Lawyer Maruf Hossen Jewel
কোনো শীর্ষক নেই
Hi I'm Nikov! Introduction I am a construction business owner, part time marketer, and soon to be…
জুলাই ২৩, ২০২১0
Hi I'm Nikov! Introduction I am a construction business owner, part time marketer, and soon to be…
Hi I'm
I am a construction business owner, part time marketer, and soon to be web developer.
I love the internet, technology, and building beautiful things.
I'm originally from Toronto, Ontario.
My favorite hobby is building things on the internet like ecommerce sites and email marketing campaigns.
My dream job is similar to my current job except I would like to be building software instead of buildings.
I live on a rural acreage, but I'm close to Ottawa and Montreal.
Because programming is awesome and programming for the internet is even more awesome.
যৌতুক নিরোধ আইন সম্পর্কে বিস্তারিত
যৌতুক নিরোধের উপর সর্বপ্রথম আইন তৈরী করা হয় ১৯৮০ সালে।সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নতুন করে যৌতুক নিরোধের উপর আইন তৈরী করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।তাই ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইন বাতিল করে ২০১৮ সালে নতুন করে যৌতুক নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়।যা যৌতুক নিরোধ আইন,২০১৮ নামে অভিহিত হবে।
যৌতুক[ধারা:2(খ)]
এখানে বলা হয়েছে,যৌতুক হল বিবাহের একপক্ষ কর্তৃক অন্য পক্ষের নিকট বৈবাহিক সম্পর্ক স্হাপনের পূর্বশর্ত হিসেবে বিবাহের পণ বাবদ দাবীকৃত অর্থ-সামগ্রী বা অন্য কোন সম্পদ।যৌতুক বিবাহের আগে অথবা বিবাহের সময় অথবা বিবাহের পরেও দাবী করা যেতে পারে।মুসলীম ব্যক্তিগত আইনের ক্ষেত্রে দেনমোহর বা মোহরানা যৌতুক হিসেবে গণ্য হবে না। বিবাহের সময় বিবাহের পক্ষগণের আত্নীয়-স্বজন,বন্ধু-বান্ধব বা শুভাকাঙ্ক্ষী কর্তৃক কোন পক্ষকে প্রদত্ত উপহার-সামগ্রী যৌতুক হিসেবে গণ্য হবে না।
যৌতুক দাবী করার দন্ড[ধারা-৩]
বিবাহের এক পক্ষ আরেক পক্ষের কাছে যৌতুক দাবী করলে, সেটা এই আইনের অধীনে একটি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।এক্ষেত্রে যৌতুক দাবীকারী পক্ষের শাস্তি হবে অনধিক ৫ বছর কিন্তু অন্যূন ১ বছর কারাদন্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয়দন্ড।
যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ করার দন্ড[ধারা-৪]
যদি বিবাহের এক পক্ষ যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ করে অথবা যৌতুক প্রদান বা গ্রহণে সহায়তা করে অথবা যৌতুক প্রদান বা গ্রহণের উদ্দেশ্যে চুক্তি করে,তাহলে সেটা এই আইনের অধীনে একটি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।তার জন্য যৌতুক প্রদান বা গ্রহণকারী ব্যক্তি অনধিক ৫ বছর কিন্তু অন্যূন ১ বছর কারাদন্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয়দন্ডে দন্ডনীয় হবেন।
যৌতুক নিরোধ আইন সম্পর্কে বিস্তারিত |
যৌতুক সংক্রান্ত চুক্তি ফলবিহীন[ধারা-৫]
এখানে বলা হয়েছে, যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ সংক্রান্ত চুক্তি ফলবিহীন(void) হবে।তার মানে যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ নিয়ে কোন চুক্তি হলে সেটা বাতিল বলে গণ্য হবে।এটাকে কোন চুক্তি হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না।
মিথ্যা মামলা দায়েরের দন্ড[ধারা-৬]
যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে এই আইনের অধীনে মিথ্যা মামলা দায়ের করে, তাহলে তিনি অনধিক ৫ বছর কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয়দন্ডে দন্ডিত হবেন।তার মানে আইনানুগ কারণ ছাড়া কারো নামে মামলা করা যাবে না।কারো বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে ন্যায্য কারণ থাকতে হবে।
ছুটি সম্পর্কিত নিয়মাবলি The Prescribed Leave Rules 1959, Fundamental Rules, Bangladesh Service Rules এবং সময়ে সময়ে সরকার কর্তৃক জারিকৃত আদেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। উক্ত বিধিমালা ও বিভিন্ন আদেশের আওতায় নিম্নোক্ত প্রকার ছুটির বিধান রয়েছে।
সরকারি চাকরিজীবীদের বিভিন্ন প্রকারের ছুটি সম্পর্কে বিস্তারিত টিঃ- |
(১) কোন কর্মচারী নিম্নবর্ণিত যে কোন ধরণের ছুটি পা্ইবেন, যথাঃ
(ক) পূর্ণ বেতনে ছুটি;
(খ) অর্ধ বেতনে ছুটি;
(গ) বিনা বেতনে অস্বাধারণ ছুটি (Without Pay Extraordinary Leave);
(ঘ) বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি (Special Disability Leave);
(ঙ) সংগনিরোধ ছুটি (Quarantine Leave);
(চ) প্রসূতি ছুটি (Maternity Leave);
(ছ) অধ্যয়ন ছুটি (Study Leave); এবং
(জ) নৈমিত্তিক ছুটি (Casual Leave) ।
(২) উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কোন কর্মচারীকে বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি ও অধ্যয়ন ছুটি ব্যতীত অন্যবিধ ছুটি মঞ্জুর করিতে পারেন এবং ইহা বন্ধের দিনের সাথে সংযুক্ত করিয়াও প্রদান করা যাইতে পারে।
পূর্ণ বেতনে ছুটিঃ
(১) প্রত্যেক কর্মচারী তৎকর্তৃক দায়িত্ব পালনে অতিবাহিত কার্যদিবসের ১/১১ হারে পূর্ণ বেতনে ছুটি অর্জন করিবেন এবং পূর্ণ বেতনে প্রাপ্য এককালীন ছুটির পরিমাণ চার মাসের অধিক হইবে না।
(২) ………….এর পূর্ব অনুমোদন নিয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি ও অধ্যয়ন ছুটি মঞ্জুর করিতে পারেন।
(৩) অর্জিত ছুটির পরিমাণ চার মাসের অধিক হলে, তাহা ছুটির হিসাবের অন্য খাতে জমা দেখানো হইবে, ইহা হইতে ডাক্তারী সার্টিফিকেট উপস্থাপন সাপেক্ষে অথবা বাংলাদেশের বাইরে ধর্মীয় সফর, অধ্যয়ন বা অবকাশ ও চিত্তবিনোদনের জন্য পূর্ণ বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে।
অর্ধ বেতনে ছুটিঃ
(১) প্রত্যেক কর্মচারী তৎকর্তৃক দায়িত্ব পালনে অতিবাহিত কার্য দিবসের ১/১২ হারে অর্ধ বেতনে অর্জন করিবেন এবং এইরূপ ছুটি জমা হওয়ার কোন সীমা থাকিবে না।
(২) অর্ধ-বেতনে দুই দিনের ছুটির পরিবর্তে, ডাক্তারী সার্টিফিকেট দাখিল সাপেক্ষে, এক দিনের পূর্ণ বেতনে ছুটির হারে গড় বেতনে ছুটিতে সর্বোচ্চ বার মাস পর্যন্ত পূর্ণ বেতনে ছুটিতে রূপান্তরিত করা যাইতে পারে।
প্রাপ্যতাবিহীন ছুটি:
১) ডাক্তারী সার্টিফিকেট দ্বারা সমর্থিত হইলে, কোন কর্মচারীকে তাহার সমগ্র চাকুরী জীবনে সর্বোচ্চ বার মাস পর্যন্ত এবং অন্য কোন কারণে হইলে, তিন মাস পর্যন্ত অর্ধ বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে।
(২) যখন কোন কর্মচারী তাহার ছুটি পাওনা হওয়ার পূর্বেই প্রাপ্যতাবিহীন ছুটি ভোগ করিয়া ফিরিয়া আসেন তখন তিনি পূর্বেই যে ছুটি ভোগ করিয়াছেন সেই ছুটি অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত নূতনভাবে গড় অর্ধ বেতনে কোন ছুটি পাইবার অধিকারী হইবেন না।
অসাধারণ ছুটি:
(১) যখন কোন কর্মচারীর অন্য কোন ছুটি পাওনা না থাকে বা অন্য প্রকার কোন ছুটি পাওনা থাকে অথচ সংশিলষ্ট কর্মচারী লিখিতভাবে অস্বাভাবিক ছুটির জন্য আবেদন করেন তখন তাহাকে অসাধারণ ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে।
(২) অসাধারণ ছুটির মেয়াদ একবারে তিন মাসের অধিক হইবে না, তবে নিম্ন বর্ণিত ক্ষেত্রে উক্ত ছুটির মেয়াদ বর্ধিত করা যাইতে পারে,
(ক) যে ক্ষেত্রে সংশিলষ্ট কর্মচারী এই শর্তে বিদেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণের অনুমতি প্রাপ্ত হন যে, উক্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণের পরে পাঁচ বৎসরের জন্য তিনি …………… এ চাকুরী করিবেন, অথবা
(খ) যে ক্ষেত্রে সংশিলষ্ট কর্মচারী চিকিৎসাধীন থাকেন; অথবা
(গ) যে ক্ষেত্রে …………………. এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কর্মচারী তাহার নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে কর্তব্যে যোগদান করিতে অসমর্থ।
(৩) ছুটি মঞ্জুর করার ক্ষমতা সম্পন্ন কর্তৃপক্ষ কোন কর্মচারীর বিনা ছুটিতে অনুপস্থিতির সময়কে ভূতাপেক্ষ কার্যকরতাসহ অসাধারণ ছুটিতে রূপান্তরিত করিতে পারেন।
বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটিঃ
(১) কোন কর্মচারী তাঁহার যথাযথ কর্তব্য পালনকালে বা উহা পালনের পরিণতিতে অথবা তাঁহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবার কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হইয়া অক্ষম হইলে, ……………..তাঁহাকে বিশেষ অক্ষমতা ছুটি মঞ্জুর করিতে পারে।
(২) যে অক্ষমতার কারণে অক্ষমতাজনিত ছুটি চাওয়া হয় সেই অক্ষমতা তিন মাসের মধ্যে প্রকাশ না পাইলে এবং যে ব্যক্তি অক্ষম হন, সেই ব্যক্তি অনুরূপ অক্ষমতার কারণে অবিলম্বে …………. কে অবহিত না করিলে, বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি মঞ্জুর করা হইবে না।
(৩) যে মেয়াদের জন্য বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি প্রয়োজনীয় বলিয়া চিকিৎসা পরিষদ প্রত্যায়ন করিবে সেই মেয়াদের জন্য বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি মঞ্জুর করা হইবে, এবং চিকিৎসা পরিষদের প্রত্যায়ন ব্যতিরেকে তাহা বর্ধিত করা হইবে না; এবং উক্ত ছুটি কোন ক্রমেই ২৪ মাসের অধিক হইবে না।
(৪) বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি অন্য যে কোন ছুটির সংগে সংযুক্ত করা যাইতে পারে।
(৫) যদি একই ধরণের অবস্থায় পরবর্তীকালে কোন সময় অক্ষমতা বৃদ্ধি পায় বা উহার পুনরাবৃত্তি ঘটে, তাহা হইলে একাধিকবার বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে, তবে অনুরূপ ছুটির পরিমাণ ২৪ মাসের অধিক হইবে না এবং তাহা যে কোন একটি অক্ষমতার কারণে মঞ্জুর করা যাইবে।
(৬) শুধুমাত্র আনুতোষিকের এবং যে ক্ষেত্রে অবসর ভাতা প্রাপ্য হয় সেক্ষেত্রে অবসর ভাতার ব্যাপারে চাকুরী হিসাব করিবার সময় বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি কর্তব্য পালনের সময় হিসাবে গণনা করা হইবে এবং ইহা ছুটির হিসাব হইতে বিয়োজন করা হইবে না।
(৭) বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটিকালীন বেতন হইবে নিম্নরূপ যথাঃ¾
(ক) উপরিউক্ত উপ-প্রবিধান (৫) এর অধীনে মঞ্জুরকৃত ছুটির মেয়াদসহ যে কোন মেয়াদের ছুটির প্রথম চার মাসের জন্য পূর্ণ বেতন; এবং
(খ) এইরূপ কোন ছুটির অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য অর্ধ বেতন।
(৮) এই প্রবিধানের অন্যান্য বিধানসমূহের প্রযোজ্যতা এমন কর্মচারীর ক্ষেত্রেও সম্প্রসারিত করা যাইতে পারে যিনি তাহার যথাযথ কর্তব্য পালনকালে বা উহা পালনের পরিণতিতে অথবা তাঁহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবার কারণে, দুর্ঘটনাবশতঃ আঘাতপ্রাপ্ত হইয়াছেন অথবা যিনি নির্দিষ্ট কোন কর্তব্য পালনকালে তাঁহার পদের স্বাভাবিক ঝুকি বহির্ভূত অসুস্থতা বা জখম বাড়াইয়া তোলার সম্ভাবনা থাকে এইরূপ অসুস্থতার দরচণ অক্ষম হইয়াছেন।
সঙ্গ নিরোধ ছুটি (Quarantine Leave)
সঙ্গ নিরোধ ছুটি সম্পর্কে বি, এস, আর -১৯৬ এর নিম্নরূপঃ
(১) কোন কর্মচারীর পরিবারে বা গৃহে সংক্রামক ব্যাধি থাকার কারণে যদি আদেশ দ্বারা তাহাকে অফিসে উপস্থিত না হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় তবে সেই সময়কাল হইবে সঙ্গনিরোধ ছুটি।
(২) অফিস প্রধান কোন চিকিৎসক কর্মকর্তা বা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তার সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে অনুর্ধ ২১ দিন অথবা বিশেষ অবস্থায় ৩০ দিন পর্যন্ত সঙ্গনিরোধ ছুটি মঞ্জুর করিতে পারিবেন।
