৭টি

মূল আইন:
যে আইনে অধিকার এবং প্রতিকারের বিধান আছে তাকে বলে মূল আইন।

ধারা ১:
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম।

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭
(Specific Relief Act 1877)
আরম্ভ : ১লা মে ১৮৭৭ সাল থেকে
আওতা : সমগ্র বাংলাদেশ

ধারা ৩:
ব্যাখ্যা

বাধ্যবাধকতা জিম্মা জিম্মাদার

ধারা ৪:
সংরক্ষণ

ধারা ৫:
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার ৫ ভাবে প্রদান করা যায়
ক) দখল গ্রহণ ও অর্পণ
খ) আদেশমূলক প্রতিকার
গ) নিষেধমূলক প্রতিকার
ঘ) ঘোষণামূলক প্রতিকার
ঙ) রিসিভার নিয়োগ

ধারা ৬:
নিরোধক প্রতিকার/নিবারণমূলক প্রতিকার/প্রতিরোধমূলক প্রতিকার/নিষেধমূলক প্রতিকার

ধারা ৭:
দন্ডমূলক বা ফৌজদারী বিষয়ে কোনো প্রতিকার এই আইন মঞ্জুর করে না।

দন্ডমূলক আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে আদালত সুনির্দিষ্ট প্রতিকার মঞ্জুর করবে না। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন কোনো দন্ডমূলক আইন নয়। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ফৌজদারী কোনো বিষয়ে আলোচনা করে না।

ধারা ৮:
মালিক কর্তৃক স্থাবর সম্পত্তির দখল পুনরুদ্ধার।
১।  ৮ ধারার মোকদ্দমায় সর্বপ্রথম প্রমানের বিষয় বা দেখার বিষয় হলো "মালিকানা"
২।  তামাদি আইনের প্রথম তফসিলের ১৪২ ও ১৪৪ অনুচ্ছেদ মোতাবেক ১২ বছরের মধ্যে মোকদ্দমা দায়ের করতে হবে।
৩। মোকদ্দমা দায়েরের পূর্বে ১২ বছরের মধ্যে বাদীকে ১ দিনের জন্য হলে দখলে থাকতে হবে।
৪। মূল্যানুপাতিক কোর্ট ফি প্রদান করে মোকদ্দমা দায়ের করতে হবে।
৫। এই ধারায় সরকারসহ যেকোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে মোকদ্দমা দায়ের কোরিয়া যায়।
৬। আদালত স্থাপনা ভাঙার আদেশ দিতে পারেন।
৭। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আপীল বা রিভিউ করতে পারে।
৮। ডিক্রী জারির মাধ্যমে আদালত ডিক্রী কার্যকর করতে পারেন।

কোর্ট ফি :
কোর্ট ফী প্রধানত ২ প্রকার। যথা:
১) নির্ধারিত
২) মূল্যানুপাতিক

ধারা ৯
বে আইনীভাবে দখলচ্যুত ব্যক্তি কর্তৃক দখল পুনরুদ্ধার

ধারা ১০
অস্থাবর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার।

ধারা ১১

ধারা ১২
যেসকল ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার মঞ্জুর করা হয়।

নিম্নের ৪ টি ক্ষেত্রে আদালত সুনির্দিষ্ট প্রতিকার মঞ্জুর করবেন।

ক) যেক্ষেত্রে চুক্তিটি জিম্মার অন্তর্ভুক্ত 
খ) যেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ নির্ণয়ের মাপকাঠি নাই
গ) আর্থিক ক্ষতিপূরণের আপর্যাপ্ততা
ঘ) আর্থিক ক্ষতিপূরণের অনিশ্চয়তা

