আমরা যারা আইনজীবী (এডভোকেট) তাঁরা আইনপেশায় নিয়োজিত, অন্য কিছু নয় (In the profession of law, not in the business of justice)। এইক্ষেত্রে সাম্প্রতিক এই সিনেমার নাম উল্লেখ্য- "Section 375"।
তো ড. মল্লিকের বইয়ে মি. আর্থার টি ভ্যাণ্ডারবিলের একটি নিবন্ধ আছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি। তাঁর মতে আইনজীবীদের কাজ পাঁচ রকমঃ
(১) তিনি একজন বিচক্ষণ পরামর্শক (Counselor)। যিনি মানুষের জীবন-ঘনিষ্ঠ নানা বিষয়ে নিঃস্বার্থভাবে যথাযথ উপদেশ দিবেন।
(২) তিনি একজন দক্ষ আইনজীবী (Advocate) যিনি কাউকে বিচারের মুখোমুখি দাড় করানো এবং তার আত্মপক্ষ সমর্থন- যে ভূমিকায়ই থাকুন না কেন সেই ক্ষেত্রে সফল। তা বিচারিক বা আপীল যে পর্যায়েই হোক।
(৩) একজন প্রকৃত আইনজীবী একদিকে যেমন একজন ব্যাক্তি, অন্যদিকে আবার তাঁর পেশার বৃহত্তর পরিবারের সদস্য; তাঁর প্রধানতম লক্ষ্য হবে নিজ পেশা, আদালত ও আইনের উৎকর্ষ সাধনে ভূমিকা রাখা।
(৪) তিনি জনমত গঠনে একজন বোদ্ধা (Intelligent) হিসেবে ও নিঃস্বার্থভাবে নেতৃত্ব দিবেন।
(৫) দেশের তথা জনগনের কোন বৃহত্তর স্বার্থে ভূমিকা রাখার ও সেবা করার সুযোগ এলে তাতে সাড়া দেওয়া। উল্লেখ্য, যে আইনজীবীর পেশাগত চিন্তা তাঁর নিজস্ব ক্ল্যায়েন্টকে কেন্দ্র করে শুরু ও শেষ হয় তা কোন মহৎ পেশা হতে পারেনা।
Trade Mark লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Trade Mark লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত স্বত্বাধিকারী বা ব্যবহারকারী না হওয়া সত্ত্বেও অন্য কোন নিবন্ধিত ট্রেডমার্কের সহিত সাদৃশ্যপূর্ণ বা সাদৃশ্যমূলক কোন ট্রেডমার্ক প্রতারণামূলকভাবে অথবা স্বতন্ত্রভাবে নিজ পণ্যে বা সেবায় ব্যবহার করে তখন তা লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে।
বাংলাদেশে প্রচলিত ট্রেডমার্ক আইন, ২০০৯ এবং দণ্ডবিধি, ১৮৬০ অধীন এরূপ লঙ্ঘনের দায়ে দেওয়ানী এবং ফৌজদারি প্রতিকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, অনিবন্ধিত ট্রেডমার্কের প্রতিকার আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে খুবই সীমিত।
"ফৌজদারি অপরাধ ও প্রতিকারঃ-
মিথ্যা ট্রেডমার্ক বা ট্রেড বর্ণনা ব্যবহার, ট্রেডমার্ক নকল করা ও ট্রেডমার্ক নকল করার যন্ত্র দখলে রাখা ইত্যাদির বিষয়ে দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৪৮২, ৪৮৩ এবং ৪৮৫ ধারার অপরাধ যার শাস্তি হলো সর্বোচ্চ দুই বছর এবং সর্বনিম্ন ছয় মাসের কারাদণ্ড সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ দুই লক্ষ এবং সর্বনিম্ন পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড।
ট্রেডমার্ক আইন ২০০৯ এর ৭৩ ধারা অনুসারে যদি কোন ব্যক্তি কোন ট্রেডমার্ককে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেন, কোন পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে ট্রেডমার্ক মিথ্যাভাবে ব্যবহার করেন অথবা করিবার উদ্দেশ্যে কোন যন্ত্র দখলে রাখেন অথবা মিথ্যা পরিচয় বহন করেন তা হইলে শাস্তি হলো সর্বোচ্চ দুই বছর এবং সর্বনিম্ন ছয় মাসের কারাদণ্ড সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ দুই লক্ষ এবং সর্বনিম্ন পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড। দ্বিতীয়বার একই অপরাধ সংঘটিত হইলে সর্বোচ্চ তিন বছর এবং সর্বনিম্ন এক বছর কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা এবং সর্বনিম্ন পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডেরও বিধান রয়েছে।
দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৪৮৬ ও ৪৮৭ ধারা এবং ট্রেডমার্ক আইন, ২০০৯-এর ৭৪ ধারা অনুসারে মিথ্যা মার্ক বা বর্ণনা যুক্ত পণ্য বিক্রি করা, এক ধরনের পণ্যের মোড়কে অন্য ধরনের পণ্য প্যাকেট করা দণ্ডনীয় অপরাধ। অপরাধ একই হলেও শাস্তির ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে। ট্রেডমার্ক আইনে প্রথমবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ২ বছর এবং সর্বনিম্ন ৬ মাসের কারাদণ্ড সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের ব্যবস্থা রয়েছে কিন্তু দণ্ডবিধিতে ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
ট্রেডমার্ক আইন ২০০৯ এর অপর ফৌজদারি প্রকৃতির অপরাধের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৭৬,৭৭ এবং ৭৮ এর অধীনে সংঘটিত অপরাধ। এইসব ধারার অপরাধ, যেমন অনিবন্ধিত ট্রেডমার্ককে নিবন্ধিত বলে প্রচার করা, নিবন্ধন বইতে মিথ্যা তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা বা করার চেষ্টা ইত্যাদি ক্ষেত্রে নিবন্ধক বা তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট অপরাধ আমলে নিতে পারবেন।
"দেওয়ানী প্রতিকারঃ-
ট্রেডমার্ক আইন ২০০৯ এর ৯৬ ধারার অধীনে কোন নিবন্ধিত ট্রেডমার্কের লঙ্ঘন, নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক সংশ্লিষ্ট কোন অধিকার, নিবন্ধিত ট্রেডমার্কের সংশোধিত কোন অধিকার, এবং সাদৃশ্যপূর্ণ বা প্রতারণামূলকভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ কোন ট্রেডমার্ক নিবন্ধিত হউক বা না হউক চালাইয়া দেয়া হইলে যে কেউই জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করতে পারবেন। এই ধারায় নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের প্রতিকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
"মামলা দায়েরের পদ্ধতিঃ-
ফৌজদারি অপরাধে ক্ষেত্রে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অথবা ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে।
আবার ট্রেডমার্ক আইনের ৯৬ ধারার বিধানের ক্ষেত্রে এবং নিষেধাজ্ঞা, ঘোষণামূলক প্রতিকার ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই জেলা জজ আদালতে মামলা করতে হবে। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে যেমন, নিবন্ধন বহি (রেজিস্ট্রি বই সংশোধনের) বা নিবন্ধন বাতিলের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন করতে হবে।
কিন্তু, প্রচলিত প্রথা অনুসারে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করাও যায়, এক্ষেত্রে মামলা দায়েরের পূর্বেই প্রতিকার (লঙ্ঘন বন্ধ) পাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। তবে মামলা দায়েরের পূর্বে গোপন অনুসন্ধান করে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা জরুরী।
"মামলা দায়েরের সময়সীমাঃ-
ট্রেডমার্ক আইনের ৮৬ ধারার বিধান অনুসারে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার ৩ বছর অথবা বাদী কর্তৃক তথ্য উদঘাটিত হইবার অনধিক দুই বছরের মধ্যে (যা আগে ঘটে) মামলা দায়ের করতে হবে। দণ্ডবিধির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান প্রযোজ্য।
"আপিলের বিধানঃ-
ট্রেডমার্ক আইন, ২০০৯ অধীনে নিবন্ধক (রেজিস্টার) এবং জেলা জজ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত যে কোনও আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে হবে হাইকোর্ট বিভাগে। আপিলের সময় দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮-এর বিধি-বিধান প্রযোজ্য হবে। অপরদিকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রদত্ত কোনও আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর সকল বিধি-বিধান প্রযোজ্য হবে।
যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত স্বত্বাধিকারী বা ব্যবহারকারী না হওয়া সত্ত্বেও অন্য কোন নিবন্ধিত ট্রেডমার্কের সহিত সাদৃশ্যপূর্ণ বা সাদৃশ্যমূলক কোন ট্রেডমার্ক প্রতারণামূলকভাবে অথবা স্বতন্ত্রভাবে নিজ পণ্যে বা সেবায় ব্যবহার করে তখন তা লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে।