(৩) সংগরোধের জন্য প্রয়োজনীয় উপ-প্রবিধান (২) এ উল্লেখিত মেয়াদের অতিরিক্ত ছুটি প্রয়োজন হইলে এই অতিরিক্ত ছুটি সাধারণ ছুটি হিসাবে গণ্য হইবে।
(৪) এই প্রবিধানমালা অনুযায়ী প্রাপ্য সর্বাধিক ছুটি সাপেক্ষে, প্রয়োজন হইলে অন্যবিধ ছুটির সহিত সংগরোধ ছুটিও মঞ্জুর করা যাইতে পারে।
(৫) সংগরোধ ছুটিতে থাকাকালে কোন কর্মচারীকে তাহার দায়িত্ব পালনে অনুপস্থিত বলিয়া গণ্য করা হইবে না এবং এই সময়ে উক্ত পদে অন্য কোন লোক নিয়োগ করা যাইবে না। ইহাছাড়া, উক্ত ছুটি ভোগকালে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী স্বাভাবিক নিয়মানুসারে বেতন ভাতাদি পাইবেন।
(৬) এই প্রকার ছুটির মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ অফিস প্রধান।
বিশ্লেষণঃ ১) কলেরা, গুটি বসন্ত, প্লেগ, টাইফয়েড জ্বর এবং সেরিব্রোস্পাইনাল মেনেনজস্ট্যাটিস রোগের ক্ষেত্রে এই প্রকার ছুটি প্রদান করা যাইবে (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং জনস্বাস্থ্য/১ কিউ-৪/৩৪২, তারিখ: ২৩ এপ্রিল, ১৯৭৫)।
বিশ্লেষণঃ ২) এই প্রকার ছুটি “ ছুটি হিসাব ” হইতে বিয়োগ হয় না এবং নৈমিত্তিক ছুটির অনুরূপভাবে ছুটির হিসাবের জন্য এই প্রকার ছুটিকালকে কর্মকাল হিসাবে গণ্য করা হয়।
প্রসূতি (মাতৃত্ব) ছুটি সংক্রান্ত বিধি বিধান
বি এস আর -১৯৭, এফ আর-১০১ এবং এস আর (এফ আর)-২৬৭, ২৬৮
ক) গর্ভবতী হওয়ার পর কোন মহিলা কর্মচারী প্রসূতি ছুটির জন্য আবেদন করিলে, বিধি-১৪৯ অথবা বিধি-১৫০ তে বর্ণিত কর্তৃপক্ষ ছুটি আরম্ভের তারিখ অথবা সন্তান প্রসবের উদ্দেশ্যে আতুর ঘরে আবদ্ধ হওয়ার তারিখ, ইহার মধ্যে যাহা পূর্বে ঘটিবে, ঐ তারিখ হইতেই ৬ (ছয়) মাসের ছুটি মঞ্জুর করিতে হইবে। তবে উক্ত ছুটি আরম্ভের তারিখ সন্তান প্রসবের উদ্দেশ্যে আতুর ঘরে আবদ্ধ হওয়ার তারিখের পরবর্তী কোন তারিখ হইতে পারিবে না। অর্থাৎ ছুটি আরম্ভের সর্বশেষ তারিখ হইবে সন্তান প্রসবের তারিখ। উল্লেখ্য গর্ভবতী হওয়ার স্বপক্ষে ডাক্তারী সার্টিফিকেটসহ আবেদন করা হইলে প্রসূতি ছুটির আবেদন না মঞ্জুর করার কিংবা ছয় মাস অপেক্ষা কম সময়ের জন্য ছুটি মঞ্জুর করার কিংবা ছুটি আরম্ভের তারিখ পরিবর্তন করিবার ক্ষমতা ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষের নাই। বি এস আর - ১৯৭ (১)
খ) গেজেটেড কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে সরকার অথবা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং নন-গেজেটেড কর্মচারীদের ক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অথবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তকর্তা এই ছুটি মঞ্জুরীর জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত। অর্থাৎ উভয় ক্ষেত্রেই অর্জিত ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ প্রসূতি ছুটি মঞ্জুরীর জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত। বি এস আর - ১৯৭ (১), ১৪৯ ও ১৫০
গ) সমগ্র চাকরি জীবনে প্রসূতি ছুটি দুইবারের বেশি প্রাপ্য নয়। বি এস এর- ১৯৭ (১)
ঘ) প্রসূতি ছুটি “ছুটি হিসাব” হইতে বিয়োগ হইবে না। অর্থাৎ প্রসূতি ছুটির জন্য ছুটি অর্জন করিতে হইবে না এবং পাওনা ছুটি হইতে প্রসূতি ছুটিকাল বাদ যাইবে না। বি এস এর- ১৯৭ (১বি)
ঙ) ছুটি ভোগকালে ছুটিতে যাওয়ার প্রাক্কালে প্রাপ্র বেতনের হারে পূর্ণ বেতন প্রাপ্য। বি এস এর- ১৯৭ (১)
চ) ডাক্তারী সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে গড় বেতনে অর্জিত ছুটিসহ যে কোন প্রকার ছুটির আবেদন করিলে প্রসূতি ছুটির ধারাবাহিকতাক্রমে উক্ত প্রকার ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে। এফ আর এর এস আর -২৬৮ এবং বি এস আর-১৯৭(২)
ছ) অস্থায়ী সরকারি কর্মচারীও প্রসূতি ছুটি প্রাপ্য। এফ আর এর এস আর -২৬৭ এর সরকারি সিদ্ধান্ত
বিশ্লেষণ: এসআরও নং ৮৪/নথি নং- ০৭.০০.০০০০.১৭১.০৮.০০১.১২/আইন/২০১২, তারিখ: ১ এপ্রিল ২০১২ দ্বারা সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখে চাকরির মেয়াদ নয় মাস পূর্ণ হয় নাই, এইরূপ অস্থায়ী কর্মচারীওক প্রসূতি ছুটি প্রদান না করা সংক্রান্ত বি এস এর, পার্ট-১ এর বিধি ১৯৭ এর নোট বিলুপ্ত করায় চাকরির মেয়াদ নির্বিশেষে সকল অস্থায়ী কর্মচারীগণও প্রসূতি ছুটি পাইবেন।
জ) মহিলা শিক্ষানবীশ (Lady Apprentices) এবং পার্ট-টাইম মহিলা ল’অফিসারও প্রসূতি ছুটি প্রাপ্য। এফ আর এর এস আর-২৬৭ এর সরকারি সিদ্ধান্ত।
বিশ্লেষণঃ ১) ডাক্তার কাউকে গর্ভবতী ঘোষনা করে সার্টিফিকেট প্রদান করলে সেই সার্টিফিকেটসহ প্রসূতি ছুটির আবেদন করলে কারো সাধ্য নেই ছুটি না মঞ্জুর করার। আর এটা সমগ্র চাকরি জীবনে ২ (দুই) বার পাওয়া যাবে।
বিশ্লেষণঃ ২) সন্তান প্রসবের দিন হতে অথবা তার আগের যেকোন দিন হতে ৬ (ছয়) মাস ছুটির জন্য আবেদন করা যাবে।
বিশ্লেষণঃ ৩) ছুটিতে থাকাকালীন সময়ে প্রসূতি মাতা পূর্ণ বেতন পাইবেন।
বিশ্লেষণঃ ৪) এই ছুটির সাথে অন্য ছুটি নেওয়া যাবে সেক্ষেত্রে একদিনের জন্য কর্মে যোগদান করে আবার ছুটি নেয়ার মতো কোন ফালতু বিষয় নেই।
বিশ্লেষণঃ ৫) সরকারি কর্মচারী চাকরি যোগদান করার পরদিন থেকেও এই ছুটি ভোগ করতে পারবেন। আগে এটা ছিল চাকরি ৯ (নয়) মাস পূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে। আইনটি যারা তৈরি করেছিলেন তারা হয়তো ভেবেছিলেন চাকরিতে যোগদানের পরই সরকারি চাকরিজীবি মহিলাদের বিয়ে হয় আর ৯ মাস পর বাচ্চা প্রসব হয়।
বিশ্লেষণঃ ৬) ৬ (ছয়) মাস মানে ৬ (ছয়) মাস। এটা ১৮০ দিনও হতে পারে আবার কম বেশিও্ হতে পারে। এটা নিয়ে রশি টানাটানি করতে করতে বাচ্চা প্রসব হয়ে গেলে দায় কে নিবে আমি জানিনা।
অপ-ব্যাখ্যাঃ ১) কোন এক উর্ধতন কর্তৃপক্ষ তার মহিলা কর্মচারিকে ২য় মাতৃত্ব ছুটি মঞ্জুর করবেন না বলে মত দিয়েছেন। ব্যাখ্যা হিসেবে বলেছেন ঐ মহিলা ইতোমধ্যেই দুই সন্তারের জননী যদিও প্রথম বাচ্চা চাকরিতে যোগদানের পূর্বেই জন্মগ্রহণ করেছে। আমার বড় ইচ্ছে হয় সেই কর্তাব্যক্তিটিকে দেখার।
অবসর গ্রহণের জন্য প্রস্ত্ততিমূলক ছুটি (বিলোপ):
(১) কোন কর্মচারী ছয় মাস পর্যন্ত পূর্ণ বেতনে এবং আরও ছয় মাস অর্ধ বেতনে অবসর গ্রহণের জন্য প্রস্ত্ততিমূলক ছুটি পাইবেন এবং এইরূপ ছুটির মেয়াদ তাহার অবসর গ্রহণের তারিখ অতিক্রম করার পরেও সম্প্রসারিত করা যাইতে পারে, কিন্তু আটান্ন বৎসরের বয়স-সীমা অতিক্রমের পর উহা সম্প্রসারণ করা যাইবে না।
(২) কোন কর্মচারী তাহার অবসর গ্রহণের তারিখের কমপক্ষে একমাস পূর্বে অবসর গ্রহণের প্রস্ত্ততিমূলক ছুটির জন্য আবেদন না করিলে তাহার পাওনা ছুটি অবসর গ্রহণের তারিখের পর তামাদি হইয়া যাইবে।
(৩) কোন কর্মচারী তাহার অবসর গ্রহণের তারিখের কমপক্ষে একদিন পূর্বে অবসর গ্রহণের জন্য প্রস্ত্ততিমূলক ছুটিতে যাইবেন।
অধ্যয়ন ছুটিঃ
(১) …………….এ তাহার চাকুরীর জন্য সহায়ক এইরূপ বৈজ্ঞানিক, কারিগরি বা অনুরূপ সমস্যাদি অধ্যয়ন অথবা বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ গ্রহণের জন্য কোন কর্মচারীকে ………… অর্ধ বেতনে অনধিক বার মাস অধ্যয়নের জন্য ছুটি মঞ্জুর করিতে পারেন, যাহা তাহার ছুটির হিসাব হইতে বাদ দেওয়া হইবে না।
(২) যে ক্ষেত্রে কোন কর্মচারীকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোন অধ্যয়ন ছুটি মঞ্জুর করা হয় এবং তিনি পরবর্তীকালে দেখিতে পান যে, মঞ্জুরীকৃত ছুটির মেয়াদ তাহার শিক্ষা কোর্স ও পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় মেয়াদ অপেক্ষা কম, সে ক্ষেত্রে সময়ের স্বল্পতা পূরণকল্পে …………. তাহাকে অনধিক এক বৎসরের জন্য উক্ত অধ্যয়ন ছুটির মেয়াদ বর্ধিত করিতে পারিবেন।
(৩) পূর্ণ বেতনে বা অর্ধ বেতনে ছুটি বা বিনা বেতনে অসাধারণ ছুটির সহিত একত্রে অধ্যয়ন ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে, তবে এইরূপ মঞ্জুরকৃত ছুটি কোনক্রমেই একত্রে মোট দুই বৎসরের অধিক হইবে না।
নৈমিত্তিক ছুটিঃ
সরকার সময়ে সময়ে উহার কর্মচারীদের জন্য প্রতি পঞ্জিকা বৎসরে মোট যতদিন নৈমিত্তিক ছুটি নির্ধারণ করিবেন কর্মচারীগণ মোট ততদিন নৈমিত্তিক ছুটি পাইবেন।
ছুটির পদ্ধতিঃ-
(১) প্রত্যেক কর্মচারীর ছুটির হিসাব…………কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ম ও পদ্ধতিতে রক্ষণাবেক্ষণ করা হইবে।
(২) ছুটির জন্য সকল আবেদন ……………কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে হইতে হইবে।
(৩) আবেদনকারী কর্মচারী যে কর্মকর্তার অধীনে কর্মরত আছেন তাহার সুপারিশক্রমে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ছুটি মঞ্জুর করিতে পারেন।
(৪) বিশেষ পরিস্থিতিতে, কোন কর্মকর্তা যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, তাহার অধীনে কর্মরত কোন কর্মচারীর ছুটি পাওনা রহিয়াছে, তবে তিনি আনুষ্ঠানিক মঞ্জুরী আদেশ সাপেক্ষে, তাহাকে অনুর্ধ ১৫ দিনের জন্য ছুটিতে যাইবার অনুমতি দিতে পারেন।
ছুটিকালীন বেতন:
(১) কোন কর্মচারী পূর্ণ বেতনে ছুটিতে থাকাকালে উক্ত ছুটি আরম্ভের পূর্বে তিনি সর্বশেষ যে বেতন পাইয়াছেন সেই বেতনের সমান হারে ছুটিকালীন বেতন পাইবার অধিকারী হইবেন।
(২) কোন কর্মচারী অর্ধ বেতনে ছুটিতে থাকাকালে উক্ত ছুটি আরম্ভের পূর্বে তিনি সর্বশেষ যে বেতন পাইয়াছেন সেই বেতনের অর্ধ হারে ছুটিকালীন বেতন পাইবার অধিকারী হইবেন।
ছুটি হইতে প্রত্যাবর্তন করানোঃ
ছুটি ভোগরত কোন কর্মচারীকে ছুটির মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে দায়িত্ব পালনের জন্য তলব করা যাইতে পারে এবং তাহাকে অনুরূপভাবে তলব করা হইলে, তিনি যে কর্মস্থলে ফিরিয়া আসিবার জন্য নির্দেশিত হইয়াছেন, উহার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার তারিখ হইতে তাহাকে কর্মরত বলিয়া গণ্য করা হইবে এবং এই এতদুদ্দেশ্যে ভ্রমণের জন্য তিনি ভ্রমণ ভাতা পাইবার অধিকারী হইবেন।
ছুটির নগদায়নঃ-
(১) যে কর্মচারী অবসর ভাতা বা ভবিষ্য তহবিলের সুবিধা গ্রহণের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন নাই, তিনি তাঁহার সম্পূর্ণ চাকুরীকালের জন্য সর্বাধিক ১৮ মাস পর্যন্ত, প্রতি বৎসরে প্রত্যাখাত ছুটির ৫০% ভাগ নগদ টাকায় রূপান্তরিত করার জন্য অনুমতি পাইতে পারেন।
(২) সর্বশেষ মূল বেতনের ভিত্তিতে উপ-প্রবিধান (১) এ উল্লেখিত ছুটি নগদ টাকায় রূপান্তরিত করা যাইবে।
(ছুটি বিধি: ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া,
বিচারপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট)
CrPC তদন্ত সম্পর্কে আলোচনা:
তদন্ত (Investigaion): ১৮৯৮ সালে প্রণীত ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪(ঠ) উপধারা অনুযায়ী কোনো ঘটনার সত্যতা নির্ণয়ের জন্য সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে পুলিশ অফিসার বা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার অথবা অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক পরিচালিত কার্যক্রমকে তদন্ত বলে।[ফৌ:কা: ১৫৬, ১৫৭ ধারা ও পিআরবি ২৫৮/৬১৬ বিধি]
আদালতে মামলা করলে অনেক সময় তদন্ত করতে থানায় পাঠান ।পুলিশ অফিসার তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠালে তা দেখে আদালত মামলার পরর্বতিতে স্টেপ নেন,
১/ পুলিশের তদন্ত আপনি মেনে না নিলে বিজ্ঞ আদালতে নারাজি দরখাস্ত করবেন।
২/ পি বি আই তদন্ত চাইতে পারেন, তাতেও তদন্তে মূলবিষয় উঠে না আসলে,
৩/ জুডিশিয়াল তদন্ত চাইতে পারেন,
আদালত নারাজি দরখাস্ত খারিজ করলে উচ্চ আদালতে আইননুসারে প্রতিকার চাইতে পারেন।
Maruf Hossen Jewel
M.S.S, B.S.S, LL.B, LL.M
Rajshahi Judge Court, Rajshahi.
