আমরা যারা আইনজীবী (এডভোকেট) তাঁরা আইনপেশায় নিয়োজিত, অন্য কিছু নয় (In the profession of law, not in the business of justice)। এইক্ষেত্রে সাম্প্রতিক এই সিনেমার নাম উল্লেখ্য- "Section 375"।
তো ড. মল্লিকের বইয়ে মি. আর্থার টি ভ্যাণ্ডারবিলের একটি নিবন্ধ আছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি। তাঁর মতে আইনজীবীদের কাজ পাঁচ রকমঃ
(১) তিনি একজন বিচক্ষণ পরামর্শক (Counselor)। যিনি মানুষের জীবন-ঘনিষ্ঠ নানা বিষয়ে নিঃস্বার্থভাবে যথাযথ উপদেশ দিবেন।
(২) তিনি একজন দক্ষ আইনজীবী (Advocate) যিনি কাউকে বিচারের মুখোমুখি দাড় করানো এবং তার আত্মপক্ষ সমর্থন- যে ভূমিকায়ই থাকুন না কেন সেই ক্ষেত্রে সফল। তা বিচারিক বা আপীল যে পর্যায়েই হোক।
(৩) একজন প্রকৃত আইনজীবী একদিকে যেমন একজন ব্যাক্তি, অন্যদিকে আবার তাঁর পেশার বৃহত্তর পরিবারের সদস্য; তাঁর প্রধানতম লক্ষ্য হবে নিজ পেশা, আদালত ও আইনের উৎকর্ষ সাধনে ভূমিকা রাখা।
(৪) তিনি জনমত গঠনে একজন বোদ্ধা (Intelligent) হিসেবে ও নিঃস্বার্থভাবে নেতৃত্ব দিবেন।
(৫) দেশের তথা জনগনের কোন বৃহত্তর স্বার্থে ভূমিকা রাখার ও সেবা করার সুযোগ এলে তাতে সাড়া দেওয়া। উল্লেখ্য, যে আইনজীবীর পেশাগত চিন্তা তাঁর নিজস্ব ক্ল্যায়েন্টকে কেন্দ্র করে শুরু ও শেষ হয় তা কোন মহৎ পেশা হতে পারেনা।
৯৪)কেরাণী বা চাকর কতৃক অপরাধ মূলক বিস্বাশ ভঙ্গের শাস্তি
(ক) দন্ডবিধির ৪০৫ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪০৬ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪০৭ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪০৮ ধারায়
উত্তর : (ঘ)
৯৫)সরকারী কর্মচারী বা ব্যাংকার কতৃক অপরাধ মূলক বিস্বাশ ভঙ্গের শাস্তি
(ক) দন্ডবিধির ৪০৬ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪০৭ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪০৮ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪০৯ ধারায়
উত্তর : (ঘ)
৯৬)প্রতারনার সংগা দন্ডবিধির কত ধারায় আছে ? -
(ক) ৪২০
(খ) ৪১৬
(গ) ৪১৫
(ঘ) ৪০৬
উত্তর : (গ)
৯৭)অপরের রুপ ধারনা পূর্বক প্রতারনার শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪১৫ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪১৬ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪১৭ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪২০ ধারায়
উত্তর : (খ)
৯৮)প্রতারনার শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪১৫ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪১৬ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪১৭ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪২০ ধারায়
উত্তর : (গ)
৯৯)প্রতারনা ও সস্পত্তি সমর্পন করার জন্য অসাধুভাবে প্রবৃত্ত করার শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪১৫ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪১৬ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪১৭ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪২০ ধারায়
উত্তর : (ঘ)
১০০)অনিষ্টের শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪২৫ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪২৬ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪২৭ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪২৮ ধারায়
উত্তর : (খ)
১০১)অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশের শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৪৭ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৪৮ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৪৯ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৫০ ধারায়
উত্তর : (ক)
১০২)অনধিকার গৃহেপ্রবেশের শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৪৭ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৪৮ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৪৯ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৫০ ধারায়
উত্তর : (খ)
১০৩)সঙ্গোপনে অনধিকার গৃহেপ্রবেশ বা অপথে গৃহেপ্রবেশের শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৫২ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৫৩ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৫৪ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৫৬ ধারায়
উত্তর : (খ)
১০৪)রাত্রিকালে সঙ্গোপনে অনধিকার গৃহেপ্রবেশ বা অপথে গৃহেপ্রবেশের শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৫২ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৫৩ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৫৪ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৫৬ ধারায়
উত্তর : (ঘ)
১০৫)জালিয়াতির শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৬০ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৬৫ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৬৬ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৬৭ ধারায়