বাংলাদেশে প্রচলিত ট্রেডমার্ক আইন, ২০০৯ এবং দণ্ডবিধি, ১৮৬০ অধীন এরূপ লঙ্ঘনের দায়ে দেওয়ানী এবং ফৌজদারি প্রতিকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, অনিবন্ধিত ট্রেডমার্কের প্রতিকার আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে খুবই সীমিত।
"ফৌজদারি অপরাধ ও প্রতিকারঃ-
মিথ্যা ট্রেডমার্ক বা ট্রেড বর্ণনা ব্যবহার, ট্রেডমার্ক নকল করা ও ট্রেডমার্ক নকল করার যন্ত্র দখলে রাখা ইত্যাদির বিষয়ে দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৪৮২, ৪৮৩ এবং ৪৮৫ ধারার অপরাধ যার শাস্তি হলো সর্বোচ্চ দুই বছর এবং সর্বনিম্ন ছয় মাসের কারাদণ্ড সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ দুই লক্ষ এবং সর্বনিম্ন পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড।
ট্রেডমার্ক আইন ২০০৯ এর ৭৩ ধারা অনুসারে যদি কোন ব্যক্তি কোন ট্রেডমার্ককে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেন, কোন পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে ট্রেডমার্ক মিথ্যাভাবে ব্যবহার করেন অথবা করিবার উদ্দেশ্যে কোন যন্ত্র দখলে রাখেন অথবা মিথ্যা পরিচয় বহন করেন তা হইলে শাস্তি হলো সর্বোচ্চ দুই বছর এবং সর্বনিম্ন ছয় মাসের কারাদণ্ড সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ দুই লক্ষ এবং সর্বনিম্ন পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড। দ্বিতীয়বার একই অপরাধ সংঘটিত হইলে সর্বোচ্চ তিন বছর এবং সর্বনিম্ন এক বছর কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা এবং সর্বনিম্ন পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডেরও বিধান রয়েছে।
দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৪৮৬ ও ৪৮৭ ধারা এবং ট্রেডমার্ক আইন, ২০০৯-এর ৭৪ ধারা অনুসারে মিথ্যা মার্ক বা বর্ণনা যুক্ত পণ্য বিক্রি করা, এক ধরনের পণ্যের মোড়কে অন্য ধরনের পণ্য প্যাকেট করা দণ্ডনীয় অপরাধ। অপরাধ একই হলেও শাস্তির ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে। ট্রেডমার্ক আইনে প্রথমবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ২ বছর এবং সর্বনিম্ন ৬ মাসের কারাদণ্ড সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের ব্যবস্থা রয়েছে কিন্তু দণ্ডবিধিতে ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
ট্রেডমার্ক আইন ২০০৯ এর অপর ফৌজদারি প্রকৃতির অপরাধের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৭৬,৭৭ এবং ৭৮ এর অধীনে সংঘটিত অপরাধ। এইসব ধারার অপরাধ, যেমন অনিবন্ধিত ট্রেডমার্ককে নিবন্ধিত বলে প্রচার করা, নিবন্ধন বইতে মিথ্যা তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা বা করার চেষ্টা ইত্যাদি ক্ষেত্রে নিবন্ধক বা তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট অপরাধ আমলে নিতে পারবেন।
"দেওয়ানী প্রতিকারঃ-
ট্রেডমার্ক আইন ২০০৯ এর ৯৬ ধারার অধীনে কোন নিবন্ধিত ট্রেডমার্কের লঙ্ঘন, নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক সংশ্লিষ্ট কোন অধিকার, নিবন্ধিত ট্রেডমার্কের সংশোধিত কোন অধিকার, এবং সাদৃশ্যপূর্ণ বা প্রতারণামূলকভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ কোন ট্রেডমার্ক নিবন্ধিত হউক বা না হউক চালাইয়া দেয়া হইলে যে কেউই জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করতে পারবেন। এই ধারায় নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের প্রতিকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
"মামলা দায়েরের পদ্ধতিঃ-
ফৌজদারি অপরাধে ক্ষেত্রে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অথবা ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে।