যদি সাক্ষ্য প্রমানে প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত ব্যক্তি আদালতে বিচারাধীন অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট বা এই অপরাধটি সে সংঘটন করেছে। আদালত তার বিরুদ্ধে এমন ভাবে ব্যবস্থা নিতে পারবেন যেন সে সমন পেয়ে বা গ্রেফতার হয়ে আদালতে উপস্থিত হয়েছে।
ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৫১/২ ধারা অনুযায়ী, বিচার শুরু হবার পর এইরুপ আটক হলে উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কিত কার্যক্রম নতুন ভাবে আরম্ভ করতে হবে এবং সাক্ষীদের বক্তব্য পুনরায় শুনতে হবে।
More Read পরিমাপ সম্পর্কিত তথ্য
হিন্দু উত্তরাধিকার আইন ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে:
১। দায়ভাগ;
২। মিতাক্ষরা; বাংলাদেশ এবং ভারতে দায়ভাগ মতবাদ প্রচলিত আছে।
দায়ভাগ পদ্ধতিতে পিণ্ডদান মতবাদ দিয়ে উত্তররাধিকারী নির্ণয় করা হয়ে থাকে। পিণ্ড অর্থ হল শরীর: মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধের সময় মৃত ব্যক্তির পিণ্ড বা শরীরের সাথে রক্ত সম্পর্কীয় উক্তরাধিকারীগন মৃত ম্যক্তির আত্নার কল্যাণে কোন কিছু উৎসর্গ করলে তাকে পিণ্ডদান বলে।
দায়ভাগ মতবাদ অনুসারে উক্তরাধিকারী ৩ প্রকার:
ক। সপিণ্ড,
খ। সকুল্য ও
গ। সমানোদক।
উক্ত ৫ জন জীবনস্বত্ত্ব জমি ভোগ দখল করতে পারেন কিন্তু হস্থান্তর করতে পারেন না। তাদের মৃত্যুর পর উক্ত সম্পত্তি মৃত ব্যক্তির নামে ন্যস্ত হয়ে পুনরায় নিকটস্থ উত্তরাধিকারীর কাছে চলে যায়। তবে বিধবা স্ত্রী অস্বচ্ছল হলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে জমি বিক্রি করতে পারেন।
প্রপিতামহের উর্ধ্বতন ৩ পুরুষ সকুল্য নামে পরিচিত। সপি-র ৫৩ জনের কেউ বিদ্যমান না থাকলে সকুল্যগন সম্পত্তির উত্তরাধিকার লাভ করে। সকুল্যেও মোট সংখ্যা ৩৩জন সকলেই পুরুষ।
সকুল্যের উর্ধ্বতন ৭ পুরুষকে সমানোদক বলে। সপিণ্ড ও সকুল্যের কেউ বিদ্যমান না থাকলে সমানোদকগন উত্তরাধিকার লাভ করে। সমানোকদের সংখ্যা ১৪৭ । এরা সকলেই পুরুষ। সপিণ্ড, সকুল্য ও সমানোদক এ ৩ শ্রেণীর উত্তরাধিকারদের কেউ না থাকলে ধর্মগুরুর নিকট সম্পত্তি চলে যাবে। ধর্মগুরুও না থাকলে সম্পত্তি রাষ্ট্রের (সরকারের) নিকট চলে যাবে।
১। সপিণ্ড, সকুল্য ও সমানোদক এর মধ্যে ক্রমানুসারে সম্পত্ত্বি বণ্টন করতে হবে।
২। ১ পুত্র থাকলে সে সকল সম্পত্তি পাবে। একাধিক পুত্র থাকলে সমান ভাগ হবে।
৩। নিকটবর্তী পুরুষ থাকলে পরবর্তী পুরুষ সম্পত্তি পাবে না।
৪। বিধবা স্ত্রী এক পুত্রের সমান অংশ জীবন স্বত্ব পাবে। তার মৃত্যুর পর উক্ত সম্পত্তি পুনরায় পুত্রদের নিকট চলে আসবে। একাধিক বিধবা স্ত্রী থাকলে সকলে একত্রে একপুত্রের সমান সম্পত্তি জীবন স্বত্বে পাবে।
৫। বিধবা পুত্র বধু/বিধবা পৌত্র বধূ থাকলে সে এক পুত্রের সমান জীবনস্বত্ব পাবে। অর্থাৎ বিধবা স্ত্রীর সমান অংশ জীবনস্বত্ব পাবে।
৬। পুত্র, পৌত্র, প্রপৌত্র, বিধবা স্ত্রী, বিধবা পুত্র বধূ/বিধবা পৌত্র বধূ/বিধবা প্রপৌত্র বধূ না থাকলে কন্যা উত্তরাধিকারী হবে। ১ম অবিবাহিত কন্যা পাবে। অবিবাহিত কন্যা না থাকলে পুত্রবতি কন্যা পাবে।
৭। কন্যার পর কন্যার পুত্রগণ এরপর পিতা পরবর্তীতে সপিন্ডের ক্রমানুসারে সম্পত্তি পাবে।
Note: হিন্দু আইনে কিভাবে সম্পত্তি বণ্টন করা হয়, সকলের সাথে শেয়ার করে আইনি বিষয়ে জানতে এবং সচেতন হতে সাহায্য করুন।
Note: অপনি যত আেইন জানবেন, ততই নিজেকে শক্তিশালী অনুভব করবেন।
কোন মামলার চার্জশিটে যদি প্রকৃত আসামী যে অপরাধ সংগঠনে অংশ গ্রহন করেছিল সে বাদ যায় তবে তাকে আসামীভুক্ত করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট আপনি নারাজীর পিটিশন দিবেন।
নারাজী অর্থ আমি মানি না।
অর্থাৎ যাদের কে আসামী থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তা আমি মানি না। তাকে আসামী করা হোক।
মনে করেন আপনি কয়েক জনের মাধ্যমে ভিকটিম হয়েছেন এবং তাদের বিরোধ্য মামলাও করেছেন। কিন্তু মামলার তদন্ত রিপোর্টের সময় দেখলেন, অপরাধে সক্রিয় অংশগ্রহন ছিল কিন্তু পুলিশ তাদের চার্জশিট না দিয়ে ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে যে তারা উক্ত অপরাধে জরিত নয়।
তখন আপনি ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট নারাজী পিটিশন দিবেন যেন বাদ যাওয়া আসামীদের অন্তর্ভুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে বিচার করা হয়।
ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ২০০ ধারা আনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেট ফরিয়াদীর জবানবন্দী গ্রহন করে তা ১৯০ ধারা অনুযায়ী আমলে নিবে। অথবা ২০২ ধারা অনুযায়ী অনুসন্ধানের জন্য কোন ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ অফিসার বা অন্য কোন ব্যাক্তির নিকট প্রেরন করবে।
ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ২০০ ধারা আনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেট ফরিয়াদীর জবানবন্দী গ্রহন করে তা ১৯০ ধারা অনুযায়ী আমলে নিবে। অথবা ২০২ ধারা অনুযায়ী অনুসন্ধানের জন্য কোন ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ অফিসার বা অন্য কোন ব্যাক্তির নিকট প্রেরন করবে।
মনে রাখবেন নারাজী পিটিশন একটি নালিশী মামলা ম্যাজিস্ট্রেট তা মামলার মত নিস্পত্তি করবে।
যদি নারাজী পিটিশন অগ্রাহ্য হয় তবে ৪৩৬ ধারা অনুযায়ী দায়রা আদালত বা হাইকোর্ট বিভাগে তদন্ত বা অনুসন্ধানের আবেদন করবে। অথবা নতুন করে উক্ত বিষয়ে নালিশী দরখাস্ত করতে পারবে।
সকলের সাথে শেয়ার করে আইনি বিষয়ে জানতে এবং সচেতন হতে সাহায্য করুন।
অপনি যত আেইন জানবেন, ততই নিজেকে শক্তিশালী অনুভব করবেন।
Note: সকলের সাথে শেয়ার করে আইনি বিষয়ে জানতে এবং সচেতন হতে সাহায্য করুন।
Note: অপনি যত আেইন জানবেন, ততই নিজেকে শক্তিশালী অনুভব করবেন।
ফৌজদারী
এই কার্যবিধির বিধান সম্পর্ক সম্যক জ্ঞান না থাকলে কোন উকিল কিংবা কোন সাধারণ নাগরিক কোন ফৌজদারি মামলা সাফল্যের সঙ্গে রুজু করতে, মামলা চালাতে বা মক্কেলের পক্ষে যথার্থ ভূমিকা পালন করতে পারেন না, এমন কি একজন ম্যাজিস্ট্রেট মামলার বিচারকার্য যথাযথভাবে পরিচালনা এবং এর নিষ্পত্তি করতে পারেন না। একজন ব্যক্তির জানা আবশ্যক যে, কোন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট অভিযোগ পেশ করতে হবে বা মামলা দায়ের করতে হবে অথবা কোন থানায় এজাহার করতে হবে। যে ম্যাজিস্ট্রেট অথবা যে থানার অধিক্ষেত্র বা এলাকায় অপরাধ সংগঠিত হয়েছে সব সময়েই সেই ম্যাজিস্ট্রেট অথবা সেই থানায় অভিযোগ করতে হবে। কোন অভিযোগ গ্রহণের পর ম্যাজিস্ট্রেট ফরিয়াদীর এবং তার উপস্থিত সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন অথবা মামলার তদন্ত করেন এবং মামলাটি বিচারার্থ গ্রহণ করেন অথবা অভিযোগটি খারিজ করে দেন। অপর দিকে একটি অপরাধ সম্বন্ধে এজাহার গ্রহণের পর পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে। ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্তকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দিতে পারেন অথবা পুলিশের প্রতিবেদনের প্রকৃতি অনুযায়ী অভিযুক্তের বিচারার্থ অপরাধটি গ্রহণ করতে পারেন। বিচারার্থ মামলা গ্রহণ করার পর ম্যাজিস্ট্রেটকে সমন বা পরোয়ানা জারির মাধ্যমে অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করার ব্যবস্থা করতে হয়। যেক্ষেত্রে অভিযুক্ত পলাতক থাকে বা ফেরার হয়ে যায় সেক্ষেত্রে তার সম্পত্তি ক্রোক করার নির্দেশ প্রদান করতে হয়। যদি এ ব্যবস্থায়ও অভিযুক্তকে হাজির করা সম্ভব না হয় তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্তের নাম সরকারি গেজেট এবং জাতীয় দৈনিকসমূহে প্রকাশ করে থাকেন। যদি মামলাটি ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচারের যোগ্য হয় তাহলে তিনি এর বিচার করতে পারেন অথবা বিচারের জন্য তার অধীনস্থ অন্য কোন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট প্রেরণ করতে পারেন। যদি মামলাটি দায়রা আদালত কর্তৃক বিচারের যোগ্য হয় তাহলে তিনি মামলাটি বিচারের জন্য দায়রা জজের নিকট প্রেরণ করেন। দায়রা জজ নিজেই মামলার বিচারকার্য পরিচালনা করতে পারেন অথবা মামলাটি বিচারের জন্য তিনি অতিরিক্ত দায়রা জজ অথবা সহকারি দায়রা জজের নিকট প্রেরণ করতে পারেন। ম্যাজিস্ট্রেট অথবা জজ তখন সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণের মাধ্যমে মামলার বিচারকার্য সম্পন্ন করেন এবং অভিযুক্তকে অপরাধী সাব্যস্ত অথবা খালাস দানের রায় প্রদান করেন। অপরাধী সাব্যস্ত একজন আসামী পরবর্তী উচ্চতর আদালতে আপীল করতে পারেন। আপীল আদালত উক্ত মামলার আপীল শুনানি গ্রহণ করেন। খালাসের আদেশের বিরুদ্ধে আপীল অথবা আদালতে পুনর্বিচারের জন্য আবেদন দাখিল করা যায়। একটি ফৌজদারি মকদ্দমা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধিতে বর্ণিত প্রক্রিয়া দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে।
১। যার কাছ থেকে জমি জমি ক্রয় করবেন তার কাছ থেকে :
ক) সি.এস খতিয়ান,
খ) আর.এস খতিয়ান, বি.এস/ সিটি জরীপের খতিয়ান
গ) সর্বশেষ পর্যন্ত যে সকল বেচাকেনা হয়েছে সেগুলোর বায়া দলিল,
ঘ) নামজরী খতিয়ান
ঙ) হাল সনের খাজনার দাখিলাসহ সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্র।
২। এ কাগজগুলো দিয়ে মালিকানা স্বত্ত্ব পরিক্ষা করে দেখতে হবে।
যেমন- সি.এস খতিয়ান, এস.এ খতিয়ান, আর.এস/বি.এস খতিয়ান ও সিটি জরীপের খতিয়ান পাশাপাশি মিলিয়ে দেখতে হবে জেলা, মৌজা, থানা, দাগ নম্বর ইত্যাদি মিলে কিনা।
যদি না মিলে তবে ঐ মৌজার সি.এস নকশা,আর.এস./বি.এস ও ঢাকা সিটি জরীপের নকশা জোগাড় করে তাদের তুলনা করে দেখতে হবে সি.এস দাগ ভেঙে কয়টি আর.এস. দাগ বা সিটি জরীপের দাগ সৃষ্টি হয়েছে এবং সেগুলো কি কি।
এরপর ভূমি রেকর্ড রুম হতে ঐ খতিয়ানগুলোর সই মুহুরী নকল নিয়ে মালিকের নাম নিশ্চিত করতে হবে।
যদি সি.এস খতিয়ানে মালিকের নামের সহিত এস.এ বা আর.এস খতিয়ানের মিল না পাওয়া যায় তবে দেখতে হবে সি.এস এর মালিক জমিটি কি করলেন। তিনি যদি বিক্রি, দান, হেবা, এওয়াজ বা কোনরূপ হস্তান্তর করে থাকেন তবে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে তল্লাশি দিতে হবে এবং হস্তান্তর দলিলের সই মুহুরী নকল বের করতে হবে। একইভাবে পরবর্তী সকল খতিয়ানের মালিকানার ক্ষেত্রে তা পরিক্ষা করতে হবে। কিভাবে হস্তান্তরিত হয়ে রেকর্ড প্রস্তুত হয়েছে।
৩। বিক্রেতার জমিটি তার অন্যান্য শরীকদের সঙ্গে অংশনামা হয়েছে কিনা তা দেখতে হবে। বিক্রেতা যদি বলেন যে আপোষমুলে বণ্টন হয়েছে, কিন্তু না রেজিস্ট্রি হয়নি, তবে ফারায়েজ অনুযায়ী বিক্রেতা যেটুকু অংশের দাবিদার শুধু সেটুকু কিনাই নিরাপদ হবে।
৪। বিক্রেতা যদি তার কিনা জমি বিক্রি করতে চান তবে রেকর্ডীয় মালিক থেকে পরবর্তীতে হস্তান্তরিত সকল বায়া দলিলসমুহে বর্ণিত স্বত্ব ঠিক আছে কিনা তা দেখতে হবে। ঐ দলিলে বর্ণিত খতিয়ান ও দাগ নম্বর বের করে তাও বিশ্লেষন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিস ও ভূমি অফিস থেকে সই মুহুরী নকল নিয়ে তা যাচাই করতে হবে।
৫। যাচাই করতে হবে জমিটি খাস, পরিত্যক্ত, শত্রু সম্পত্তি কিনা বা সরকার কোন কারনে অধিগ্রহণ করেছে কিনা।
৬। জমি বিক্রেতার মালিকানা স্বত্ব বা বিক্রয়ের বৈধ অধিকার আছে কিনা তা দেখতে হবে। অর্থাৎ জমির মালিক নাবালক বা অপ্রকৃতিস্থ কিনা লক্ষ্য রাখতে হবে। নাবালক হলে আদালতের মাধ্যমে অভিভাবক নিযুক্ত করে বিক্রয়ের অনুমতি নিতে হবে।
৭। কিনার আগে সব অংশীদারকে নোটিশ দিতে হবে যাতে পরবর্তীতে অগ্রক্রয়/প্রিয়েমশান মোকদ্দমা হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে।
৮। এবার দেখতে হবে বিক্রেতা ঐ জমির ব্যাপারে কাউকে আমমোক্তার নিযুক্ত করেছেন কিনা, এছাড়া ব্যাংক কিংবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে বন্ধক রেখেছেন কিনা। আর উক্ত জমিটি নিয়ে কোন মাোমলা বিচারাধীন আছে কিনা কিংবা কোন প্রকার মামলা নিস্পত্তি হয়েছে আছে কিনা তা দেখাও বাঞ্ছনীয়।
৯। জমির মালিকানা স্বত্ব সঠিক পাওয়ার পর আপনাকে সি.এস/আর.এস/বি.এস/ঢাকা সিটি জরীপের নকশা নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখতে হবে নকশা অনুযায়ী ঐ জমিটি সেই দাগের কিনা।
১০। এরপর বিক্রয়ের জন্য নির্দিষ্ট জমিটি বর্তমানে কে দখলে আছে, কিনতে গেলে কোন কারনে ভোগ দখলে বাধাগ্রস্থ হবে কিনা কিংবা রাস্তা বা পথাধিকারের কোন বাধা নিষেধ আছে কিনা তাও সরেজমিনে যাচাই করে নিতে হবে।
সবকিছু সঠিক পাওয়া গেলে তারপর রেজিস্ট্রি করার জন্য দলিল প্রস্তুত করতে হবে। দলিল লিখার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক। এখন আগের মতো বর্ণনামূলক দলিল প্রস্তুত করা হয়না। নতুন আইনে ছকাকারে যেভাবে কলামগুলো পূরণ করতে হয় সেগুলোর প্রতিটি কলাম সঠিক জেনে পূরণ করা উচিত। এক্ষেত্রে ভূমি আইন, হেবা আইন, রেজিস্ট্রেশন আইন জানা লোকদের দিয়ে দলিল প্রস্তুত করাই ভালো। দলিল রেজিস্ট্রির সময় রেজিস্ট্রি অফিসের সত্যায়িত এক কপি সহমুহুরী নকল নিজের কাছে রেখে দিন এবং সময়মত মূল দলিল উঠিয়ে নিবেন।
Maruf Hossen Jewel
M.S.S, B.S.S, LL.B, LL.M
Rajshahi Judge Court, Rajshahi.