উত্তর : (খ)
১০৬)‘ক’ অভিযোগ করে যে তার ভাই ‘খ’ একটি সাদা কাগজে তার পিতার সই নকল করেছে ।দন্ডবিধি অনুসারে এটা কোন অপরাধ -(৩০.০৩.২০১২ )
(ক) জালিয়াতি
(খ) অপরাধ জনক বিশ্বাস ভঙ্গ
(গ) প্রতারনা
(ঘ) কোনটাই নয়
উত্তর : (ক)
১০৭)আদালতের নীথপত্র বা সরকারী রেজিস্ট্রার ইত্যাদি জালকরনের শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৬০ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৬৫ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৬৬ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৬৭ ধারায়
উত্তর : (গ)
১০৮) মূল্যবান জামানত উইল ইত্যাদি জালকরনের শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৬০ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৬৫ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৬৬ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৬৭ ধারায়
উত্তর : (ঘ)
১০৯)প্রতারনা করার উদ্যেশ্যে জালিয়াতির শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৬৬ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৬৭ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৬৮ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৬৯ ধারায়
উত্তর : (গ)
১১০) মানহানির উদ্যেশ্যে জালিয়াতির শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৬৬ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৬৭ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৬৮ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৬৯ ধারায়
উত্তর : (ঘ)
১১১) জাল দলিলকরনের শাস্তি
(ক) দন্ডবিধির ৪৬৮ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৬৯ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৭০ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৭১ ধারায়
উত্তর : (গ)
**. স্বামী বা স্ত্রীর জীবদ্দশায় পুনরায় বিবাহ করনের শাস্তি
(ক) দন্ডবিধির ৪৯৩ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৯৪ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৯৫ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৯৬ ধারায়
উত্তর : (খ)
**. মানহানির সংগা রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৯৯ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৫০০ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৫০১ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৫০২ ধারায়
উত্তর : (ক)
**. মানহানির শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৯৯ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৫০০ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৫০১ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৫০২ ধারায়
উত্তর : (খ)
**. অপরাধ মূলক ভীতি প্রদর্শনের শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৫০৫ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৫০৬ ধারায়
গণহত্যা বলতে নির্দিষ্ট একটি ভৌগোলিক অংশে একযোগে বা অপেক্ষাকৃত অল্প সময়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ হত্যা করাকে বোঝায়।
১৯৭১ বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের পরে পড়ে থাকা বুদ্ধিজীবীদের লাশ
গণহত্যা জাতিগত, বর্ণগত, ধর্মীয় বা নৃতত্ত্বীয় গোষ্ঠী হিসাবে বিবেচিত মানুষজনকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার ইচ্ছাকৃত কার্য। 'গণ'-এর অর্থ গোষ্ঠী এবং 'হত্যা'র অর্থ সংহার। অর্থাৎ গণহত্যা হলো কোনো গোষ্ঠীভুক্ত মানুষজনকে মেরে ফেলা। ইংরেজি প্রতিশব্দ জেনোসাইডের উৎসও একই। এটি গ্রিক জেনোস, অর্থাৎ মানুষ বা বর্ণ থেকে এবং সাইড অর্থাৎ মারা থেকে এসেছে। সেহেতু জেনোসাইডের বা গণহত্যার অর্থ "জাতীয়, নৃগোষ্ঠীয়, বর্ণগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণরূপে বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে করা কার্য"।
এফবিআই এর মতে, গণহত্যা হল সেই হত্যাকাণ্ড যখন কোন একটা ঘটনায় চার বা তার অধিক সংখ্যক মানুষ মারা যায় এবং হত্যাকাণ্ডের মাঝে কোন বিরতি থাকে না। গণহত্যা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট স্থানে ঘটে, যেখানে এক বা একাধিক মানুষ অন্যদের মেরে ফেলে। অনেক গণহত্যার শেষে হত্যাকারী আত্মহত্যা করে অথবা পুলিশের হাতে নিহত হয়।
বর্তমান পর্যন্ত বেশ কিছু গণহত্যার ঘটনা দেখা গিয়েছে। ইহুদীদের হত্যার সময়ে জেনোসাইড শব্দ প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল। পরবর্তীকালে, গ্রীক গণহত্যা, আর্মেনীয় গণহত্যা, এশিরিয়ান গণহত্যা, ইউক্রেনীয় গণহত্যা, বাংলাদেশ গণহত্যা, কম্বোডীয় গণহত্যা, গুয়াতেমালান গণহত্যা, কুর্দীয় গণহত্যা, বসনীয় গণহত্যা, রোবণ্ডন গণহত্যা ইত্যাদি বিভিন্ন ঘটনা খবরে এসেছে।
ইতিহাসে গণহত্যা
