Lawyer Maruf Hossen Jewel
Land
হিন্দু আইনে কিভাবে সম্পত্তি বণ্টন করা হয়, কারা কারা সম্পত্তি পাবেন, পিণ্ডদান কে কে করতে পারেন, সপিণ্ড কি এবং সপিণ্ডর তালিকা:
ডিসেম্বর ০৪, ২০২০
0
More Read পরিমাপ সম্পর্কিত তথ্য
হিন্দু উত্তরাধিকার আইন ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে:
১। দায়ভাগ;
২। মিতাক্ষরা; বাংলাদেশ এবং ভারতে দায়ভাগ মতবাদ প্রচলিত আছে।
দায়ভাগ পদ্ধতিতে পিণ্ডদান মতবাদ দিয়ে উত্তররাধিকারী নির্ণয় করা হয়ে থাকে। পিণ্ড অর্থ হল শরীর: মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধের সময় মৃত ব্যক্তির পিণ্ড বা শরীরের সাথে রক্ত সম্পর্কীয় উক্তরাধিকারীগন মৃত ম্যক্তির আত্নার কল্যাণে কোন কিছু উৎসর্গ করলে তাকে পিণ্ডদান বলে।
দায়ভাগ মতবাদ অনুসারে উক্তরাধিকারী ৩ প্রকার:
ক। সপিণ্ড,
খ। সকুল্য ও
গ। সমানোদক।
উক্ত ৫ জন জীবনস্বত্ত্ব জমি ভোগ দখল করতে পারেন কিন্তু হস্থান্তর করতে পারেন না। তাদের মৃত্যুর পর উক্ত সম্পত্তি মৃত ব্যক্তির নামে ন্যস্ত হয়ে পুনরায় নিকটস্থ উত্তরাধিকারীর কাছে চলে যায়। তবে বিধবা স্ত্রী অস্বচ্ছল হলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে জমি বিক্রি করতে পারেন।
প্রপিতামহের উর্ধ্বতন ৩ পুরুষ সকুল্য নামে পরিচিত। সপি-র ৫৩ জনের কেউ বিদ্যমান না থাকলে সকুল্যগন সম্পত্তির উত্তরাধিকার লাভ করে। সকুল্যেও মোট সংখ্যা ৩৩জন সকলেই পুরুষ।
সকুল্যের উর্ধ্বতন ৭ পুরুষকে সমানোদক বলে। সপিণ্ড ও সকুল্যের কেউ বিদ্যমান না থাকলে সমানোদকগন উত্তরাধিকার লাভ করে। সমানোকদের সংখ্যা ১৪৭ । এরা সকলেই পুরুষ। সপিণ্ড, সকুল্য ও সমানোদক এ ৩ শ্রেণীর উত্তরাধিকারদের কেউ না থাকলে ধর্মগুরুর নিকট সম্পত্তি চলে যাবে। ধর্মগুরুও না থাকলে সম্পত্তি রাষ্ট্রের (সরকারের) নিকট চলে যাবে।
১। সপিণ্ড, সকুল্য ও সমানোদক এর মধ্যে ক্রমানুসারে সম্পত্ত্বি বণ্টন করতে হবে।
২। ১ পুত্র থাকলে সে সকল সম্পত্তি পাবে। একাধিক পুত্র থাকলে সমান ভাগ হবে।
৩। নিকটবর্তী পুরুষ থাকলে পরবর্তী পুরুষ সম্পত্তি পাবে না।
৪। বিধবা স্ত্রী এক পুত্রের সমান অংশ জীবন স্বত্ব পাবে। তার মৃত্যুর পর উক্ত সম্পত্তি পুনরায় পুত্রদের নিকট চলে আসবে। একাধিক বিধবা স্ত্রী থাকলে সকলে একত্রে একপুত্রের সমান সম্পত্তি জীবন স্বত্বে পাবে।