Hi I'm
I am a construction business owner, part time marketer, and soon to be web developer.
I love the internet, technology, and building beautiful things.
I'm originally from Toronto, Ontario.
My favorite hobby is building things on the internet like ecommerce sites and email marketing campaigns.
My dream job is similar to my current job except I would like to be building software instead of buildings.
I live on a rural acreage, but I'm close to Ottawa and Montreal.
Because programming is awesome and programming for the internet is even more awesome.
যৌতুক নিরোধ আইন সম্পর্কে বিস্তারিত
যৌতুক নিরোধের উপর সর্বপ্রথম আইন তৈরী করা হয় ১৯৮০ সালে।সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নতুন করে যৌতুক নিরোধের উপর আইন তৈরী করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।তাই ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইন বাতিল করে ২০১৮ সালে নতুন করে যৌতুক নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়।যা যৌতুক নিরোধ আইন,২০১৮ নামে অভিহিত হবে।
যৌতুক[ধারা:2(খ)]
এখানে বলা হয়েছে,যৌতুক হল বিবাহের একপক্ষ কর্তৃক অন্য পক্ষের নিকট বৈবাহিক সম্পর্ক স্হাপনের পূর্বশর্ত হিসেবে বিবাহের পণ বাবদ দাবীকৃত অর্থ-সামগ্রী বা অন্য কোন সম্পদ।যৌতুক বিবাহের আগে অথবা বিবাহের সময় অথবা বিবাহের পরেও দাবী করা যেতে পারে।মুসলীম ব্যক্তিগত আইনের ক্ষেত্রে দেনমোহর বা মোহরানা যৌতুক হিসেবে গণ্য হবে না। বিবাহের সময় বিবাহের পক্ষগণের আত্নীয়-স্বজন,বন্ধু-বান্ধব বা শুভাকাঙ্ক্ষী কর্তৃক কোন পক্ষকে প্রদত্ত উপহার-সামগ্রী যৌতুক হিসেবে গণ্য হবে না।
যৌতুক দাবী করার দন্ড[ধারা-৩]
বিবাহের এক পক্ষ আরেক পক্ষের কাছে যৌতুক দাবী করলে, সেটা এই আইনের অধীনে একটি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।এক্ষেত্রে যৌতুক দাবীকারী পক্ষের শাস্তি হবে অনধিক ৫ বছর কিন্তু অন্যূন ১ বছর কারাদন্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয়দন্ড।
যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ করার দন্ড[ধারা-৪]
যদি বিবাহের এক পক্ষ যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ করে অথবা যৌতুক প্রদান বা গ্রহণে সহায়তা করে অথবা যৌতুক প্রদান বা গ্রহণের উদ্দেশ্যে চুক্তি করে,তাহলে সেটা এই আইনের অধীনে একটি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।তার জন্য যৌতুক প্রদান বা গ্রহণকারী ব্যক্তি অনধিক ৫ বছর কিন্তু অন্যূন ১ বছর কারাদন্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয়দন্ডে দন্ডনীয় হবেন।
যৌতুক নিরোধ আইন সম্পর্কে বিস্তারিত |
যৌতুক সংক্রান্ত চুক্তি ফলবিহীন[ধারা-৫]
এখানে বলা হয়েছে, যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ সংক্রান্ত চুক্তি ফলবিহীন(void) হবে।তার মানে যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ নিয়ে কোন চুক্তি হলে সেটা বাতিল বলে গণ্য হবে।এটাকে কোন চুক্তি হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না।
মিথ্যা মামলা দায়েরের দন্ড[ধারা-৬]
যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে এই আইনের অধীনে মিথ্যা মামলা দায়ের করে, তাহলে তিনি অনধিক ৫ বছর কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয়দন্ডে দন্ডিত হবেন।তার মানে আইনানুগ কারণ ছাড়া কারো নামে মামলা করা যাবে না।কারো বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে ন্যায্য কারণ থাকতে হবে।
ছুটি সম্পর্কিত নিয়মাবলি The Prescribed Leave Rules 1959, Fundamental Rules, Bangladesh Service Rules এবং সময়ে সময়ে সরকার কর্তৃক জারিকৃত আদেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। উক্ত বিধিমালা ও বিভিন্ন আদেশের আওতায় নিম্নোক্ত প্রকার ছুটির বিধান রয়েছে।
সরকারি চাকরিজীবীদের বিভিন্ন প্রকারের ছুটি সম্পর্কে বিস্তারিত টিঃ- |
(১) কোন কর্মচারী নিম্নবর্ণিত যে কোন ধরণের ছুটি পা্ইবেন, যথাঃ
(ক) পূর্ণ বেতনে ছুটি;
(খ) অর্ধ বেতনে ছুটি;
(গ) বিনা বেতনে অস্বাধারণ ছুটি (Without Pay Extraordinary Leave);
(ঘ) বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি (Special Disability Leave);
(ঙ) সংগনিরোধ ছুটি (Quarantine Leave);
(চ) প্রসূতি ছুটি (Maternity Leave);
(ছ) অধ্যয়ন ছুটি (Study Leave); এবং
(জ) নৈমিত্তিক ছুটি (Casual Leave) ।
(২) উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কোন কর্মচারীকে বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি ও অধ্যয়ন ছুটি ব্যতীত অন্যবিধ ছুটি মঞ্জুর করিতে পারেন এবং ইহা বন্ধের দিনের সাথে সংযুক্ত করিয়াও প্রদান করা যাইতে পারে।
পূর্ণ বেতনে ছুটিঃ
(১) প্রত্যেক কর্মচারী তৎকর্তৃক দায়িত্ব পালনে অতিবাহিত কার্যদিবসের ১/১১ হারে পূর্ণ বেতনে ছুটি অর্জন করিবেন এবং পূর্ণ বেতনে প্রাপ্য এককালীন ছুটির পরিমাণ চার মাসের অধিক হইবে না।
(২) ………….এর পূর্ব অনুমোদন নিয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি ও অধ্যয়ন ছুটি মঞ্জুর করিতে পারেন।
(৩) অর্জিত ছুটির পরিমাণ চার মাসের অধিক হলে, তাহা ছুটির হিসাবের অন্য খাতে জমা দেখানো হইবে, ইহা হইতে ডাক্তারী সার্টিফিকেট উপস্থাপন সাপেক্ষে অথবা বাংলাদেশের বাইরে ধর্মীয় সফর, অধ্যয়ন বা অবকাশ ও চিত্তবিনোদনের জন্য পূর্ণ বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে।
অর্ধ বেতনে ছুটিঃ
(১) প্রত্যেক কর্মচারী তৎকর্তৃক দায়িত্ব পালনে অতিবাহিত কার্য দিবসের ১/১২ হারে অর্ধ বেতনে অর্জন করিবেন এবং এইরূপ ছুটি জমা হওয়ার কোন সীমা থাকিবে না।
(২) অর্ধ-বেতনে দুই দিনের ছুটির পরিবর্তে, ডাক্তারী সার্টিফিকেট দাখিল সাপেক্ষে, এক দিনের পূর্ণ বেতনে ছুটির হারে গড় বেতনে ছুটিতে সর্বোচ্চ বার মাস পর্যন্ত পূর্ণ বেতনে ছুটিতে রূপান্তরিত করা যাইতে পারে।
প্রাপ্যতাবিহীন ছুটি:
১) ডাক্তারী সার্টিফিকেট দ্বারা সমর্থিত হইলে, কোন কর্মচারীকে তাহার সমগ্র চাকুরী জীবনে সর্বোচ্চ বার মাস পর্যন্ত এবং অন্য কোন কারণে হইলে, তিন মাস পর্যন্ত অর্ধ বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে।
(২) যখন কোন কর্মচারী তাহার ছুটি পাওনা হওয়ার পূর্বেই প্রাপ্যতাবিহীন ছুটি ভোগ করিয়া ফিরিয়া আসেন তখন তিনি পূর্বেই যে ছুটি ভোগ করিয়াছেন সেই ছুটি অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত নূতনভাবে গড় অর্ধ বেতনে কোন ছুটি পাইবার অধিকারী হইবেন না।
অসাধারণ ছুটি:
(১) যখন কোন কর্মচারীর অন্য কোন ছুটি পাওনা না থাকে বা অন্য প্রকার কোন ছুটি পাওনা থাকে অথচ সংশিলষ্ট কর্মচারী লিখিতভাবে অস্বাভাবিক ছুটির জন্য আবেদন করেন তখন তাহাকে অসাধারণ ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে।
(২) অসাধারণ ছুটির মেয়াদ একবারে তিন মাসের অধিক হইবে না, তবে নিম্ন বর্ণিত ক্ষেত্রে উক্ত ছুটির মেয়াদ বর্ধিত করা যাইতে পারে,
(ক) যে ক্ষেত্রে সংশিলষ্ট কর্মচারী এই শর্তে বিদেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণের অনুমতি প্রাপ্ত হন যে, উক্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণের পরে পাঁচ বৎসরের জন্য তিনি …………… এ চাকুরী করিবেন, অথবা
(খ) যে ক্ষেত্রে সংশিলষ্ট কর্মচারী চিকিৎসাধীন থাকেন; অথবা
(গ) যে ক্ষেত্রে …………………. এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কর্মচারী তাহার নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে কর্তব্যে যোগদান করিতে অসমর্থ।
(৩) ছুটি মঞ্জুর করার ক্ষমতা সম্পন্ন কর্তৃপক্ষ কোন কর্মচারীর বিনা ছুটিতে অনুপস্থিতির সময়কে ভূতাপেক্ষ কার্যকরতাসহ অসাধারণ ছুটিতে রূপান্তরিত করিতে পারেন।
বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটিঃ
(১) কোন কর্মচারী তাঁহার যথাযথ কর্তব্য পালনকালে বা উহা পালনের পরিণতিতে অথবা তাঁহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবার কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হইয়া অক্ষম হইলে, ……………..তাঁহাকে বিশেষ অক্ষমতা ছুটি মঞ্জুর করিতে পারে।
(২) যে অক্ষমতার কারণে অক্ষমতাজনিত ছুটি চাওয়া হয় সেই অক্ষমতা তিন মাসের মধ্যে প্রকাশ না পাইলে এবং যে ব্যক্তি অক্ষম হন, সেই ব্যক্তি অনুরূপ অক্ষমতার কারণে অবিলম্বে …………. কে অবহিত না করিলে, বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি মঞ্জুর করা হইবে না।
(৩) যে মেয়াদের জন্য বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি প্রয়োজনীয় বলিয়া চিকিৎসা পরিষদ প্রত্যায়ন করিবে সেই মেয়াদের জন্য বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি মঞ্জুর করা হইবে, এবং চিকিৎসা পরিষদের প্রত্যায়ন ব্যতিরেকে তাহা বর্ধিত করা হইবে না; এবং উক্ত ছুটি কোন ক্রমেই ২৪ মাসের অধিক হইবে না।
(৪) বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি অন্য যে কোন ছুটির সংগে সংযুক্ত করা যাইতে পারে।
(৫) যদি একই ধরণের অবস্থায় পরবর্তীকালে কোন সময় অক্ষমতা বৃদ্ধি পায় বা উহার পুনরাবৃত্তি ঘটে, তাহা হইলে একাধিকবার বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে, তবে অনুরূপ ছুটির পরিমাণ ২৪ মাসের অধিক হইবে না এবং তাহা যে কোন একটি অক্ষমতার কারণে মঞ্জুর করা যাইবে।
(৬) শুধুমাত্র আনুতোষিকের এবং যে ক্ষেত্রে অবসর ভাতা প্রাপ্য হয় সেক্ষেত্রে অবসর ভাতার ব্যাপারে চাকুরী হিসাব করিবার সময় বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি কর্তব্য পালনের সময় হিসাবে গণনা করা হইবে এবং ইহা ছুটির হিসাব হইতে বিয়োজন করা হইবে না।
(৭) বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটিকালীন বেতন হইবে নিম্নরূপ যথাঃ¾
(ক) উপরিউক্ত উপ-প্রবিধান (৫) এর অধীনে মঞ্জুরকৃত ছুটির মেয়াদসহ যে কোন মেয়াদের ছুটির প্রথম চার মাসের জন্য পূর্ণ বেতন; এবং
(খ) এইরূপ কোন ছুটির অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য অর্ধ বেতন।
(৮) এই প্রবিধানের অন্যান্য বিধানসমূহের প্রযোজ্যতা এমন কর্মচারীর ক্ষেত্রেও সম্প্রসারিত করা যাইতে পারে যিনি তাহার যথাযথ কর্তব্য পালনকালে বা উহা পালনের পরিণতিতে অথবা তাঁহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবার কারণে, দুর্ঘটনাবশতঃ আঘাতপ্রাপ্ত হইয়াছেন অথবা যিনি নির্দিষ্ট কোন কর্তব্য পালনকালে তাঁহার পদের স্বাভাবিক ঝুকি বহির্ভূত অসুস্থতা বা জখম বাড়াইয়া তোলার সম্ভাবনা থাকে এইরূপ অসুস্থতার দরচণ অক্ষম হইয়াছেন।
সঙ্গ নিরোধ ছুটি (Quarantine Leave)
সঙ্গ নিরোধ ছুটি সম্পর্কে বি, এস, আর -১৯৬ এর নিম্নরূপঃ
(১) কোন কর্মচারীর পরিবারে বা গৃহে সংক্রামক ব্যাধি থাকার কারণে যদি আদেশ দ্বারা তাহাকে অফিসে উপস্থিত না হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় তবে সেই সময়কাল হইবে সঙ্গনিরোধ ছুটি।
(২) অফিস প্রধান কোন চিকিৎসক কর্মকর্তা বা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তার সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে অনুর্ধ ২১ দিন অথবা বিশেষ অবস্থায় ৩০ দিন পর্যন্ত সঙ্গনিরোধ ছুটি মঞ্জুর করিতে পারিবেন।
(৩) সংগরোধের জন্য প্রয়োজনীয় উপ-প্রবিধান (২) এ উল্লেখিত মেয়াদের অতিরিক্ত ছুটি প্রয়োজন হইলে এই অতিরিক্ত ছুটি সাধারণ ছুটি হিসাবে গণ্য হইবে।