সোভিয়েত নগ্ন যুদ্ধবন্দি গণহত্যা—। "৩.৩ মিলিয়নের হত্যা হওয়া সোভিয়েত যুদ্ধবন্দি এখনো পর্যন্ত কম জ্ঞাত আধুনিক গণহত্যাসমূহের অন্যতম; এযাবৎ এর ওপরে কোনো পূর্ণ দৈর্ঘ্যের গ্রন্থ নেই।"Adam Jones
গণহত্যার ধারণা অতীতের বহু ঘটনায় প্রযোজ্য গণ্য করা হয়েছে। সিপিপিসিজির মতে, "ইতিহাসের প্রতিটি কালে গণহত্যা মানবতার জন্য বৃহৎ ক্ষতি সাধন করেছে।"
অনেক দেশে গণহত্যাকে স্বীকৃতি প্রদান করা বা না করা অবৈধ। যেমন, কখনো ইউরোপীয় দেশে ইহুদীদের গণহত্যা এবং আর্মেনীয় গণহত্যাকে মিথ্যা আখ্যা দেওয়া নিষেধ। অন্যদিকে, তুরস্কে আর্মেনীয়দের, গ্রীকদের, এশিরীয়দের এবং মেরোনাইটদের গোষ্ঠীগত হত্যাকে গণহত্যা বলা আর্টিকেল ৩০১ অনুযায়ী দণ্ডনীয়।
উইলিয়াম রুবিনস্টাইনের মতে, প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পরে শাসনের অভিজাত ধরন লোপ পাওয়ার পরই বিংশ শতকের গণহত্যাসমূহের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
৩১৯ থেকে শুরু করে ৩৩৮ক পর্যন্ত ধারা গুলো আঘাত সম্পর্কিত। যাহা ধারাবাহিক ভাবে নিচে আলোচনা করা হলোঃ
৩১৯ ধারায় আঘাত এবং ৩২০ ধারায় গুরুতর আঘাত এর সংঙ্গা প্রদান করা হয়েছে।
৩২০ ধারাতে ৮ টি বিষয় কে উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলো গুরুতর আঘাত হিসাবে চিহ্নিত।এই ৮ টি বিষয়ের মধ্যে ৮ নাম্বার বিষয় টিতে বলা হয়েছে যে,এমন কোন আঘাত যা জীবন সংশয় সৃষ্টি করে বা যাতে আহত ব্যাক্তি ২০ দিন পর্যন্ত প্রচন্ড দৈহিক যন্ত্রণা ভোগ করে বা সাধারণ কাজকর্ম করতে অপরাগ হয়।এই ক্ষেত্রেও তা গুরুতর আঘাত হিসাবে চিহ্নিত হবে।
[৩২১+৩২৩],৩২১ ধারাতে ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত দানের সংঙ্গা এবং ৩২৩ এ শাস্তি উল্লেখ করা হয়েছে। যাহার মেয়াদ ১ বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে অথবা ১ হাজার টাকা পরিমাণ অর্থ দন্ডে অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
[৩২২+৩২৫],৩২২ ধারাতে ইচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাত এর সংঙ্গা এবং ৩২৫ ধারাতে সাজা উল্লেখ করা হয়েছে। যাহার মেয়াদ ৭ বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থ দণ্ডেও দন্ডিত হবে।
৩২৪,ধারায় স্বেচ্ছাকৃতভাবে মারাত্মক অস্ত্র কর্তৃক বা বিপদজনক উপায়ে আঘাত করা। একই ধারাতে শাস্তিও উল্লেখ করা হয়েছে। যাহার মেয়াদ ৩ বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে বা অর্থ দন্ডে অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
৩২৬,ধারায় সেচ্ছাকৃতভাবে মারাত্মক অস্ত্র দ্বারা বা বিপদজনক উপায়ে গুরুতর আঘাত করা। একই ধারাতে শাস্তিও উল্লেখ করা হয়েছে। যাহার মেয়াদ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা ১০ বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থ দন্ডেও দন্ডিত হবে।
৩২৬ক,ধারায় সেচ্ছাকৃতভাবে দুইটি চোখ উপড়ে বা এসিড জাতীয় পদার্থ দ্বারা চোখ দুইটির দৃষ্টি নষ্টকরণ বা মুখমণ্ডল বা মস্তক এসিড দ্বারা বিকৃতিকরণ।যাহার শাস্তি উল্লেখ করা হয়েছে মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে এবং অর্থ দন্ডে দন্ডিত করা হবে।
**[বর্তমানে এই ধরনের কোন অপরাধ সংঘটিত হলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ধারা ৪ অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়]
দণ্ডবিধি ১৮৬০ সালের ৪৫ নং আইন।
দণ্ডবিধি একটি মূলআইন বা substantive law.সুতরাং এই আইনে অপরাধ সংগঠনের বিভিন্ন উপাদান, শাস্তির পরিমান ইত্যাদি উল্লেখ করা হলেও সেগুলো বিচারের পদ্ধতি দেওয়া হয় নি।দণ্ডবিধির অধীন কোন অপরাধ সংগঠিত হলে তার বিচার হবে ফৌর্যদারী কার্যবিধি,১৮৯৮ অনুযায়ী।
১৮৩৪ সালের প্রথম আইন কমিশনের চ্যেয়ারম্যান থমাস ব্যবিংটন ম্যাকলে পেনাল কোড এর খসরা তৈরী করেন।
দণ্ডবিধি কার্যকর হয় ১লা জানুয়ারি ১৮৬২ সালে।
দণ্ডবিধিতে মোট অধ্যায় আছে ২৩ টি।মূল দণ্ডবিধিতে ধারা ছিল ৪৮৮ টি।বর্তমানে দণ্ডবিধিতে ৫১১ টি ধারা আছে।
দণ্ডবিধি সর্বশেষ সংশোধন হয় ২০০৪ সালে।
দণ্ডবিধি অনুযায়ী সর্বনিম্ন সাজা ২৪ ঘন্টা কারাদণ্ড,১০ টাকা অর্থ দণ্ড বা উভয়।
দণ্ডবিধির মোট ১০ টি ধারাতে মৃত্যুদন্ডের কথা উল্লেখ আছে। এই ১০ টি ধারা হলো- ১২১,১৩২,১৯৪,৩০২,৩০৩,৩০৫,৩০৭,৩২৬ক,৩৬৪ক,৩৯৬।
৯৪)কেরাণী বা চাকর কতৃক অপরাধ মূলক বিস্বাশ ভঙ্গের শাস্তি
(ক) দন্ডবিধির ৪০৫ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪০৬ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪০৭ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪০৮ ধারায়
উত্তর : (ঘ)
৯৫)সরকারী কর্মচারী বা ব্যাংকার কতৃক অপরাধ মূলক বিস্বাশ ভঙ্গের শাস্তি
(ক) দন্ডবিধির ৪০৬ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪০৭ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪০৮ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪০৯ ধারায়
উত্তর : (ঘ)
৯৬)প্রতারনার সংগা দন্ডবিধির কত ধারায় আছে ? -
(ক) ৪২০
(খ) ৪১৬
(গ) ৪১৫