৫। বিধবা পুত্র বধু/বিধবা পৌত্র বধূ থাকলে সে এক পুত্রের সমান জীবনস্বত্ব পাবে। অর্থাৎ বিধবা স্ত্রীর সমান অংশ জীবনস্বত্ব পাবে।
৬। পুত্র, পৌত্র, প্রপৌত্র, বিধবা স্ত্রী, বিধবা পুত্র বধূ/বিধবা পৌত্র বধূ/বিধবা প্রপৌত্র বধূ না থাকলে কন্যা উত্তরাধিকারী হবে। ১ম অবিবাহিত কন্যা পাবে। অবিবাহিত কন্যা না থাকলে পুত্রবতি কন্যা পাবে।
৭। কন্যার পর কন্যার পুত্রগণ এরপর পিতা পরবর্তীতে সপিন্ডের ক্রমানুসারে সম্পত্তি পাবে।
Note: হিন্দু আইনে কিভাবে সম্পত্তি বণ্টন করা হয়, সকলের সাথে শেয়ার করে আইনি বিষয়ে জানতে এবং সচেতন হতে সাহায্য করুন।
Note: অপনি যত আেইন জানবেন, ততই নিজেকে শক্তিশালী অনুভব করবেন।
Note: পরিমাপ সম্পর্কিত তথ্য ➡, সকলের সাথে শেয়ার করে আইনি বিষয়ে জানতে এবং সচেতন হতে সাহায্য করুন।
Note: অপনি যত আেইন জানবেন, ততই নিজেকে শক্তিশালী অনুভব করবেন।
More Read পরিমাপ সম্পর্কিত তথ্য
হিন্দু উত্তরাধিকার আইন ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে:
১। দায়ভাগ;
২। মিতাক্ষরা; বাংলাদেশ এবং ভারতে দায়ভাগ মতবাদ প্রচলিত আছে।
দায়ভাগ পদ্ধতিতে পিণ্ডদান মতবাদ দিয়ে উত্তররাধিকারী নির্ণয় করা হয়ে থাকে। পিণ্ড অর্থ হল শরীর: মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধের সময় মৃত ব্যক্তির পিণ্ড বা শরীরের সাথে রক্ত সম্পর্কীয় উক্তরাধিকারীগন মৃত ম্যক্তির আত্নার কল্যাণে কোন কিছু উৎসর্গ করলে তাকে পিণ্ডদান বলে।
দায়ভাগ মতবাদ অনুসারে উক্তরাধিকারী ৩ প্রকার:
ক। সপিণ্ড,
খ। সকুল্য ও
গ। সমানোদক।
উক্ত ৫ জন জীবনস্বত্ত্ব জমি ভোগ দখল করতে পারেন কিন্তু হস্থান্তর করতে পারেন না। তাদের মৃত্যুর পর উক্ত সম্পত্তি মৃত ব্যক্তির নামে ন্যস্ত হয়ে পুনরায় নিকটস্থ উত্তরাধিকারীর কাছে চলে যায়। তবে বিধবা স্ত্রী অস্বচ্ছল হলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে জমি বিক্রি করতে পারেন।
প্রপিতামহের উর্ধ্বতন ৩ পুরুষ সকুল্য নামে পরিচিত। সপি-র ৫৩ জনের কেউ বিদ্যমান না থাকলে সকুল্যগন সম্পত্তির উত্তরাধিকার লাভ করে। সকুল্যেও মোট সংখ্যা ৩৩জন সকলেই পুরুষ।