(৪) এই প্রবিধানমালা অনুযায়ী প্রাপ্য সর্বাধিক ছুটি সাপেক্ষে, প্রয়োজন হইলে অন্যবিধ ছুটির সহিত সংগরোধ ছুটিও মঞ্জুর করা যাইতে পারে।
(৫) সংগরোধ ছুটিতে থাকাকালে কোন কর্মচারীকে তাহার দায়িত্ব পালনে অনুপস্থিত বলিয়া গণ্য করা হইবে না এবং এই সময়ে উক্ত পদে অন্য কোন লোক নিয়োগ করা যাইবে না। ইহাছাড়া, উক্ত ছুটি ভোগকালে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী স্বাভাবিক নিয়মানুসারে বেতন ভাতাদি পাইবেন।
(৬) এই প্রকার ছুটির মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ অফিস প্রধান।
বিশ্লেষণঃ ১) কলেরা, গুটি বসন্ত, প্লেগ, টাইফয়েড জ্বর এবং সেরিব্রোস্পাইনাল মেনেনজস্ট্যাটিস রোগের ক্ষেত্রে এই প্রকার ছুটি প্রদান করা যাইবে (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং জনস্বাস্থ্য/১ কিউ-৪/৩৪২, তারিখ: ২৩ এপ্রিল, ১৯৭৫)।
বিশ্লেষণঃ ২) এই প্রকার ছুটি “ ছুটি হিসাব ” হইতে বিয়োগ হয় না এবং নৈমিত্তিক ছুটির অনুরূপভাবে ছুটির হিসাবের জন্য এই প্রকার ছুটিকালকে কর্মকাল হিসাবে গণ্য করা হয়।
প্রসূতি (মাতৃত্ব) ছুটি সংক্রান্ত বিধি বিধান
বি এস আর -১৯৭, এফ আর-১০১ এবং এস আর (এফ আর)-২৬৭, ২৬৮
ক) গর্ভবতী হওয়ার পর কোন মহিলা কর্মচারী প্রসূতি ছুটির জন্য আবেদন করিলে, বিধি-১৪৯ অথবা বিধি-১৫০ তে বর্ণিত কর্তৃপক্ষ ছুটি আরম্ভের তারিখ অথবা সন্তান প্রসবের উদ্দেশ্যে আতুর ঘরে আবদ্ধ হওয়ার তারিখ, ইহার মধ্যে যাহা পূর্বে ঘটিবে, ঐ তারিখ হইতেই ৬ (ছয়) মাসের ছুটি মঞ্জুর করিতে হইবে। তবে উক্ত ছুটি আরম্ভের তারিখ সন্তান প্রসবের উদ্দেশ্যে আতুর ঘরে আবদ্ধ হওয়ার তারিখের পরবর্তী কোন তারিখ হইতে পারিবে না। অর্থাৎ ছুটি আরম্ভের সর্বশেষ তারিখ হইবে সন্তান প্রসবের তারিখ। উল্লেখ্য গর্ভবতী হওয়ার স্বপক্ষে ডাক্তারী সার্টিফিকেটসহ আবেদন করা হইলে প্রসূতি ছুটির আবেদন না মঞ্জুর করার কিংবা ছয় মাস অপেক্ষা কম সময়ের জন্য ছুটি মঞ্জুর করার কিংবা ছুটি আরম্ভের তারিখ পরিবর্তন করিবার ক্ষমতা ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষের নাই। বি এস আর - ১৯৭ (১)
খ) গেজেটেড কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে সরকার অথবা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং নন-গেজেটেড কর্মচারীদের ক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অথবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তকর্তা এই ছুটি মঞ্জুরীর জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত। অর্থাৎ উভয় ক্ষেত্রেই অর্জিত ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ প্রসূতি ছুটি মঞ্জুরীর জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত। বি এস আর - ১৯৭ (১), ১৪৯ ও ১৫০
গ) সমগ্র চাকরি জীবনে প্রসূতি ছুটি দুইবারের বেশি প্রাপ্য নয়। বি এস এর- ১৯৭ (১)
ঘ) প্রসূতি ছুটি “ছুটি হিসাব” হইতে বিয়োগ হইবে না। অর্থাৎ প্রসূতি ছুটির জন্য ছুটি অর্জন করিতে হইবে না এবং পাওনা ছুটি হইতে প্রসূতি ছুটিকাল বাদ যাইবে না। বি এস এর- ১৯৭ (১বি)
ঙ) ছুটি ভোগকালে ছুটিতে যাওয়ার প্রাক্কালে প্রাপ্র বেতনের হারে পূর্ণ বেতন প্রাপ্য। বি এস এর- ১৯৭ (১)
চ) ডাক্তারী সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে গড় বেতনে অর্জিত ছুটিসহ যে কোন প্রকার ছুটির আবেদন করিলে প্রসূতি ছুটির ধারাবাহিকতাক্রমে উক্ত প্রকার ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে। এফ আর এর এস আর -২৬৮ এবং বি এস আর-১৯৭(২)
ছ) অস্থায়ী সরকারি কর্মচারীও প্রসূতি ছুটি প্রাপ্য। এফ আর এর এস আর -২৬৭ এর সরকারি সিদ্ধান্ত
বিশ্লেষণ: এসআরও নং ৮৪/নথি নং- ০৭.০০.০০০০.১৭১.০৮.০০১.১২/আইন/২০১২, তারিখ: ১ এপ্রিল ২০১২ দ্বারা সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখে চাকরির মেয়াদ নয় মাস পূর্ণ হয় নাই, এইরূপ অস্থায়ী কর্মচারীওক প্রসূতি ছুটি প্রদান না করা সংক্রান্ত বি এস এর, পার্ট-১ এর বিধি ১৯৭ এর নোট বিলুপ্ত করায় চাকরির মেয়াদ নির্বিশেষে সকল অস্থায়ী কর্মচারীগণও প্রসূতি ছুটি পাইবেন।
জ) মহিলা শিক্ষানবীশ (Lady Apprentices) এবং পার্ট-টাইম মহিলা ল’অফিসারও প্রসূতি ছুটি প্রাপ্য। এফ আর এর এস আর-২৬৭ এর সরকারি সিদ্ধান্ত।
বিশ্লেষণঃ ১) ডাক্তার কাউকে গর্ভবতী ঘোষনা করে সার্টিফিকেট প্রদান করলে সেই সার্টিফিকেটসহ প্রসূতি ছুটির আবেদন করলে কারো সাধ্য নেই ছুটি না মঞ্জুর করার। আর এটা সমগ্র চাকরি জীবনে ২ (দুই) বার পাওয়া যাবে।
বিশ্লেষণঃ ২) সন্তান প্রসবের দিন হতে অথবা তার আগের যেকোন দিন হতে ৬ (ছয়) মাস ছুটির জন্য আবেদন করা যাবে।
বিশ্লেষণঃ ৩) ছুটিতে থাকাকালীন সময়ে প্রসূতি মাতা পূর্ণ বেতন পাইবেন।
বিশ্লেষণঃ ৪) এই ছুটির সাথে অন্য ছুটি নেওয়া যাবে সেক্ষেত্রে একদিনের জন্য কর্মে যোগদান করে আবার ছুটি নেয়ার মতো কোন ফালতু বিষয় নেই।
বিশ্লেষণঃ ৫) সরকারি কর্মচারী চাকরি যোগদান করার পরদিন থেকেও এই ছুটি ভোগ করতে পারবেন। আগে এটা ছিল চাকরি ৯ (নয়) মাস পূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে। আইনটি যারা তৈরি করেছিলেন তারা হয়তো ভেবেছিলেন চাকরিতে যোগদানের পরই সরকারি চাকরিজীবি মহিলাদের বিয়ে হয় আর ৯ মাস পর বাচ্চা প্রসব হয়।
বিশ্লেষণঃ ৬) ৬ (ছয়) মাস মানে ৬ (ছয়) মাস। এটা ১৮০ দিনও হতে পারে আবার কম বেশিও্ হতে পারে। এটা নিয়ে রশি টানাটানি করতে করতে বাচ্চা প্রসব হয়ে গেলে দায় কে নিবে আমি জানিনা।
অপ-ব্যাখ্যাঃ ১) কোন এক উর্ধতন কর্তৃপক্ষ তার মহিলা কর্মচারিকে ২য় মাতৃত্ব ছুটি মঞ্জুর করবেন না বলে মত দিয়েছেন। ব্যাখ্যা হিসেবে বলেছেন ঐ মহিলা ইতোমধ্যেই দুই সন্তারের জননী যদিও প্রথম বাচ্চা চাকরিতে যোগদানের পূর্বেই জন্মগ্রহণ করেছে। আমার বড় ইচ্ছে হয় সেই কর্তাব্যক্তিটিকে দেখার।
অবসর গ্রহণের জন্য প্রস্ত্ততিমূলক ছুটি (বিলোপ):
(১) কোন কর্মচারী ছয় মাস পর্যন্ত পূর্ণ বেতনে এবং আরও ছয় মাস অর্ধ বেতনে অবসর গ্রহণের জন্য প্রস্ত্ততিমূলক ছুটি পাইবেন এবং এইরূপ ছুটির মেয়াদ তাহার অবসর গ্রহণের তারিখ অতিক্রম করার পরেও সম্প্রসারিত করা যাইতে পারে, কিন্তু আটান্ন বৎসরের বয়স-সীমা অতিক্রমের পর উহা সম্প্রসারণ করা যাইবে না।
(২) কোন কর্মচারী তাহার অবসর গ্রহণের তারিখের কমপক্ষে একমাস পূর্বে অবসর গ্রহণের প্রস্ত্ততিমূলক ছুটির জন্য আবেদন না করিলে তাহার পাওনা ছুটি অবসর গ্রহণের তারিখের পর তামাদি হইয়া যাইবে।
(৩) কোন কর্মচারী তাহার অবসর গ্রহণের তারিখের কমপক্ষে একদিন পূর্বে অবসর গ্রহণের জন্য প্রস্ত্ততিমূলক ছুটিতে যাইবেন।
অধ্যয়ন ছুটিঃ
(১) …………….এ তাহার চাকুরীর জন্য সহায়ক এইরূপ বৈজ্ঞানিক, কারিগরি বা অনুরূপ সমস্যাদি অধ্যয়ন অথবা বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ গ্রহণের জন্য কোন কর্মচারীকে ………… অর্ধ বেতনে অনধিক বার মাস অধ্যয়নের জন্য ছুটি মঞ্জুর করিতে পারেন, যাহা তাহার ছুটির হিসাব হইতে বাদ দেওয়া হইবে না।
(২) যে ক্ষেত্রে কোন কর্মচারীকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোন অধ্যয়ন ছুটি মঞ্জুর করা হয় এবং তিনি পরবর্তীকালে দেখিতে পান যে, মঞ্জুরীকৃত ছুটির মেয়াদ তাহার শিক্ষা কোর্স ও পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় মেয়াদ অপেক্ষা কম, সে ক্ষেত্রে সময়ের স্বল্পতা পূরণকল্পে …………. তাহাকে অনধিক এক বৎসরের জন্য উক্ত অধ্যয়ন ছুটির মেয়াদ বর্ধিত করিতে পারিবেন।
(৩) পূর্ণ বেতনে বা অর্ধ বেতনে ছুটি বা বিনা বেতনে অসাধারণ ছুটির সহিত একত্রে অধ্যয়ন ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে, তবে এইরূপ মঞ্জুরকৃত ছুটি কোনক্রমেই একত্রে মোট দুই বৎসরের অধিক হইবে না।
নৈমিত্তিক ছুটিঃ
সরকার সময়ে সময়ে উহার কর্মচারীদের জন্য প্রতি পঞ্জিকা বৎসরে মোট যতদিন নৈমিত্তিক ছুটি নির্ধারণ করিবেন কর্মচারীগণ মোট ততদিন নৈমিত্তিক ছুটি পাইবেন।
ছুটির পদ্ধতিঃ-
(১) প্রত্যেক কর্মচারীর ছুটির হিসাব…………কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ম ও পদ্ধতিতে রক্ষণাবেক্ষণ করা হইবে।
(২) ছুটির জন্য সকল আবেদন ……………কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে হইতে হইবে।
(৩) আবেদনকারী কর্মচারী যে কর্মকর্তার অধীনে কর্মরত আছেন তাহার সুপারিশক্রমে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ছুটি মঞ্জুর করিতে পারেন।
(৪) বিশেষ পরিস্থিতিতে, কোন কর্মকর্তা যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, তাহার অধীনে কর্মরত কোন কর্মচারীর ছুটি পাওনা রহিয়াছে, তবে তিনি আনুষ্ঠানিক মঞ্জুরী আদেশ সাপেক্ষে, তাহাকে অনুর্ধ ১৫ দিনের জন্য ছুটিতে যাইবার অনুমতি দিতে পারেন।
ছুটিকালীন বেতন:
(১) কোন কর্মচারী পূর্ণ বেতনে ছুটিতে থাকাকালে উক্ত ছুটি আরম্ভের পূর্বে তিনি সর্বশেষ যে বেতন পাইয়াছেন সেই বেতনের সমান হারে ছুটিকালীন বেতন পাইবার অধিকারী হইবেন।
(২) কোন কর্মচারী অর্ধ বেতনে ছুটিতে থাকাকালে উক্ত ছুটি আরম্ভের পূর্বে তিনি সর্বশেষ যে বেতন পাইয়াছেন সেই বেতনের অর্ধ হারে ছুটিকালীন বেতন পাইবার অধিকারী হইবেন।
ছুটি হইতে প্রত্যাবর্তন করানোঃ
ছুটি ভোগরত কোন কর্মচারীকে ছুটির মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে দায়িত্ব পালনের জন্য তলব করা যাইতে পারে এবং তাহাকে অনুরূপভাবে তলব করা হইলে, তিনি যে কর্মস্থলে ফিরিয়া আসিবার জন্য নির্দেশিত হইয়াছেন, উহার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার তারিখ হইতে তাহাকে কর্মরত বলিয়া গণ্য করা হইবে এবং এই এতদুদ্দেশ্যে ভ্রমণের জন্য তিনি ভ্রমণ ভাতা পাইবার অধিকারী হইবেন।
ছুটির নগদায়নঃ-
(১) যে কর্মচারী অবসর ভাতা বা ভবিষ্য তহবিলের সুবিধা গ্রহণের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন নাই, তিনি তাঁহার সম্পূর্ণ চাকুরীকালের জন্য সর্বাধিক ১৮ মাস পর্যন্ত, প্রতি বৎসরে প্রত্যাখাত ছুটির ৫০% ভাগ নগদ টাকায় রূপান্তরিত করার জন্য অনুমতি পাইতে পারেন।
(২) সর্বশেষ মূল বেতনের ভিত্তিতে উপ-প্রবিধান (১) এ উল্লেখিত ছুটি নগদ টাকায় রূপান্তরিত করা যাইবে।
(ছুটি বিধি: ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া,
বিচারপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট)
CrPC তদন্ত সম্পর্কে আলোচনা:
তদন্ত (Investigaion): ১৮৯৮ সালে প্রণীত ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪(ঠ) উপধারা অনুযায়ী কোনো ঘটনার সত্যতা নির্ণয়ের জন্য সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে পুলিশ অফিসার বা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার অথবা অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক পরিচালিত কার্যক্রমকে তদন্ত বলে।[ফৌ:কা: ১৫৬, ১৫৭ ধারা ও পিআরবি ২৫৮/৬১৬ বিধি]
আদালতে মামলা করলে অনেক সময় তদন্ত করতে থানায় পাঠান ।পুলিশ অফিসার তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠালে তা দেখে আদালত মামলার পরর্বতিতে স্টেপ নেন,
১/ পুলিশের তদন্ত আপনি মেনে না নিলে বিজ্ঞ আদালতে নারাজি দরখাস্ত করবেন।
২/ পি বি আই তদন্ত চাইতে পারেন, তাতেও তদন্তে মূলবিষয় উঠে না আসলে,
৩/ জুডিশিয়াল তদন্ত চাইতে পারেন,
আদালত নারাজি দরখাস্ত খারিজ করলে উচ্চ আদালতে আইননুসারে প্রতিকার চাইতে পারেন।
Maruf Hossen Jewel
M.S.S, B.S.S, LL.B, LL.M
Rajshahi Judge Court, Rajshahi.