(ঘ) ৪০৬
উত্তর : (গ)
৯৭)অপরের রুপ ধারনা পূর্বক প্রতারনার শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪১৫ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪১৬ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪১৭ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪২০ ধারায়
উত্তর : (খ)
৯৮)প্রতারনার শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪১৫ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪১৬ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪১৭ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪২০ ধারায়
উত্তর : (গ)
৯৯)প্রতারনা ও সস্পত্তি সমর্পন করার জন্য অসাধুভাবে প্রবৃত্ত করার শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪১৫ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪১৬ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪১৭ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪২০ ধারায়
উত্তর : (ঘ)
১০০)অনিষ্টের শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪২৫ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪২৬ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪২৭ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪২৮ ধারায়
উত্তর : (খ)
১০১)অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশের শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৪৭ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৪৮ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৪৯ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৫০ ধারায়
উত্তর : (ক)
১০২)অনধিকার গৃহেপ্রবেশের শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৪৭ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৪৮ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৪৯ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৫০ ধারায়
উত্তর : (খ)
১০৩)সঙ্গোপনে অনধিকার গৃহেপ্রবেশ বা অপথে গৃহেপ্রবেশের শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৫২ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৫৩ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৫৪ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৫৬ ধারায়
উত্তর : (খ)
১০৪)রাত্রিকালে সঙ্গোপনে অনধিকার গৃহেপ্রবেশ বা অপথে গৃহেপ্রবেশের শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৫২ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৫৩ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৫৪ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৫৬ ধারায়
উত্তর : (ঘ)
১০৫)জালিয়াতির শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৬০ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৬৫ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৬৬ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৬৭ ধারায়
উত্তর : (খ)
১০৬)‘ক’ অভিযোগ করে যে তার ভাই ‘খ’ একটি সাদা কাগজে তার পিতার সই নকল করেছে ।দন্ডবিধি অনুসারে এটা কোন অপরাধ -(৩০.০৩.২০১২ )
(ক) জালিয়াতি
(খ) অপরাধ জনক বিশ্বাস ভঙ্গ
(গ) প্রতারনা
(ঘ) কোনটাই নয়
উত্তর : (ক)
১০৭)আদালতের নীথপত্র বা সরকারী রেজিস্ট্রার ইত্যাদি জালকরনের শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৬০ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৬৫ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৬৬ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৬৭ ধারায়
উত্তর : (গ)
১০৮) মূল্যবান জামানত উইল ইত্যাদি জালকরনের শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৬০ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৬৫ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৬৬ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৬৭ ধারায়
উত্তর : (ঘ)
১০৯)প্রতারনা করার উদ্যেশ্যে জালিয়াতির শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৬৬ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৬৭ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৬৮ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৬৯ ধারায়
উত্তর : (গ)
১১০) মানহানির উদ্যেশ্যে জালিয়াতির শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৬৬ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৬৭ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৬৮ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৬৯ ধারায়
উত্তর : (ঘ)
১১১) জাল দলিলকরনের শাস্তি
(ক) দন্ডবিধির ৪৬৮ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৬৯ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৭০ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৭১ ধারায়
উত্তর : (গ)