ধারা ১৩
যেক্ষেত্রে আংশিক ক্ষতিপূরণ সম্ভব।

চুক্তিটি ধারা ১৪, ১৫, ১৬ এর আওতায় পড়লে আংশিক ক্ষতিপূরণ সম্ভব।

ধারা ১৪
যেক্ষেত্রে চুক্তির অসম্পাদিত অংশ ছোট।

ধারা ১৫
যেক্ষেত্রে চুক্তির অসম্পাদিত অংশ বড়।

ধারা ১৬
যেক্ষেত্রে চুক্তির অসম্পাদিত অংশ স্বতন্ত্র।

ধারা ১৭
চুক্তিটি ধারা ১৪, ১৫, ১৬ এর আওতায় না পড়লে আংশিক ক্ষতিপূরণ অসম্ভব।

ধারা ১৮
ত্রুটিপূর্ণ বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতার পরবর্তী অধিকার।

ধারা ১৯
ক্ষতিপূরণ প্রদানের ক্ষমতা।

ধারা ২১
যেসকল ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার মঞ্জুর হবে না।

নিম্নলিখিত ৮ টি ক্ষেত্রে আদালত সুনির্দিষ্ট প্রতিকার মঞ্জুর করবেন না।
ক) যেক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পর্যাপ্ত।
খ) ব্যক্তিগত দক্ষতা ও যোগ্যতার চুক্তি।
গ) চুক্তির শর্তাবলী নির্ণয়ে অসমর্থ হলে।
ঘ) বাতিলযোগ্য চুক্তি।
ঙ) ক্ষমতা বহির্ভুত জিম্মা চুক্তি।
চ) কোম্পানির পরিচালক বা উদ্যোক্তা কর্তৃক ক্ষমতা বহির্ভুত চুক্তি
ছ) বাস্তবায়নে ৩ বছরের বেশি সময় লাগলে।
জ) চুক্তির বিষয়বস্তু বিলুপ্ত হলে।

ধারা ২১ক
অরেজিস্ট্রিকৃত ও অলিখিত কিক্রয় চুক্তি কার্যকর করা যাবে না।

ধারা ২২
সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের আদেশ প্রদান আদালতের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা।

ধারা ২৩
যেসকল ব্যক্তি সুনির্দিষ্ট প্রতিকার পেতে পারে।

ধারা ২৪
যেসকল ব্যক্তি সুনির্দিষ্ট প্রতিকার পেতে পারে না।

ধারা ২৬
যেক্ষেত্রে পরিবর্তন ছাড়া সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন সম্ভব নয়।

ধারা ২৭
যার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন সম্ভব।

ধারা ২৮
যার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন সম্ভব নয়।

ধারা ২৯
জারির পর ক্ষতিপুরণের মোকদ্দমা দায়েরে বাধা

ধারা ৩১
দলিল সংশোধন।

ধারা ৩৫
চুক্তি বাতিল।

ধারা ৩৯
দলিল বাতিল।

ধারা ৪২
ঘোষণামুলক ডিক্রী।

ধারা ৪৩
ডিক্রীর ফলাফল।

ধারা ৪৪
রিসিভার নিয়োগ।

ধারা ৫২
নিষেধাজ্ঞা

ধারা ৫৩
অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা।

ধারা ৫৪
চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা।

নিম্নলিখিত ৫টি ক্ষেত্রে আদালত চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করবেন।
ক) দখল গ্রহণ ও অর্পণ
খ) আদেশমূলক
গ) নিষেধমূল
ঘ) ঘোষণামূল
) মামলার বহুতা রোধের উদ্দ্যেশ্যে। 

ধারা ৫৬
যেসকল ক্ষেত্রে আদালত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যান/নামঞ্জুর করবেন।

নিম্নলিখিত ১১ টি ক্ষেত্রে আদালত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যান/নামঞ্জুর করবেন।
ক) বিচারবিভাগীয় কার্যধারা স্থগিত রাখার জন্য যদি না মামলার বহুতা রোধে প্রয়োজন হয়।
খ)
গ)
ঘ)
ঙ)


ধারা ৫৭
নেতিবাচক চুক্তি আদালত মঞ্জুর করবেন না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !
To Top