আবার ট্রেডমার্ক আইনের ৯৬ ধারার বিধানের ক্ষেত্রে এবং নিষেধাজ্ঞা, ঘোষণামূলক প্রতিকার ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই জেলা জজ আদালতে মামলা করতে হবে। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে যেমন, নিবন্ধন বহি (রেজিস্ট্রি বই সংশোধনের) বা নিবন্ধন বাতিলের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন করতে হবে।
কিন্তু, প্রচলিত প্রথা অনুসারে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করাও যায়, এক্ষেত্রে মামলা দায়েরের পূর্বেই প্রতিকার (লঙ্ঘন বন্ধ) পাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। তবে মামলা দায়েরের পূর্বে গোপন অনুসন্ধান করে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা জরুরী।
"মামলা দায়েরের সময়সীমাঃ-
ট্রেডমার্ক আইনের ৮৬ ধারার বিধান অনুসারে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার ৩ বছর অথবা বাদী কর্তৃক তথ্য উদঘাটিত হইবার অনধিক দুই বছরের মধ্যে (যা আগে ঘটে) মামলা দায়ের করতে হবে। দণ্ডবিধির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান প্রযোজ্য।
"আপিলের বিধানঃ-
ট্রেডমার্ক আইন, ২০০৯ অধীনে নিবন্ধক (রেজিস্টার) এবং জেলা জজ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত যে কোনও আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে হবে হাইকোর্ট বিভাগে। আপিলের সময় দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮-এর বিধি-বিধান প্রযোজ্য হবে। অপরদিকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রদত্ত কোনও আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর সকল বিধি-বিধান প্রযোজ্য হবে।
যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত স্বত্বাধিকারী বা ব্যবহারকারী না হওয়া সত্ত্বেও অন্য কোন নিবন্ধিত ট্রেডমার্কের সহিত সাদৃশ্যপূর্ণ বা সাদৃশ্যমূলক কোন ট্রেডমার্ক প্রতারণামূলকভাবে অথবা স্বতন্ত্রভাবে নিজ পণ্যে বা সেবায় ব্যবহার করে তখন তা লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে।
বাংলাদেশে প্রচলিত ট্রেডমার্ক আইন, ২০০৯ এবং দণ্ডবিধি, ১৮৬০ অধীন এরূপ লঙ্ঘনের দায়ে দেওয়ানী এবং ফৌজদারি প্রতিকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, অনিবন্ধিত ট্রেডমার্কের প্রতিকার আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে খুবই সীমিত।
"ফৌজদারি অপরাধ ও প্রতিকারঃ-
মিথ্যা ট্রেডমার্ক বা ট্রেড বর্ণনা ব্যবহার, ট্রেডমার্ক নকল করা ও ট্রেডমার্ক নকল করার যন্ত্র দখলে রাখা ইত্যাদির বিষয়ে দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৪৮২, ৪৮৩ এবং ৪৮৫ ধারার অপরাধ যার শাস্তি হলো সর্বোচ্চ দুই বছর এবং সর্বনিম্ন ছয় মাসের কারাদণ্ড সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ দুই লক্ষ এবং সর্বনিম্ন পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড।
ট্রেডমার্ক আইন ২০০৯ এর ৭৩ ধারা অনুসারে যদি কোন ব্যক্তি কোন ট্রেডমার্ককে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেন, কোন পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে ট্রেডমার্ক মিথ্যাভাবে ব্যবহার করেন অথবা করিবার উদ্দেশ্যে কোন যন্ত্র দখলে রাখেন অথবা মিথ্যা পরিচয় বহন করেন তা হইলে শাস্তি হলো সর্বোচ্চ দুই বছর এবং সর্বনিম্ন ছয় মাসের কারাদণ্ড সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ দুই লক্ষ এবং সর্বনিম্ন পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড। দ্বিতীয়বার একই অপরাধ সংঘটিত হইলে সর্বোচ্চ তিন বছর এবং সর্বনিম্ন এক বছর কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা এবং সর্বনিম্ন পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডেরও বিধান রয়েছে।
দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৪৮৬ ও ৪৮৭ ধারা এবং ট্রেডমার্ক আইন, ২০০৯-এর ৭৪ ধারা অনুসারে মিথ্যা মার্ক বা বর্ণনা যুক্ত পণ্য বিক্রি করা, এক ধরনের পণ্যের মোড়কে অন্য ধরনের পণ্য প্যাকেট করা দণ্ডনীয় অপরাধ। অপরাধ একই হলেও শাস্তির ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে। ট্রেডমার্ক আইনে প্রথমবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ২ বছর এবং সর্বনিম্ন ৬ মাসের কারাদণ্ড সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের ব্যবস্থা রয়েছে কিন্তু দণ্ডবিধিতে ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
ট্রেডমার্ক আইন ২০০৯ এর অপর ফৌজদারি প্রকৃতির অপরাধের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৭৬,৭৭ এবং ৭৮ এর অধীনে সংঘটিত অপরাধ। এইসব ধারার অপরাধ, যেমন অনিবন্ধিত ট্রেডমার্ককে নিবন্ধিত বলে প্রচার করা, নিবন্ধন বইতে মিথ্যা তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা বা করার চেষ্টা ইত্যাদি ক্ষেত্রে নিবন্ধক বা তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট অপরাধ আমলে নিতে পারবেন।
"দেওয়ানী প্রতিকারঃ-
ট্রেডমার্ক আইন ২০০৯ এর ৯৬ ধারার অধীনে কোন নিবন্ধিত ট্রেডমার্কের লঙ্ঘন, নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক সংশ্লিষ্ট কোন অধিকার, নিবন্ধিত ট্রেডমার্কের সংশোধিত কোন অধিকার, এবং সাদৃশ্যপূর্ণ বা প্রতারণামূলকভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ কোন ট্রেডমার্ক নিবন্ধিত হউক বা না হউক চালাইয়া দেয়া হইলে যে কেউই জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করতে পারবেন। এই ধারায় নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের প্রতিকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
"মামলা দায়েরের পদ্ধতিঃ-
ফৌজদারি অপরাধে ক্ষেত্রে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অথবা ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে।
আবার ট্রেডমার্ক আইনের ৯৬ ধারার বিধানের ক্ষেত্রে এবং নিষেধাজ্ঞা, ঘোষণামূলক প্রতিকার ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই জেলা জজ আদালতে মামলা করতে হবে। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে যেমন, নিবন্ধন বহি (রেজিস্ট্রি বই সংশোধনের) বা নিবন্ধন বাতিলের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন করতে হবে।
কিন্তু, প্রচলিত প্রথা অনুসারে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করাও যায়, এক্ষেত্রে মামলা দায়েরের পূর্বেই প্রতিকার (লঙ্ঘন বন্ধ) পাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। তবে মামলা দায়েরের পূর্বে গোপন অনুসন্ধান করে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা জরুরী।
"মামলা দায়েরের সময়সীমাঃ-
ট্রেডমার্ক আইনের ৮৬ ধারার বিধান অনুসারে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার ৩ বছর অথবা বাদী কর্তৃক তথ্য উদঘাটিত হইবার অনধিক দুই বছরের মধ্যে (যা আগে ঘটে) মামলা দায়ের করতে হবে। দণ্ডবিধির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান প্রযোজ্য।
"আপিলের বিধানঃ-
ট্রেডমার্ক আইন, ২০০৯ অধীনে নিবন্ধক (রেজিস্টার) এবং জেলা জজ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত যে কোনও আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে হবে হাইকোর্ট বিভাগে। আপিলের সময় দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮-এর বিধি-বিধান প্রযোজ্য হবে। অপরদিকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রদত্ত কোনও আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর সকল বিধি-বিধান প্রযোজ্য হবে।