**. স্বামী বা স্ত্রীর জীবদ্দশায় পুনরায় বিবাহ করনের শাস্তি
(ক) দন্ডবিধির ৪৯৩ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৯৪ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৯৫ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৯৬ ধারায়
উত্তর : (খ)
**. মানহানির সংগা রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৯৯ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৫০০ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৫০১ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৫০২ ধারায়
উত্তর : (ক)
**. মানহানির শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৯৯ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৫০০ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৫০১ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৫০২ ধারায়
উত্তর : (খ)
**. অপরাধ মূলক ভীতি প্রদর্শনের শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৫০৫ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৫০৬ ধারায়
গণহত্যা বলতে নির্দিষ্ট একটি ভৌগোলিক অংশে একযোগে বা অপেক্ষাকৃত অল্প সময়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ হত্যা করাকে বোঝায়।
১৯৭১ বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের পরে পড়ে থাকা বুদ্ধিজীবীদের লাশ
গণহত্যা জাতিগত, বর্ণগত, ধর্মীয় বা নৃতত্ত্বীয় গোষ্ঠী হিসাবে বিবেচিত মানুষজনকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার ইচ্ছাকৃত কার্য। 'গণ'-এর অর্থ গোষ্ঠী এবং 'হত্যা'র অর্থ সংহার। অর্থাৎ গণহত্যা হলো কোনো গোষ্ঠীভুক্ত মানুষজনকে মেরে ফেলা। ইংরেজি প্রতিশব্দ জেনোসাইডের উৎসও একই। এটি গ্রিক জেনোস, অর্থাৎ মানুষ বা বর্ণ থেকে এবং সাইড অর্থাৎ মারা থেকে এসেছে। সেহেতু জেনোসাইডের বা গণহত্যার অর্থ "জাতীয়, নৃগোষ্ঠীয়, বর্ণগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণরূপে বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে করা কার্য"।
এফবিআই এর মতে, গণহত্যা হল সেই হত্যাকাণ্ড যখন কোন একটা ঘটনায় চার বা তার অধিক সংখ্যক মানুষ মারা যায় এবং হত্যাকাণ্ডের মাঝে কোন বিরতি থাকে না। গণহত্যা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট স্থানে ঘটে, যেখানে এক বা একাধিক মানুষ অন্যদের মেরে ফেলে। অনেক গণহত্যার শেষে হত্যাকারী আত্মহত্যা করে অথবা পুলিশের হাতে নিহত হয়।
বর্তমান পর্যন্ত বেশ কিছু গণহত্যার ঘটনা দেখা গিয়েছে। ইহুদীদের হত্যার সময়ে জেনোসাইড শব্দ প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল। পরবর্তীকালে, গ্রীক গণহত্যা, আর্মেনীয় গণহত্যা, এশিরিয়ান গণহত্যা, ইউক্রেনীয় গণহত্যা, বাংলাদেশ গণহত্যা, কম্বোডীয় গণহত্যা, গুয়াতেমালান গণহত্যা, কুর্দীয় গণহত্যা, বসনীয় গণহত্যা, রোবণ্ডন গণহত্যা ইত্যাদি বিভিন্ন ঘটনা খবরে এসেছে।
ইতিহাসে গণহত্যা
সোভিয়েত নগ্ন যুদ্ধবন্দি গণহত্যা—। "৩.৩ মিলিয়নের হত্যা হওয়া সোভিয়েত যুদ্ধবন্দি এখনো পর্যন্ত কম জ্ঞাত আধুনিক গণহত্যাসমূহের অন্যতম; এযাবৎ এর ওপরে কোনো পূর্ণ দৈর্ঘ্যের গ্রন্থ নেই।"Adam Jones
গণহত্যার ধারণা অতীতের বহু ঘটনায় প্রযোজ্য গণ্য করা হয়েছে। সিপিপিসিজির মতে, "ইতিহাসের প্রতিটি কালে গণহত্যা মানবতার জন্য বৃহৎ ক্ষতি সাধন করেছে।"
অনেক দেশে গণহত্যাকে স্বীকৃতি প্রদান করা বা না করা অবৈধ। যেমন, কখনো ইউরোপীয় দেশে ইহুদীদের গণহত্যা এবং আর্মেনীয় গণহত্যাকে মিথ্যা আখ্যা দেওয়া নিষেধ। অন্যদিকে, তুরস্কে আর্মেনীয়দের, গ্রীকদের, এশিরীয়দের এবং মেরোনাইটদের গোষ্ঠীগত হত্যাকে গণহত্যা বলা আর্টিকেল ৩০১ অনুযায়ী দণ্ডনীয়।
উইলিয়াম রুবিনস্টাইনের মতে, প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পরে শাসনের অভিজাত ধরন লোপ পাওয়ার পরই বিংশ শতকের গণহত্যাসমূহের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
৩১৯ থেকে শুরু করে ৩৩৮ক পর্যন্ত ধারা গুলো আঘাত সম্পর্কিত। যাহা ধারাবাহিক ভাবে নিচে আলোচনা করা হলোঃ
৩১৯ ধারায় আঘাত এবং ৩২০ ধারায় গুরুতর আঘাত এর সংঙ্গা প্রদান করা হয়েছে।
৩২০ ধারাতে ৮ টি বিষয় কে উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলো গুরুতর আঘাত হিসাবে চিহ্নিত।এই ৮ টি বিষয়ের মধ্যে ৮ নাম্বার বিষয় টিতে বলা হয়েছে যে,এমন কোন আঘাত যা জীবন সংশয় সৃষ্টি করে বা যাতে আহত ব্যাক্তি ২০ দিন পর্যন্ত প্রচন্ড দৈহিক যন্ত্রণা ভোগ করে বা সাধারণ কাজকর্ম করতে অপরাগ হয়।এই ক্ষেত্রেও তা গুরুতর আঘাত হিসাবে চিহ্নিত হবে।
[৩২১+৩২৩],৩২১ ধারাতে ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত দানের সংঙ্গা এবং ৩২৩ এ শাস্তি উল্লেখ করা হয়েছে। যাহার মেয়াদ ১ বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে অথবা ১ হাজার টাকা পরিমাণ অর্থ দন্ডে অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