যদি সাক্ষ্য প্রমানে প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত ব্যক্তি আদালতে বিচারাধীন অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট বা এই অপরাধটি সে সংঘটন করেছে। আদালত তার বিরুদ্ধে এমন ভাবে ব্যবস্থা নিতে পারবেন যেন সে সমন পেয়ে বা গ্রেফতার হয়ে আদালতে উপস্থিত হয়েছে।
ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৫১/২ ধারা অনুযায়ী, বিচার শুরু হবার পর এইরুপ আটক হলে উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কিত কার্যক্রম নতুন ভাবে আরম্ভ করতে হবে এবং সাক্ষীদের বক্তব্য পুনরায় শুনতে হবে।
More Read পরিমাপ সম্পর্কিত তথ্য
হিন্দু উত্তরাধিকার আইন ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে:
১। দায়ভাগ;
২। মিতাক্ষরা; বাংলাদেশ এবং ভারতে দায়ভাগ মতবাদ প্রচলিত আছে।
দায়ভাগ পদ্ধতিতে পিণ্ডদান মতবাদ দিয়ে উত্তররাধিকারী নির্ণয় করা হয়ে থাকে। পিণ্ড অর্থ হল শরীর: মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধের সময় মৃত ব্যক্তির পিণ্ড বা শরীরের সাথে রক্ত সম্পর্কীয় উক্তরাধিকারীগন মৃত ম্যক্তির আত্নার কল্যাণে কোন কিছু উৎসর্গ করলে তাকে পিণ্ডদান বলে।
দায়ভাগ মতবাদ অনুসারে উক্তরাধিকারী ৩ প্রকার:
ক। সপিণ্ড,
খ। সকুল্য ও
গ। সমানোদক।
উক্ত ৫ জন জীবনস্বত্ত্ব জমি ভোগ দখল করতে পারেন কিন্তু হস্থান্তর করতে পারেন না। তাদের মৃত্যুর পর উক্ত সম্পত্তি মৃত ব্যক্তির নামে ন্যস্ত হয়ে পুনরায় নিকটস্থ উত্তরাধিকারীর কাছে চলে যায়। তবে বিধবা স্ত্রী অস্বচ্ছল হলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে জমি বিক্রি করতে পারেন।
প্রপিতামহের উর্ধ্বতন ৩ পুরুষ সকুল্য নামে পরিচিত। সপি-র ৫৩ জনের কেউ বিদ্যমান না থাকলে সকুল্যগন সম্পত্তির উত্তরাধিকার লাভ করে। সকুল্যেও মোট সংখ্যা ৩৩জন সকলেই পুরুষ।
সকুল্যের উর্ধ্বতন ৭ পুরুষকে সমানোদক বলে। সপিণ্ড ও সকুল্যের কেউ বিদ্যমান না থাকলে সমানোদকগন উত্তরাধিকার লাভ করে। সমানোকদের সংখ্যা ১৪৭ । এরা সকলেই পুরুষ। সপিণ্ড, সকুল্য ও সমানোদক এ ৩ শ্রেণীর উত্তরাধিকারদের কেউ না থাকলে ধর্মগুরুর নিকট সম্পত্তি চলে যাবে। ধর্মগুরুও না থাকলে সম্পত্তি রাষ্ট্রের (সরকারের) নিকট চলে যাবে।
১। সপিণ্ড, সকুল্য ও সমানোদক এর মধ্যে ক্রমানুসারে সম্পত্ত্বি বণ্টন করতে হবে।
২। ১ পুত্র থাকলে সে সকল সম্পত্তি পাবে। একাধিক পুত্র থাকলে সমান ভাগ হবে।
৩। নিকটবর্তী পুরুষ থাকলে পরবর্তী পুরুষ সম্পত্তি পাবে না।
৪। বিধবা স্ত্রী এক পুত্রের সমান অংশ জীবন স্বত্ব পাবে। তার মৃত্যুর পর উক্ত সম্পত্তি পুনরায় পুত্রদের নিকট চলে আসবে। একাধিক বিধবা স্ত্রী থাকলে সকলে একত্রে একপুত্রের সমান সম্পত্তি জীবন স্বত্বে পাবে।
৫। বিধবা পুত্র বধু/বিধবা পৌত্র বধূ থাকলে সে এক পুত্রের সমান জীবনস্বত্ব পাবে। অর্থাৎ বিধবা স্ত্রীর সমান অংশ জীবনস্বত্ব পাবে।
৬। পুত্র, পৌত্র, প্রপৌত্র, বিধবা স্ত্রী, বিধবা পুত্র বধূ/বিধবা পৌত্র বধূ/বিধবা প্রপৌত্র বধূ না থাকলে কন্যা উত্তরাধিকারী হবে। ১ম অবিবাহিত কন্যা পাবে। অবিবাহিত কন্যা না থাকলে পুত্রবতি কন্যা পাবে।
৭। কন্যার পর কন্যার পুত্রগণ এরপর পিতা পরবর্তীতে সপিন্ডের ক্রমানুসারে সম্পত্তি পাবে।
Note: হিন্দু আইনে কিভাবে সম্পত্তি বণ্টন করা হয়, সকলের সাথে শেয়ার করে আইনি বিষয়ে জানতে এবং সচেতন হতে সাহায্য করুন।
Note: অপনি যত আেইন জানবেন, ততই নিজেকে শক্তিশালী অনুভব করবেন।
কোন মামলার চার্জশিটে যদি প্রকৃত আসামী যে অপরাধ সংগঠনে অংশ গ্রহন করেছিল সে বাদ যায় তবে তাকে আসামীভুক্ত করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট আপনি নারাজীর পিটিশন দিবেন।
নারাজী অর্থ আমি মানি না।
অর্থাৎ যাদের কে আসামী থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তা আমি মানি না। তাকে আসামী করা হোক।
মনে করেন আপনি কয়েক জনের মাধ্যমে ভিকটিম হয়েছেন এবং তাদের বিরোধ্য মামলাও করেছেন। কিন্তু মামলার তদন্ত রিপোর্টের সময় দেখলেন, অপরাধে সক্রিয় অংশগ্রহন ছিল কিন্তু পুলিশ তাদের চার্জশিট না দিয়ে ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে যে তারা উক্ত অপরাধে জরিত নয়।
তখন আপনি ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট নারাজী পিটিশন দিবেন যেন বাদ যাওয়া আসামীদের অন্তর্ভুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে বিচার করা হয়।
ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ২০০ ধারা আনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেট ফরিয়াদীর জবানবন্দী গ্রহন করে তা ১৯০ ধারা অনুযায়ী আমলে নিবে। অথবা ২০২ ধারা অনুযায়ী অনুসন্ধানের জন্য কোন ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ অফিসার বা অন্য কোন ব্যাক্তির নিকট প্রেরন করবে।
ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ২০০ ধারা আনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেট ফরিয়াদীর জবানবন্দী গ্রহন করে তা ১৯০ ধারা অনুযায়ী আমলে নিবে। অথবা ২০২ ধারা অনুযায়ী অনুসন্ধানের জন্য কোন ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ অফিসার বা অন্য কোন ব্যাক্তির নিকট প্রেরন করবে।
মনে রাখবেন নারাজী পিটিশন একটি নালিশী মামলা ম্যাজিস্ট্রেট তা মামলার মত নিস্পত্তি করবে।
যদি নারাজী পিটিশন অগ্রাহ্য হয় তবে ৪৩৬ ধারা অনুযায়ী দায়রা আদালত বা হাইকোর্ট বিভাগে তদন্ত বা অনুসন্ধানের আবেদন করবে। অথবা নতুন করে উক্ত বিষয়ে নালিশী দরখাস্ত করতে পারবে।
সকলের সাথে শেয়ার করে আইনি বিষয়ে জানতে এবং সচেতন হতে সাহায্য করুন।
অপনি যত আেইন জানবেন, ততই নিজেকে শক্তিশালী অনুভব করবেন।
Note: সকলের সাথে শেয়ার করে আইনি বিষয়ে জানতে এবং সচেতন হতে সাহায্য করুন।
Note: অপনি যত আেইন জানবেন, ততই নিজেকে শক্তিশালী অনুভব করবেন।
ফৌজদারী
এই কার্যবিধির বিধান সম্পর্ক সম্যক জ্ঞান না থাকলে কোন উকিল কিংবা কোন সাধারণ নাগরিক কোন ফৌজদারি মামলা সাফল্যের সঙ্গে রুজু করতে, মামলা চালাতে বা মক্কেলের পক্ষে যথার্থ ভূমিকা পালন করতে পারেন না, এমন কি একজন ম্যাজিস্ট্রেট মামলার বিচারকার্য যথাযথভাবে পরিচালনা এবং এর নিষ্পত্তি করতে পারেন না। একজন ব্যক্তির জানা আবশ্যক যে, কোন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট অভিযোগ পেশ করতে হবে বা মামলা দায়ের করতে হবে অথবা কোন থানায় এজাহার করতে হবে। যে ম্যাজিস্ট্রেট অথবা যে থানার অধিক্ষেত্র বা এলাকায় অপরাধ সংগঠিত হয়েছে সব সময়েই সেই ম্যাজিস্ট্রেট অথবা সেই থানায় অভিযোগ করতে হবে। কোন অভিযোগ গ্রহণের পর ম্যাজিস্ট্রেট ফরিয়াদীর এবং তার উপস্থিত সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন অথবা মামলার তদন্ত করেন এবং মামলাটি বিচারার্থ গ্রহণ করেন অথবা অভিযোগটি খারিজ করে দেন। অপর দিকে একটি অপরাধ সম্বন্ধে এজাহার গ্রহণের পর পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে। ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্তকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দিতে পারেন অথবা পুলিশের প্রতিবেদনের প্রকৃতি অনুযায়ী অভিযুক্তের বিচারার্থ অপরাধটি গ্রহণ করতে পারেন। বিচারার্থ মামলা গ্রহণ করার পর ম্যাজিস্ট্রেটকে সমন বা পরোয়ানা জারির মাধ্যমে অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করার ব্যবস্থা করতে হয়। যেক্ষেত্রে অভিযুক্ত পলাতক থাকে বা ফেরার হয়ে যায় সেক্ষেত্রে তার সম্পত্তি ক্রোক করার নির্দেশ প্রদান করতে হয়। যদি এ ব্যবস্থায়ও অভিযুক্তকে হাজির করা সম্ভব না হয় তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্তের নাম সরকারি গেজেট এবং জাতীয় দৈনিকসমূহে প্রকাশ করে থাকেন। যদি মামলাটি ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচারের যোগ্য হয় তাহলে তিনি এর বিচার করতে পারেন অথবা বিচারের জন্য তার অধীনস্থ অন্য কোন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট প্রেরণ করতে পারেন। যদি মামলাটি দায়রা আদালত কর্তৃক বিচারের যোগ্য হয় তাহলে তিনি মামলাটি বিচারের জন্য দায়রা জজের নিকট প্রেরণ করেন। দায়রা জজ নিজেই মামলার বিচারকার্য পরিচালনা করতে পারেন অথবা মামলাটি বিচারের জন্য তিনি অতিরিক্ত দায়রা জজ অথবা সহকারি দায়রা জজের নিকট প্রেরণ করতে পারেন। ম্যাজিস্ট্রেট অথবা জজ তখন সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণের মাধ্যমে মামলার বিচারকার্য সম্পন্ন করেন এবং অভিযুক্তকে অপরাধী সাব্যস্ত অথবা খালাস দানের রায় প্রদান করেন। অপরাধী সাব্যস্ত একজন আসামী পরবর্তী উচ্চতর আদালতে আপীল করতে পারেন। আপীল আদালত উক্ত মামলার আপীল শুনানি গ্রহণ করেন। খালাসের আদেশের বিরুদ্ধে আপীল অথবা আদালতে পুনর্বিচারের জন্য আবেদন দাখিল করা যায়। একটি ফৌজদারি মকদ্দমা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধিতে বর্ণিত প্রক্রিয়া দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে।
১। যার কাছ থেকে জমি জমি ক্রয় করবেন তার কাছ থেকে :
ক) সি.এস খতিয়ান,
খ) আর.এস খতিয়ান, বি.এস/ সিটি জরীপের খতিয়ান
গ) সর্বশেষ পর্যন্ত যে সকল বেচাকেনা হয়েছে সেগুলোর বায়া দলিল,
ঘ) নামজরী খতিয়ান
ঙ) হাল সনের খাজনার দাখিলাসহ সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্র।
২। এ কাগজগুলো দিয়ে মালিকানা স্বত্ত্ব পরিক্ষা করে দেখতে হবে।
যেমন- সি.এস খতিয়ান, এস.এ খতিয়ান, আর.এস/বি.এস খতিয়ান ও সিটি জরীপের খতিয়ান পাশাপাশি মিলিয়ে দেখতে হবে জেলা, মৌজা, থানা, দাগ নম্বর ইত্যাদি মিলে কিনা।
যদি না মিলে তবে ঐ মৌজার সি.এস নকশা,আর.এস./বি.এস ও ঢাকা সিটি জরীপের নকশা জোগাড় করে তাদের তুলনা করে দেখতে হবে সি.এস দাগ ভেঙে কয়টি আর.এস. দাগ বা সিটি জরীপের দাগ সৃষ্টি হয়েছে এবং সেগুলো কি কি।
এরপর ভূমি রেকর্ড রুম হতে ঐ খতিয়ানগুলোর সই মুহুরী নকল নিয়ে মালিকের নাম নিশ্চিত করতে হবে।
যদি সি.এস খতিয়ানে মালিকের নামের সহিত এস.এ বা আর.এস খতিয়ানের মিল না পাওয়া যায় তবে দেখতে হবে সি.এস এর মালিক জমিটি কি করলেন। তিনি যদি বিক্রি, দান, হেবা, এওয়াজ বা কোনরূপ হস্তান্তর করে থাকেন তবে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে তল্লাশি দিতে হবে এবং হস্তান্তর দলিলের সই মুহুরী নকল বের করতে হবে। একইভাবে পরবর্তী সকল খতিয়ানের মালিকানার ক্ষেত্রে তা পরিক্ষা করতে হবে। কিভাবে হস্তান্তরিত হয়ে রেকর্ড প্রস্তুত হয়েছে।