সকুল্যের উর্ধ্বতন ৭ পুরুষকে সমানোদক বলে। সপিণ্ড ও সকুল্যের কেউ বিদ্যমান না থাকলে সমানোদকগন উত্তরাধিকার লাভ করে। সমানোকদের সংখ্যা ১৪৭ । এরা সকলেই পুরুষ। সপিণ্ড, সকুল্য ও সমানোদক এ ৩ শ্রেণীর উত্তরাধিকারদের কেউ না থাকলে ধর্মগুরুর নিকট সম্পত্তি চলে যাবে। ধর্মগুরুও না থাকলে সম্পত্তি রাষ্ট্রের (সরকারের) নিকট চলে যাবে।
১। সপিণ্ড, সকুল্য ও সমানোদক এর মধ্যে ক্রমানুসারে সম্পত্ত্বি বণ্টন করতে হবে।
২। ১ পুত্র থাকলে সে সকল সম্পত্তি পাবে। একাধিক পুত্র থাকলে সমান ভাগ হবে।
৩। নিকটবর্তী পুরুষ থাকলে পরবর্তী পুরুষ সম্পত্তি পাবে না।
৪। বিধবা স্ত্রী এক পুত্রের সমান অংশ জীবন স্বত্ব পাবে। তার মৃত্যুর পর উক্ত সম্পত্তি পুনরায় পুত্রদের নিকট চলে আসবে। একাধিক বিধবা স্ত্রী থাকলে সকলে একত্রে একপুত্রের সমান সম্পত্তি জীবন স্বত্বে পাবে।
৫। বিধবা পুত্র বধু/বিধবা পৌত্র বধূ থাকলে সে এক পুত্রের সমান জীবনস্বত্ব পাবে। অর্থাৎ বিধবা স্ত্রীর সমান অংশ জীবনস্বত্ব পাবে।
৬। পুত্র, পৌত্র, প্রপৌত্র, বিধবা স্ত্রী, বিধবা পুত্র বধূ/বিধবা পৌত্র বধূ/বিধবা প্রপৌত্র বধূ না থাকলে কন্যা উত্তরাধিকারী হবে। ১ম অবিবাহিত কন্যা পাবে। অবিবাহিত কন্যা না থাকলে পুত্রবতি কন্যা পাবে।
৭। কন্যার পর কন্যার পুত্রগণ এরপর পিতা পরবর্তীতে সপিন্ডের ক্রমানুসারে সম্পত্তি পাবে।
Note: হিন্দু আইনে কিভাবে সম্পত্তি বণ্টন করা হয়, সকলের সাথে শেয়ার করে আইনি বিষয়ে জানতে এবং সচেতন হতে সাহায্য করুন।
Note: অপনি যত আেইন জানবেন, ততই নিজেকে শক্তিশালী অনুভব করবেন।
Note: পরিমাপ সম্পর্কিত তথ্য ➡, সকলের সাথে শেয়ার করে আইনি বিষয়ে জানতে এবং সচেতন হতে সাহায্য করুন।
Note: অপনি যত আেইন জানবেন, ততই নিজেকে শক্তিশালী অনুভব করবেন।
More Read পরিমাপ সম্পর্কিত তথ্য
হিন্দু উত্তরাধিকার আইন ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে:
১। দায়ভাগ;
২। মিতাক্ষরা; বাংলাদেশ এবং ভারতে দায়ভাগ মতবাদ প্রচলিত আছে।
দায়ভাগ পদ্ধতিতে পিণ্ডদান মতবাদ দিয়ে উত্তররাধিকারী নির্ণয় করা হয়ে থাকে। পিণ্ড অর্থ হল শরীর: মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধের সময় মৃত ব্যক্তির পিণ্ড বা শরীরের সাথে রক্ত সম্পর্কীয় উক্তরাধিকারীগন মৃত ম্যক্তির আত্নার কল্যাণে কোন কিছু উৎসর্গ করলে তাকে পিণ্ডদান বলে।
দায়ভাগ মতবাদ অনুসারে উক্তরাধিকারী ৩ প্রকার:
ক। সপিণ্ড,
খ। সকুল্য ও
গ। সমানোদক।