[৩২২+৩২৫],৩২২ ধারাতে ইচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাত এর সংঙ্গা এবং ৩২৫ ধারাতে সাজা উল্লেখ করা হয়েছে। যাহার মেয়াদ ৭ বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থ দণ্ডেও দন্ডিত হবে।
৩২৪,ধারায় স্বেচ্ছাকৃতভাবে মারাত্মক অস্ত্র কর্তৃক বা বিপদজনক উপায়ে আঘাত করা। একই ধারাতে শাস্তিও উল্লেখ করা হয়েছে। যাহার মেয়াদ ৩ বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে বা অর্থ দন্ডে অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
৩২৬,ধারায় সেচ্ছাকৃতভাবে মারাত্মক অস্ত্র দ্বারা বা বিপদজনক উপায়ে গুরুতর আঘাত করা। একই ধারাতে শাস্তিও উল্লেখ করা হয়েছে। যাহার মেয়াদ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা ১০ বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থ দন্ডেও দন্ডিত হবে।
৩২৬ক,ধারায় সেচ্ছাকৃতভাবে দুইটি চোখ উপড়ে বা এসিড জাতীয় পদার্থ দ্বারা চোখ দুইটির দৃষ্টি নষ্টকরণ বা মুখমণ্ডল বা মস্তক এসিড দ্বারা বিকৃতিকরণ।যাহার শাস্তি উল্লেখ করা হয়েছে মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে এবং অর্থ দন্ডে দন্ডিত করা হবে।
**[বর্তমানে এই ধরনের কোন অপরাধ সংঘটিত হলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ধারা ৪ অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়]
দণ্ডবিধি ১৮৬০ সালের ৪৫ নং আইন।
দণ্ডবিধি একটি মূলআইন বা substantive law.সুতরাং এই আইনে অপরাধ সংগঠনের বিভিন্ন উপাদান, শাস্তির পরিমান ইত্যাদি উল্লেখ করা হলেও সেগুলো বিচারের পদ্ধতি দেওয়া হয় নি।দণ্ডবিধির অধীন কোন অপরাধ সংগঠিত হলে তার বিচার হবে ফৌর্যদারী কার্যবিধি,১৮৯৮ অনুযায়ী।
১৮৩৪ সালের প্রথম আইন কমিশনের চ্যেয়ারম্যান থমাস ব্যবিংটন ম্যাকলে পেনাল কোড এর খসরা তৈরী করেন।
দণ্ডবিধি কার্যকর হয় ১লা জানুয়ারি ১৮৬২ সালে।
দণ্ডবিধিতে মোট অধ্যায় আছে ২৩ টি।মূল দণ্ডবিধিতে ধারা ছিল ৪৮৮ টি।বর্তমানে দণ্ডবিধিতে ৫১১ টি ধারা আছে।
দণ্ডবিধি সর্বশেষ সংশোধন হয় ২০০৪ সালে।
দণ্ডবিধি অনুযায়ী সর্বনিম্ন সাজা ২৪ ঘন্টা কারাদণ্ড,১০ টাকা অর্থ দণ্ড বা উভয়।
দণ্ডবিধির মোট ১০ টি ধারাতে মৃত্যুদন্ডের কথা উল্লেখ আছে। এই ১০ টি ধারা হলো- ১২১,১৩২,১৯৪,৩০২,৩০৩,৩০৫,৩০৭,৩২৬ক,৩৬৪ক,৩৯৬।
৯৪)কেরাণী বা চাকর কতৃক অপরাধ মূলক বিস্বাশ ভঙ্গের শাস্তি
(ক) দন্ডবিধির ৪০৫ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪০৬ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪০৭ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪০৮ ধারায়
উত্তর : (ঘ)
৯৫)সরকারী কর্মচারী বা ব্যাংকার কতৃক অপরাধ মূলক বিস্বাশ ভঙ্গের শাস্তি
(ক) দন্ডবিধির ৪০৬ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪০৭ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪০৮ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪০৯ ধারায়
উত্তর : (ঘ)
৯৬)প্রতারনার সংগা দন্ডবিধির কত ধারায় আছে ? -
(ক) ৪২০
(খ) ৪১৬
(গ) ৪১৫
(ঘ) ৪০৬
উত্তর : (গ)
৯৭)অপরের রুপ ধারনা পূর্বক প্রতারনার শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪১৫ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪১৬ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪১৭ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪২০ ধারায়
উত্তর : (খ)
৯৮)প্রতারনার শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪১৫ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪১৬ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪১৭ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪২০ ধারায়
উত্তর : (গ)
৯৯)প্রতারনা ও সস্পত্তি সমর্পন করার জন্য অসাধুভাবে প্রবৃত্ত করার শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪১৫ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪১৬ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪১৭ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪২০ ধারায়
উত্তর : (ঘ)
১০০)অনিষ্টের শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪২৫ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪২৬ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪২৭ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪২৮ ধারায়
উত্তর : (খ)
১০১)অপরাধমূলক অনধিকার প্রবেশের শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৪৭ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৪৮ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৪৯ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৫০ ধারায়
উত্তর : (ক)
১০২)অনধিকার গৃহেপ্রবেশের শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৪৭ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৪৮ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৪৯ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৫০ ধারায়
উত্তর : (খ)