৩। বিক্রেতার জমিটি তার অন্যান্য শরীকদের সঙ্গে অংশনামা হয়েছে কিনা তা দেখতে হবে। বিক্রেতা যদি বলেন যে আপোষমুলে বণ্টন হয়েছে, কিন্তু না রেজিস্ট্রি হয়নি, তবে ফারায়েজ অনুযায়ী বিক্রেতা যেটুকু অংশের দাবিদার শুধু সেটুকু কিনাই নিরাপদ হবে।
৪। বিক্রেতা যদি তার কিনা জমি বিক্রি করতে চান তবে রেকর্ডীয় মালিক থেকে পরবর্তীতে হস্তান্তরিত সকল বায়া দলিলসমুহে বর্ণিত স্বত্ব ঠিক আছে কিনা তা দেখতে হবে। ঐ দলিলে বর্ণিত খতিয়ান ও দাগ নম্বর বের করে তাও বিশ্লেষন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিস ও ভূমি অফিস থেকে সই মুহুরী নকল নিয়ে তা যাচাই করতে হবে।
৫। যাচাই করতে হবে জমিটি খাস, পরিত্যক্ত, শত্রু সম্পত্তি কিনা বা সরকার কোন কারনে অধিগ্রহণ করেছে কিনা।
৬। জমি বিক্রেতার মালিকানা স্বত্ব বা বিক্রয়ের বৈধ অধিকার আছে কিনা তা দেখতে হবে। অর্থাৎ জমির মালিক নাবালক বা অপ্রকৃতিস্থ কিনা লক্ষ্য রাখতে হবে। নাবালক হলে আদালতের মাধ্যমে অভিভাবক নিযুক্ত করে বিক্রয়ের অনুমতি নিতে হবে।
৭। কিনার আগে সব অংশীদারকে নোটিশ দিতে হবে যাতে পরবর্তীতে অগ্রক্রয়/প্রিয়েমশান মোকদ্দমা হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে।
৮। এবার দেখতে হবে বিক্রেতা ঐ জমির ব্যাপারে কাউকে আমমোক্তার নিযুক্ত করেছেন কিনা, এছাড়া ব্যাংক কিংবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে বন্ধক রেখেছেন কিনা। আর উক্ত জমিটি নিয়ে কোন মাোমলা বিচারাধীন আছে কিনা কিংবা কোন প্রকার মামলা নিস্পত্তি হয়েছে আছে কিনা তা দেখাও বাঞ্ছনীয়।
৯। জমির মালিকানা স্বত্ব সঠিক পাওয়ার পর আপনাকে সি.এস/আর.এস/বি.এস/ঢাকা সিটি জরীপের নকশা নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখতে হবে নকশা অনুযায়ী ঐ জমিটি সেই দাগের কিনা।
১০। এরপর বিক্রয়ের জন্য নির্দিষ্ট জমিটি বর্তমানে কে দখলে আছে, কিনতে গেলে কোন কারনে ভোগ দখলে বাধাগ্রস্থ হবে কিনা কিংবা রাস্তা বা পথাধিকারের কোন বাধা নিষেধ আছে কিনা তাও সরেজমিনে যাচাই করে নিতে হবে।
সবকিছু সঠিক পাওয়া গেলে তারপর রেজিস্ট্রি করার জন্য দলিল প্রস্তুত করতে হবে। দলিল লিখার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক। এখন আগের মতো বর্ণনামূলক দলিল প্রস্তুত করা হয়না। নতুন আইনে ছকাকারে যেভাবে কলামগুলো পূরণ করতে হয় সেগুলোর প্রতিটি কলাম সঠিক জেনে পূরণ করা উচিত। এক্ষেত্রে ভূমি আইন, হেবা আইন, রেজিস্ট্রেশন আইন জানা লোকদের দিয়ে দলিল প্রস্তুত করাই ভালো। দলিল রেজিস্ট্রির সময় রেজিস্ট্রি অফিসের সত্যায়িত এক কপি সহমুহুরী নকল নিজের কাছে রেখে দিন এবং সময়মত মূল দলিল উঠিয়ে নিবেন।
Maruf Hossen Jewel
M.S.S, B.S.S, LL.B, LL.M
Rajshahi Judge Court, Rajshahi.
Hi I'm
I am a construction business owner, part time marketer, and soon to be web developer.
I love the internet, technology, and building beautiful things.
I'm originally from Toronto, Ontario.
My favorite hobby is building things on the internet like ecommerce sites and email marketing campaigns.
My dream job is similar to my current job except I would like to be building software instead of buildings.
I live on a rural acreage, but I'm close to Ottawa and Montreal.
Because programming is awesome and programming for the internet is even more awesome.
যৌতুক নিরোধ আইন সম্পর্কে বিস্তারিত
যৌতুক নিরোধের উপর সর্বপ্রথম আইন তৈরী করা হয় ১৯৮০ সালে।সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নতুন করে যৌতুক নিরোধের উপর আইন তৈরী করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।তাই ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইন বাতিল করে ২০১৮ সালে নতুন করে যৌতুক নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়।যা যৌতুক নিরোধ আইন,২০১৮ নামে অভিহিত হবে।
যৌতুক[ধারা:2(খ)]
এখানে বলা হয়েছে,যৌতুক হল বিবাহের একপক্ষ কর্তৃক অন্য পক্ষের নিকট বৈবাহিক সম্পর্ক স্হাপনের পূর্বশর্ত হিসেবে বিবাহের পণ বাবদ দাবীকৃত অর্থ-সামগ্রী বা অন্য কোন সম্পদ।যৌতুক বিবাহের আগে অথবা বিবাহের সময় অথবা বিবাহের পরেও দাবী করা যেতে পারে।মুসলীম ব্যক্তিগত আইনের ক্ষেত্রে দেনমোহর বা মোহরানা যৌতুক হিসেবে গণ্য হবে না। বিবাহের সময় বিবাহের পক্ষগণের আত্নীয়-স্বজন,বন্ধু-বান্ধব বা শুভাকাঙ্ক্ষী কর্তৃক কোন পক্ষকে প্রদত্ত উপহার-সামগ্রী যৌতুক হিসেবে গণ্য হবে না।
যৌতুক দাবী করার দন্ড[ধারা-৩]
বিবাহের এক পক্ষ আরেক পক্ষের কাছে যৌতুক দাবী করলে, সেটা এই আইনের অধীনে একটি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।এক্ষেত্রে যৌতুক দাবীকারী পক্ষের শাস্তি হবে অনধিক ৫ বছর কিন্তু অন্যূন ১ বছর কারাদন্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয়দন্ড।
যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ করার দন্ড[ধারা-৪]
যদি বিবাহের এক পক্ষ যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ করে অথবা যৌতুক প্রদান বা গ্রহণে সহায়তা করে অথবা যৌতুক প্রদান বা গ্রহণের উদ্দেশ্যে চুক্তি করে,তাহলে সেটা এই আইনের অধীনে একটি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।তার জন্য যৌতুক প্রদান বা গ্রহণকারী ব্যক্তি অনধিক ৫ বছর কিন্তু অন্যূন ১ বছর কারাদন্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয়দন্ডে দন্ডনীয় হবেন।
যৌতুক নিরোধ আইন সম্পর্কে বিস্তারিত |
যৌতুক সংক্রান্ত চুক্তি ফলবিহীন[ধারা-৫]
এখানে বলা হয়েছে, যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ সংক্রান্ত চুক্তি ফলবিহীন(void) হবে।তার মানে যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ নিয়ে কোন চুক্তি হলে সেটা বাতিল বলে গণ্য হবে।এটাকে কোন চুক্তি হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না।
মিথ্যা মামলা দায়েরের দন্ড[ধারা-৬]
যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে এই আইনের অধীনে মিথ্যা মামলা দায়ের করে, তাহলে তিনি অনধিক ৫ বছর কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয়দন্ডে দন্ডিত হবেন।তার মানে আইনানুগ কারণ ছাড়া কারো নামে মামলা করা যাবে না।কারো বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে ন্যায্য কারণ থাকতে হবে।
ছুটি সম্পর্কিত নিয়মাবলি The Prescribed Leave Rules 1959, Fundamental Rules, Bangladesh Service Rules এবং সময়ে সময়ে সরকার কর্তৃক জারিকৃত আদেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। উক্ত বিধিমালা ও বিভিন্ন আদেশের আওতায় নিম্নোক্ত প্রকার ছুটির বিধান রয়েছে।
সরকারি চাকরিজীবীদের বিভিন্ন প্রকারের ছুটি সম্পর্কে বিস্তারিত টিঃ- |
(১) কোন কর্মচারী নিম্নবর্ণিত যে কোন ধরণের ছুটি পা্ইবেন, যথাঃ
(ক) পূর্ণ বেতনে ছুটি;
(খ) অর্ধ বেতনে ছুটি;
(গ) বিনা বেতনে অস্বাধারণ ছুটি (Without Pay Extraordinary Leave);
(ঘ) বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি (Special Disability Leave);
(ঙ) সংগনিরোধ ছুটি (Quarantine Leave);
(চ) প্রসূতি ছুটি (Maternity Leave);
(ছ) অধ্যয়ন ছুটি (Study Leave); এবং
(জ) নৈমিত্তিক ছুটি (Casual Leave) ।
(২) উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কোন কর্মচারীকে বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি ও অধ্যয়ন ছুটি ব্যতীত অন্যবিধ ছুটি মঞ্জুর করিতে পারেন এবং ইহা বন্ধের দিনের সাথে সংযুক্ত করিয়াও প্রদান করা যাইতে পারে।
পূর্ণ বেতনে ছুটিঃ
(১) প্রত্যেক কর্মচারী তৎকর্তৃক দায়িত্ব পালনে অতিবাহিত কার্যদিবসের ১/১১ হারে পূর্ণ বেতনে ছুটি অর্জন করিবেন এবং পূর্ণ বেতনে প্রাপ্য এককালীন ছুটির পরিমাণ চার মাসের অধিক হইবে না।
(২) ………….এর পূর্ব অনুমোদন নিয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি ও অধ্যয়ন ছুটি মঞ্জুর করিতে পারেন।
(৩) অর্জিত ছুটির পরিমাণ চার মাসের অধিক হলে, তাহা ছুটির হিসাবের অন্য খাতে জমা দেখানো হইবে, ইহা হইতে ডাক্তারী সার্টিফিকেট উপস্থাপন সাপেক্ষে অথবা বাংলাদেশের বাইরে ধর্মীয় সফর, অধ্যয়ন বা অবকাশ ও চিত্তবিনোদনের জন্য পূর্ণ বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে।
অর্ধ বেতনে ছুটিঃ
(১) প্রত্যেক কর্মচারী তৎকর্তৃক দায়িত্ব পালনে অতিবাহিত কার্য দিবসের ১/১২ হারে অর্ধ বেতনে অর্জন করিবেন এবং এইরূপ ছুটি জমা হওয়ার কোন সীমা থাকিবে না।
(২) অর্ধ-বেতনে দুই দিনের ছুটির পরিবর্তে, ডাক্তারী সার্টিফিকেট দাখিল সাপেক্ষে, এক দিনের পূর্ণ বেতনে ছুটির হারে গড় বেতনে ছুটিতে সর্বোচ্চ বার মাস পর্যন্ত পূর্ণ বেতনে ছুটিতে রূপান্তরিত করা যাইতে পারে।
প্রাপ্যতাবিহীন ছুটি:
১) ডাক্তারী সার্টিফিকেট দ্বারা সমর্থিত হইলে, কোন কর্মচারীকে তাহার সমগ্র চাকুরী জীবনে সর্বোচ্চ বার মাস পর্যন্ত এবং অন্য কোন কারণে হইলে, তিন মাস পর্যন্ত অর্ধ বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে।
(২) যখন কোন কর্মচারী তাহার ছুটি পাওনা হওয়ার পূর্বেই প্রাপ্যতাবিহীন ছুটি ভোগ করিয়া ফিরিয়া আসেন তখন তিনি পূর্বেই যে ছুটি ভোগ করিয়াছেন সেই ছুটি অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত নূতনভাবে গড় অর্ধ বেতনে কোন ছুটি পাইবার অধিকারী হইবেন না।
অসাধারণ ছুটি:
(১) যখন কোন কর্মচারীর অন্য কোন ছুটি পাওনা না থাকে বা অন্য প্রকার কোন ছুটি পাওনা থাকে অথচ সংশিলষ্ট কর্মচারী লিখিতভাবে অস্বাভাবিক ছুটির জন্য আবেদন করেন তখন তাহাকে অসাধারণ ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে।
(২) অসাধারণ ছুটির মেয়াদ একবারে তিন মাসের অধিক হইবে না, তবে নিম্ন বর্ণিত ক্ষেত্রে উক্ত ছুটির মেয়াদ বর্ধিত করা যাইতে পারে,
(ক) যে ক্ষেত্রে সংশিলষ্ট কর্মচারী এই শর্তে বিদেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণের অনুমতি প্রাপ্ত হন যে, উক্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণের পরে পাঁচ বৎসরের জন্য তিনি …………… এ চাকুরী করিবেন, অথবা