উক্ত ৫ জন জীবনস্বত্ত্ব জমি ভোগ দখল করতে পারেন কিন্তু হস্থান্তর করতে পারেন না। তাদের মৃত্যুর পর উক্ত সম্পত্তি মৃত ব্যক্তির নামে ন্যস্ত হয়ে পুনরায় নিকটস্থ উত্তরাধিকারীর কাছে চলে যায়। তবে বিধবা স্ত্রী অস্বচ্ছল হলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে জমি বিক্রি করতে পারেন।
প্রপিতামহের উর্ধ্বতন ৩ পুরুষ সকুল্য নামে পরিচিত। সপি-র ৫৩ জনের কেউ বিদ্যমান না থাকলে সকুল্যগন সম্পত্তির উত্তরাধিকার লাভ করে। সকুল্যেও মোট সংখ্যা ৩৩জন সকলেই পুরুষ।
সকুল্যের উর্ধ্বতন ৭ পুরুষকে সমানোদক বলে। সপিণ্ড ও সকুল্যের কেউ বিদ্যমান না থাকলে সমানোদকগন উত্তরাধিকার লাভ করে। সমানোকদের সংখ্যা ১৪৭ । এরা সকলেই পুরুষ। সপিণ্ড, সকুল্য ও সমানোদক এ ৩ শ্রেণীর উত্তরাধিকারদের কেউ না থাকলে ধর্মগুরুর নিকট সম্পত্তি চলে যাবে। ধর্মগুরুও না থাকলে সম্পত্তি রাষ্ট্রের (সরকারের) নিকট চলে যাবে।
১। সপিণ্ড, সকুল্য ও সমানোদক এর মধ্যে ক্রমানুসারে সম্পত্ত্বি বণ্টন করতে হবে।
২। ১ পুত্র থাকলে সে সকল সম্পত্তি পাবে। একাধিক পুত্র থাকলে সমান ভাগ হবে।
৩। নিকটবর্তী পুরুষ থাকলে পরবর্তী পুরুষ সম্পত্তি পাবে না।
৪। বিধবা স্ত্রী এক পুত্রের সমান অংশ জীবন স্বত্ব পাবে। তার মৃত্যুর পর উক্ত সম্পত্তি পুনরায় পুত্রদের নিকট চলে আসবে। একাধিক বিধবা স্ত্রী থাকলে সকলে একত্রে একপুত্রের সমান সম্পত্তি জীবন স্বত্বে পাবে।
৫। বিধবা পুত্র বধু/বিধবা পৌত্র বধূ থাকলে সে এক পুত্রের সমান জীবনস্বত্ব পাবে। অর্থাৎ বিধবা স্ত্রীর সমান অংশ জীবনস্বত্ব পাবে।
৬। পুত্র, পৌত্র, প্রপৌত্র, বিধবা স্ত্রী, বিধবা পুত্র বধূ/বিধবা পৌত্র বধূ/বিধবা প্রপৌত্র বধূ না থাকলে কন্যা উত্তরাধিকারী হবে। ১ম অবিবাহিত কন্যা পাবে। অবিবাহিত কন্যা না থাকলে পুত্রবতি কন্যা পাবে।
৭। কন্যার পর কন্যার পুত্রগণ এরপর পিতা পরবর্তীতে সপিন্ডের ক্রমানুসারে সম্পত্তি পাবে।
Note: হিন্দু আইনে কিভাবে সম্পত্তি বণ্টন করা হয়, সকলের সাথে শেয়ার করে আইনি বিষয়ে জানতে এবং সচেতন হতে সাহায্য করুন।
Note: অপনি যত আেইন জানবেন, ততই নিজেকে শক্তিশালী অনুভব করবেন।
Note: পরিমাপ সম্পর্কিত তথ্য ➡, সকলের সাথে শেয়ার করে আইনি বিষয়ে জানতে এবং সচেতন হতে সাহায্য করুন।
Note: অপনি যত আেইন জানবেন, ততই নিজেকে শক্তিশালী অনুভব করবেন।