১০৩)সঙ্গোপনে অনধিকার গৃহেপ্রবেশ বা অপথে গৃহেপ্রবেশের শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৫২ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৫৩ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৫৪ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৫৬ ধারায়
উত্তর : (খ)
১০৪)রাত্রিকালে সঙ্গোপনে অনধিকার গৃহেপ্রবেশ বা অপথে গৃহেপ্রবেশের শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৫২ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৫৩ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৫৪ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৫৬ ধারায়
উত্তর : (ঘ)
১০৫)জালিয়াতির শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৬০ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৬৫ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৬৬ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৬৭ ধারায়
উত্তর : (খ)
১০৬)‘ক’ অভিযোগ করে যে তার ভাই ‘খ’ একটি সাদা কাগজে তার পিতার সই নকল করেছে ।দন্ডবিধি অনুসারে এটা কোন অপরাধ -(৩০.০৩.২০১২ )
(ক) জালিয়াতি
(খ) অপরাধ জনক বিশ্বাস ভঙ্গ
(গ) প্রতারনা
(ঘ) কোনটাই নয়
উত্তর : (ক)
১০৭)আদালতের নীথপত্র বা সরকারী রেজিস্ট্রার ইত্যাদি জালকরনের শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৬০ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৬৫ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৬৬ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৬৭ ধারায়
উত্তর : (গ)
১০৮) মূল্যবান জামানত উইল ইত্যাদি জালকরনের শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৬০ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৬৫ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৬৬ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৬৭ ধারায়
উত্তর : (ঘ)
১০৯)প্রতারনা করার উদ্যেশ্যে জালিয়াতির শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৬৬ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৬৭ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৬৮ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৬৯ ধারায়
উত্তর : (গ)
১১০) মানহানির উদ্যেশ্যে জালিয়াতির শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৬৬ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৬৭ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৬৮ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৬৯ ধারায়
উত্তর : (ঘ)
১১১) জাল দলিলকরনের শাস্তি
(ক) দন্ডবিধির ৪৬৮ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৬৯ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৭০ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৭১ ধারায়
উত্তর : (গ)
**. স্বামী বা স্ত্রীর জীবদ্দশায় পুনরায় বিবাহ করনের শাস্তি
(ক) দন্ডবিধির ৪৯৩ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৪৯৪ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৪৯৫ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৪৯৬ ধারায়
উত্তর : (খ)
**. মানহানির সংগা রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৯৯ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৫০০ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৫০১ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৫০২ ধারায়
উত্তর : (ক)
**. মানহানির শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৪৯৯ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৫০০ ধারায়
(গ) দন্ডবিধির ৫০১ ধারায়
(ঘ) দন্ডবিধির ৫০২ ধারায়
উত্তর : (খ)
**. অপরাধ মূলক ভীতি প্রদর্শনের শাস্তি রয়েছে
(ক) দন্ডবিধির ৫০৫ ধারায়
(খ) দন্ডবিধির ৫০৬ ধারায়
গণহত্যা বলতে নির্দিষ্ট একটি ভৌগোলিক অংশে একযোগে বা অপেক্ষাকৃত অল্প সময়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ হত্যা করাকে বোঝায়।
১৯৭১ বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের পরে পড়ে থাকা বুদ্ধিজীবীদের লাশ
গণহত্যা জাতিগত, বর্ণগত, ধর্মীয় বা নৃতত্ত্বীয় গোষ্ঠী হিসাবে বিবেচিত মানুষজনকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার ইচ্ছাকৃত কার্য। 'গণ'-এর অর্থ গোষ্ঠী এবং 'হত্যা'র অর্থ সংহার। অর্থাৎ গণহত্যা হলো কোনো গোষ্ঠীভুক্ত মানুষজনকে মেরে ফেলা। ইংরেজি প্রতিশব্দ জেনোসাইডের উৎসও একই। এটি গ্রিক জেনোস, অর্থাৎ মানুষ বা বর্ণ থেকে এবং সাইড অর্থাৎ মারা থেকে এসেছে। সেহেতু জেনোসাইডের বা গণহত্যার অর্থ "জাতীয়, নৃগোষ্ঠীয়, বর্ণগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণরূপে বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে করা কার্য"।
এফবিআই এর মতে, গণহত্যা হল সেই হত্যাকাণ্ড যখন কোন একটা ঘটনায় চার বা তার অধিক সংখ্যক মানুষ মারা যায় এবং হত্যাকাণ্ডের মাঝে কোন বিরতি থাকে না। গণহত্যা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট স্থানে ঘটে, যেখানে এক বা একাধিক মানুষ অন্যদের মেরে ফেলে। অনেক গণহত্যার শেষে হত্যাকারী আত্মহত্যা করে অথবা পুলিশের হাতে নিহত হয়।
