প্যারোলে মুক্তি বলতে কি বুঝায় ?

0
কয়েদী বা হাজতি আসামীকে শর্তাধীনে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মুক্তি প্রদান করাকে প্যারোলে মুক্তি বলে। প্যারোলে জামিন বা মুক্তি দেওয়া হয় খুবই সাময়িক সময়ের জন্য।

আসামীকে পুলিশের হেফাজতে যেতে দেওয়া হয় এবং উদ্দেশ্য শেষ হলে উক্ত পুলিশ প্রহরায় পুনরায় তাকে জেলে প্রেরণ করা হয়।
ফৌজদারী কার্যবিধিতে প্যারোলে জামিন বলে কোন কথা উল্লেখ নেই। অন্তবর্তি কালীন জামিন হিসাবে ফৌজদারী কার্যবিধি ধারা ৪৯৮ এর ব্যাখ্যায় প্যারোলে মুক্তির বিধান নিহিত আছে।



যেমনঃ কোন আসামীর পিতা, মাতা বা কোন নিকট আত্মীয় মারা গেলে তাকে জানাজায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়।

প্যারোলে মুক্তির কারন সমুহ:


১. ভিআইপি বা অন্যান্য সকল শ্রেণীর কয়েদী বা হাজতি বন্দীদের নিকট আত্মীয়ের যেমন বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি, স্বামী-স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি এবং আপন ভাই বোন মারা গেলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া যাবে।

২. ভিআইপি বা অন্যান্য সকল শ্রেণীর কয়েদী বা হাজতি বন্দীদের নিকট আত্মীয়ের মৃত্যুর কারণ ছাড়াও কোন আদালতের আদেশ কিংবা সরকারের বিশেষ সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্যারোলে মুক্তি দেয়া প্রয়োজন হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্যারোলে মুক্তি দেয়া যাবে। তবে উভয় ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও দূরত্ব বিবেচনায় প্যারোল মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ সময় নির্ধারণ করে দিবেন।

৩. বন্দীকে সার্বক্ষণিক পুলিশ প্রহরাধীনে রাখতে হবে।

৪. মুক্তির সময়সীমা কোন অবস্থাতেই ১২ ঘণ্টার অধিক হবে না তবে বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার মুক্তির সময়সীমা হ্রাস বা বৃদ্ধি করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করবেন।
Maruf Hossen Jewel
M.S.S, B.S.S, LL.B, LL.M

৫. কোন বন্দী জেলার কোন কেন্দ্রীয়, জেলা, বিশেষ কারাগার, সাব জেলে আটক থাকলে ওই জেলার অভ্যন্তরে যে কোনো স্থানে মঞ্জুরকারীকর্তৃপক্ষ প্যারোল মঞ্জুর করতে পারবেন। অপরদিকে কোনো বন্দি নিজ জেলায় অবস্থিত কেন্দ্রীয়, জেলা, বিশেষ কারাগার, সাব জেলে আটক না থেকে অন্য জেলায় অবস্থিত কোন কেন্দ্রীয়, জেলা, বিশেষ কারাগার, সাব জেলে আটক থাকলে গন্তব্যের দুরুত্ব বিবেচনা করে মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ প্যারোল মঞ্জুর করতে পারবেন।
তবে উভয় ক্ষেত্রেই দুর্গম এলাকা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, দূরত্ব ও নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ প্যারোল মঞ্জুর কিংবা নামঞ্জুর এর ক্ষমতা সংরক্ষণ করবেন।

৬. কারাগারের ফটক থেকে পুলিশ প্যারোলে মুক্ত বন্দিকে বুঝে নেবার পর অনুমোদিত সময়সীমার মধ্যেই পুনরায় কারাগারে প্রেরণ করবেন।

৭. আর সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্যারোল মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিবেচিত হবেন।
এছাড়া ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৯৮ ধারায় (অন্তবর্তীকালীন জামিন) প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি নিহিত রয়েছে বলে আইন বিশেষজ্ঞরা মত দিয়ে থাকেন।
Maruf Hossen Jewel
M.S.S, B.S.S, LL.B, LL.M
Rajshahi Judge Court, Rajshahi.
Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !
To Top