বর্তমান পর্যন্ত বেশ কিছু গণহত্যার ঘটনা দেখা গিয়েছে। ইহুদীদের হত্যার সময়ে জেনোসাইড শব্দ প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল। পরবর্তীকালে, গ্রীক গণহত্যা, আর্মেনীয় গণহত্যা, এশিরিয়ান গণহত্যা, ইউক্রেনীয় গণহত্যা, বাংলাদেশ গণহত্যা, কম্বোডীয় গণহত্যা, গুয়াতেমালান গণহত্যা, কুর্দীয় গণহত্যা, বসনীয় গণহত্যা, রোবণ্ডন গণহত্যা ইত্যাদি বিভিন্ন ঘটনা খবরে এসেছে।
ইতিহাসে গণহত্যা
সোভিয়েত নগ্ন যুদ্ধবন্দি গণহত্যা—। "৩.৩ মিলিয়নের হত্যা হওয়া সোভিয়েত যুদ্ধবন্দি এখনো পর্যন্ত কম জ্ঞাত আধুনিক গণহত্যাসমূহের অন্যতম; এযাবৎ এর ওপরে কোনো পূর্ণ দৈর্ঘ্যের গ্রন্থ নেই।"Adam Jones
গণহত্যার ধারণা অতীতের বহু ঘটনায় প্রযোজ্য গণ্য করা হয়েছে। সিপিপিসিজির মতে, "ইতিহাসের প্রতিটি কালে গণহত্যা মানবতার জন্য বৃহৎ ক্ষতি সাধন করেছে।"
অনেক দেশে গণহত্যাকে স্বীকৃতি প্রদান করা বা না করা অবৈধ। যেমন, কখনো ইউরোপীয় দেশে ইহুদীদের গণহত্যা এবং আর্মেনীয় গণহত্যাকে মিথ্যা আখ্যা দেওয়া নিষেধ। অন্যদিকে, তুরস্কে আর্মেনীয়দের, গ্রীকদের, এশিরীয়দের এবং মেরোনাইটদের গোষ্ঠীগত হত্যাকে গণহত্যা বলা আর্টিকেল ৩০১ অনুযায়ী দণ্ডনীয়।
উইলিয়াম রুবিনস্টাইনের মতে, প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পরে শাসনের অভিজাত ধরন লোপ পাওয়ার পরই বিংশ শতকের গণহত্যাসমূহের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
৩১৯ থেকে শুরু করে ৩৩৮ক পর্যন্ত ধারা গুলো আঘাত সম্পর্কিত। যাহা ধারাবাহিক ভাবে নিচে আলোচনা করা হলোঃ
৩১৯ ধারায় আঘাত এবং ৩২০ ধারায় গুরুতর আঘাত এর সংঙ্গা প্রদান করা হয়েছে।
৩২০ ধারাতে ৮ টি বিষয় কে উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলো গুরুতর আঘাত হিসাবে চিহ্নিত।এই ৮ টি বিষয়ের মধ্যে ৮ নাম্বার বিষয় টিতে বলা হয়েছে যে,এমন কোন আঘাত যা জীবন সংশয় সৃষ্টি করে বা যাতে আহত ব্যাক্তি ২০ দিন পর্যন্ত প্রচন্ড দৈহিক যন্ত্রণা ভোগ করে বা সাধারণ কাজকর্ম করতে অপরাগ হয়।এই ক্ষেত্রেও তা গুরুতর আঘাত হিসাবে চিহ্নিত হবে।
[৩২১+৩২৩],৩২১ ধারাতে ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত দানের সংঙ্গা এবং ৩২৩ এ শাস্তি উল্লেখ করা হয়েছে। যাহার মেয়াদ ১ বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে অথবা ১ হাজার টাকা পরিমাণ অর্থ দন্ডে অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
[৩২২+৩২৫],৩২২ ধারাতে ইচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাত এর সংঙ্গা এবং ৩২৫ ধারাতে সাজা উল্লেখ করা হয়েছে। যাহার মেয়াদ ৭ বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থ দণ্ডেও দন্ডিত হবে।
৩২৪,ধারায় স্বেচ্ছাকৃতভাবে মারাত্মক অস্ত্র কর্তৃক বা বিপদজনক উপায়ে আঘাত করা। একই ধারাতে শাস্তিও উল্লেখ করা হয়েছে। যাহার মেয়াদ ৩ বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে বা অর্থ দন্ডে অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
৩২৬,ধারায় সেচ্ছাকৃতভাবে মারাত্মক অস্ত্র দ্বারা বা বিপদজনক উপায়ে গুরুতর আঘাত করা। একই ধারাতে শাস্তিও উল্লেখ করা হয়েছে। যাহার মেয়াদ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা ১০ বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ডে দণ্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থ দন্ডেও দন্ডিত হবে।
৩২৬ক,ধারায় সেচ্ছাকৃতভাবে দুইটি চোখ উপড়ে বা এসিড জাতীয় পদার্থ দ্বারা চোখ দুইটির দৃষ্টি নষ্টকরণ বা মুখমণ্ডল বা মস্তক এসিড দ্বারা বিকৃতিকরণ।যাহার শাস্তি উল্লেখ করা হয়েছে মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে এবং অর্থ দন্ডে দন্ডিত করা হবে।
**[বর্তমানে এই ধরনের কোন অপরাধ সংঘটিত হলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ধারা ৪ অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়]
দণ্ডবিধি ১৮৬০ সালের ৪৫ নং আইন।
দণ্ডবিধি একটি মূলআইন বা substantive law.সুতরাং এই আইনে অপরাধ সংগঠনের বিভিন্ন উপাদান, শাস্তির পরিমান ইত্যাদি উল্লেখ করা হলেও সেগুলো বিচারের পদ্ধতি দেওয়া হয় নি।দণ্ডবিধির অধীন কোন অপরাধ সংগঠিত হলে তার বিচার হবে ফৌর্যদারী কার্যবিধি,১৮৯৮ অনুযায়ী।
১৮৩৪ সালের প্রথম আইন কমিশনের চ্যেয়ারম্যান থমাস ব্যবিংটন ম্যাকলে পেনাল কোড এর খসরা তৈরী করেন।
দণ্ডবিধি কার্যকর হয় ১লা জানুয়ারি ১৮৬২ সালে।
দণ্ডবিধিতে মোট অধ্যায় আছে ২৩ টি।মূল দণ্ডবিধিতে ধারা ছিল ৪৮৮ টি।বর্তমানে দণ্ডবিধিতে ৫১১ টি ধারা আছে।
দণ্ডবিধি সর্বশেষ সংশোধন হয় ২০০৪ সালে।
দণ্ডবিধি অনুযায়ী সর্বনিম্ন সাজা ২৪ ঘন্টা কারাদণ্ড,১০ টাকা অর্থ দণ্ড বা উভয়।
দণ্ডবিধির মোট ১০ টি ধারাতে মৃত্যুদন্ডের কথা উল্লেখ আছে। এই ১০ টি ধারা হলো- ১২১,১৩২,১৯৪,৩০২,৩০৩,৩০৫,৩০৭,৩২৬ক,৩৬৪ক,৩৯৬।