(খ) যে ক্ষেত্রে সংশিলষ্ট কর্মচারী চিকিৎসাধীন থাকেন; অথবা
(গ) যে ক্ষেত্রে …………………. এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কর্মচারী তাহার নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে কর্তব্যে যোগদান করিতে অসমর্থ।
(৩) ছুটি মঞ্জুর করার ক্ষমতা সম্পন্ন কর্তৃপক্ষ কোন কর্মচারীর বিনা ছুটিতে অনুপস্থিতির সময়কে ভূতাপেক্ষ কার্যকরতাসহ অসাধারণ ছুটিতে রূপান্তরিত করিতে পারেন।
বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটিঃ
(১) কোন কর্মচারী তাঁহার যথাযথ কর্তব্য পালনকালে বা উহা পালনের পরিণতিতে অথবা তাঁহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবার কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হইয়া অক্ষম হইলে, ……………..তাঁহাকে বিশেষ অক্ষমতা ছুটি মঞ্জুর করিতে পারে।
(২) যে অক্ষমতার কারণে অক্ষমতাজনিত ছুটি চাওয়া হয় সেই অক্ষমতা তিন মাসের মধ্যে প্রকাশ না পাইলে এবং যে ব্যক্তি অক্ষম হন, সেই ব্যক্তি অনুরূপ অক্ষমতার কারণে অবিলম্বে …………. কে অবহিত না করিলে, বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি মঞ্জুর করা হইবে না।
(৩) যে মেয়াদের জন্য বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি প্রয়োজনীয় বলিয়া চিকিৎসা পরিষদ প্রত্যায়ন করিবে সেই মেয়াদের জন্য বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি মঞ্জুর করা হইবে, এবং চিকিৎসা পরিষদের প্রত্যায়ন ব্যতিরেকে তাহা বর্ধিত করা হইবে না; এবং উক্ত ছুটি কোন ক্রমেই ২৪ মাসের অধিক হইবে না।
(৪) বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি অন্য যে কোন ছুটির সংগে সংযুক্ত করা যাইতে পারে।
(৫) যদি একই ধরণের অবস্থায় পরবর্তীকালে কোন সময় অক্ষমতা বৃদ্ধি পায় বা উহার পুনরাবৃত্তি ঘটে, তাহা হইলে একাধিকবার বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে, তবে অনুরূপ ছুটির পরিমাণ ২৪ মাসের অধিক হইবে না এবং তাহা যে কোন একটি অক্ষমতার কারণে মঞ্জুর করা যাইবে।
(৬) শুধুমাত্র আনুতোষিকের এবং যে ক্ষেত্রে অবসর ভাতা প্রাপ্য হয় সেক্ষেত্রে অবসর ভাতার ব্যাপারে চাকুরী হিসাব করিবার সময় বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি কর্তব্য পালনের সময় হিসাবে গণনা করা হইবে এবং ইহা ছুটির হিসাব হইতে বিয়োজন করা হইবে না।
(৭) বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটিকালীন বেতন হইবে নিম্নরূপ যথাঃ¾
(ক) উপরিউক্ত উপ-প্রবিধান (৫) এর অধীনে মঞ্জুরকৃত ছুটির মেয়াদসহ যে কোন মেয়াদের ছুটির প্রথম চার মাসের জন্য পূর্ণ বেতন; এবং
(খ) এইরূপ কোন ছুটির অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য অর্ধ বেতন।
(৮) এই প্রবিধানের অন্যান্য বিধানসমূহের প্রযোজ্যতা এমন কর্মচারীর ক্ষেত্রেও সম্প্রসারিত করা যাইতে পারে যিনি তাহার যথাযথ কর্তব্য পালনকালে বা উহা পালনের পরিণতিতে অথবা তাঁহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবার কারণে, দুর্ঘটনাবশতঃ আঘাতপ্রাপ্ত হইয়াছেন অথবা যিনি নির্দিষ্ট কোন কর্তব্য পালনকালে তাঁহার পদের স্বাভাবিক ঝুকি বহির্ভূত অসুস্থতা বা জখম বাড়াইয়া তোলার সম্ভাবনা থাকে এইরূপ অসুস্থতার দরচণ অক্ষম হইয়াছেন।
সঙ্গ নিরোধ ছুটি (Quarantine Leave)
সঙ্গ নিরোধ ছুটি সম্পর্কে বি, এস, আর -১৯৬ এর নিম্নরূপঃ
(১) কোন কর্মচারীর পরিবারে বা গৃহে সংক্রামক ব্যাধি থাকার কারণে যদি আদেশ দ্বারা তাহাকে অফিসে উপস্থিত না হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় তবে সেই সময়কাল হইবে সঙ্গনিরোধ ছুটি।
(২) অফিস প্রধান কোন চিকিৎসক কর্মকর্তা বা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তার সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে অনুর্ধ ২১ দিন অথবা বিশেষ অবস্থায় ৩০ দিন পর্যন্ত সঙ্গনিরোধ ছুটি মঞ্জুর করিতে পারিবেন।
(৩) সংগরোধের জন্য প্রয়োজনীয় উপ-প্রবিধান (২) এ উল্লেখিত মেয়াদের অতিরিক্ত ছুটি প্রয়োজন হইলে এই অতিরিক্ত ছুটি সাধারণ ছুটি হিসাবে গণ্য হইবে।
(৪) এই প্রবিধানমালা অনুযায়ী প্রাপ্য সর্বাধিক ছুটি সাপেক্ষে, প্রয়োজন হইলে অন্যবিধ ছুটির সহিত সংগরোধ ছুটিও মঞ্জুর করা যাইতে পারে।
(৫) সংগরোধ ছুটিতে থাকাকালে কোন কর্মচারীকে তাহার দায়িত্ব পালনে অনুপস্থিত বলিয়া গণ্য করা হইবে না এবং এই সময়ে উক্ত পদে অন্য কোন লোক নিয়োগ করা যাইবে না। ইহাছাড়া, উক্ত ছুটি ভোগকালে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী স্বাভাবিক নিয়মানুসারে বেতন ভাতাদি পাইবেন।
(৬) এই প্রকার ছুটির মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ অফিস প্রধান।
বিশ্লেষণঃ ১) কলেরা, গুটি বসন্ত, প্লেগ, টাইফয়েড জ্বর এবং সেরিব্রোস্পাইনাল মেনেনজস্ট্যাটিস রোগের ক্ষেত্রে এই প্রকার ছুটি প্রদান করা যাইবে (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং জনস্বাস্থ্য/১ কিউ-৪/৩৪২, তারিখ: ২৩ এপ্রিল, ১৯৭৫)।
বিশ্লেষণঃ ২) এই প্রকার ছুটি “ ছুটি হিসাব ” হইতে বিয়োগ হয় না এবং নৈমিত্তিক ছুটির অনুরূপভাবে ছুটির হিসাবের জন্য এই প্রকার ছুটিকালকে কর্মকাল হিসাবে গণ্য করা হয়।
প্রসূতি (মাতৃত্ব) ছুটি সংক্রান্ত বিধি বিধান
বি এস আর -১৯৭, এফ আর-১০১ এবং এস আর (এফ আর)-২৬৭, ২৬৮
ক) গর্ভবতী হওয়ার পর কোন মহিলা কর্মচারী প্রসূতি ছুটির জন্য আবেদন করিলে, বিধি-১৪৯ অথবা বিধি-১৫০ তে বর্ণিত কর্তৃপক্ষ ছুটি আরম্ভের তারিখ অথবা সন্তান প্রসবের উদ্দেশ্যে আতুর ঘরে আবদ্ধ হওয়ার তারিখ, ইহার মধ্যে যাহা পূর্বে ঘটিবে, ঐ তারিখ হইতেই ৬ (ছয়) মাসের ছুটি মঞ্জুর করিতে হইবে। তবে উক্ত ছুটি আরম্ভের তারিখ সন্তান প্রসবের উদ্দেশ্যে আতুর ঘরে আবদ্ধ হওয়ার তারিখের পরবর্তী কোন তারিখ হইতে পারিবে না। অর্থাৎ ছুটি আরম্ভের সর্বশেষ তারিখ হইবে সন্তান প্রসবের তারিখ। উল্লেখ্য গর্ভবতী হওয়ার স্বপক্ষে ডাক্তারী সার্টিফিকেটসহ আবেদন করা হইলে প্রসূতি ছুটির আবেদন না মঞ্জুর করার কিংবা ছয় মাস অপেক্ষা কম সময়ের জন্য ছুটি মঞ্জুর করার কিংবা ছুটি আরম্ভের তারিখ পরিবর্তন করিবার ক্ষমতা ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষের নাই। বি এস আর - ১৯৭ (১)
খ) গেজেটেড কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে সরকার অথবা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং নন-গেজেটেড কর্মচারীদের ক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অথবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তকর্তা এই ছুটি মঞ্জুরীর জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত। অর্থাৎ উভয় ক্ষেত্রেই অর্জিত ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ প্রসূতি ছুটি মঞ্জুরীর জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত। বি এস আর - ১৯৭ (১), ১৪৯ ও ১৫০
গ) সমগ্র চাকরি জীবনে প্রসূতি ছুটি দুইবারের বেশি প্রাপ্য নয়। বি এস এর- ১৯৭ (১)
ঘ) প্রসূতি ছুটি “ছুটি হিসাব” হইতে বিয়োগ হইবে না। অর্থাৎ প্রসূতি ছুটির জন্য ছুটি অর্জন করিতে হইবে না এবং পাওনা ছুটি হইতে প্রসূতি ছুটিকাল বাদ যাইবে না। বি এস এর- ১৯৭ (১বি)
ঙ) ছুটি ভোগকালে ছুটিতে যাওয়ার প্রাক্কালে প্রাপ্র বেতনের হারে পূর্ণ বেতন প্রাপ্য। বি এস এর- ১৯৭ (১)
চ) ডাক্তারী সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে গড় বেতনে অর্জিত ছুটিসহ যে কোন প্রকার ছুটির আবেদন করিলে প্রসূতি ছুটির ধারাবাহিকতাক্রমে উক্ত প্রকার ছুটি মঞ্জুর করা যাইবে। এফ আর এর এস আর -২৬৮ এবং বি এস আর-১৯৭(২)
ছ) অস্থায়ী সরকারি কর্মচারীও প্রসূতি ছুটি প্রাপ্য। এফ আর এর এস আর -২৬৭ এর সরকারি সিদ্ধান্ত
বিশ্লেষণ: এসআরও নং ৮৪/নথি নং- ০৭.০০.০০০০.১৭১.০৮.০০১.১২/আইন/২০১২, তারিখ: ১ এপ্রিল ২০১২ দ্বারা সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখে চাকরির মেয়াদ নয় মাস পূর্ণ হয় নাই, এইরূপ অস্থায়ী কর্মচারীওক প্রসূতি ছুটি প্রদান না করা সংক্রান্ত বি এস এর, পার্ট-১ এর বিধি ১৯৭ এর নোট বিলুপ্ত করায় চাকরির মেয়াদ নির্বিশেষে সকল অস্থায়ী কর্মচারীগণও প্রসূতি ছুটি পাইবেন।
জ) মহিলা শিক্ষানবীশ (Lady Apprentices) এবং পার্ট-টাইম মহিলা ল’অফিসারও প্রসূতি ছুটি প্রাপ্য। এফ আর এর এস আর-২৬৭ এর সরকারি সিদ্ধান্ত।
বিশ্লেষণঃ ১) ডাক্তার কাউকে গর্ভবতী ঘোষনা করে সার্টিফিকেট প্রদান করলে সেই সার্টিফিকেটসহ প্রসূতি ছুটির আবেদন করলে কারো সাধ্য নেই ছুটি না মঞ্জুর করার। আর এটা সমগ্র চাকরি জীবনে ২ (দুই) বার পাওয়া যাবে।
বিশ্লেষণঃ ২) সন্তান প্রসবের দিন হতে অথবা তার আগের যেকোন দিন হতে ৬ (ছয়) মাস ছুটির জন্য আবেদন করা যাবে।
বিশ্লেষণঃ ৩) ছুটিতে থাকাকালীন সময়ে প্রসূতি মাতা পূর্ণ বেতন পাইবেন।
বিশ্লেষণঃ ৪) এই ছুটির সাথে অন্য ছুটি নেওয়া যাবে সেক্ষেত্রে একদিনের জন্য কর্মে যোগদান করে আবার ছুটি নেয়ার মতো কোন ফালতু বিষয় নেই।
বিশ্লেষণঃ ৫) সরকারি কর্মচারী চাকরি যোগদান করার পরদিন থেকেও এই ছুটি ভোগ করতে পারবেন। আগে এটা ছিল চাকরি ৯ (নয়) মাস পূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে। আইনটি যারা তৈরি করেছিলেন তারা হয়তো ভেবেছিলেন চাকরিতে যোগদানের পরই সরকারি চাকরিজীবি মহিলাদের বিয়ে হয় আর ৯ মাস পর বাচ্চা প্রসব হয়।
বিশ্লেষণঃ ৬) ৬ (ছয়) মাস মানে ৬ (ছয়) মাস। এটা ১৮০ দিনও হতে পারে আবার কম বেশিও্ হতে পারে। এটা নিয়ে রশি টানাটানি করতে করতে বাচ্চা প্রসব হয়ে গেলে দায় কে নিবে আমি জানিনা।
অপ-ব্যাখ্যাঃ ১) কোন এক উর্ধতন কর্তৃপক্ষ তার মহিলা কর্মচারিকে ২য় মাতৃত্ব ছুটি মঞ্জুর করবেন না বলে মত দিয়েছেন। ব্যাখ্যা হিসেবে বলেছেন ঐ মহিলা ইতোমধ্যেই দুই সন্তারের জননী যদিও প্রথম বাচ্চা চাকরিতে যোগদানের পূর্বেই জন্মগ্রহণ করেছে। আমার বড় ইচ্ছে হয় সেই কর্তাব্যক্তিটিকে দেখার।
অবসর গ্রহণের জন্য প্রস্ত্ততিমূলক ছুটি (বিলোপ):
(১) কোন কর্মচারী ছয় মাস পর্যন্ত পূর্ণ বেতনে এবং আরও ছয় মাস অর্ধ বেতনে অবসর গ্রহণের জন্য প্রস্ত্ততিমূলক ছুটি পাইবেন এবং এইরূপ ছুটির মেয়াদ তাহার অবসর গ্রহণের তারিখ অতিক্রম করার পরেও সম্প্রসারিত করা যাইতে পারে, কিন্তু আটান্ন বৎসরের বয়স-সীমা অতিক্রমের পর উহা সম্প্রসারণ করা যাইবে না।
(২) কোন কর্মচারী তাহার অবসর গ্রহণের তারিখের কমপক্ষে একমাস পূর্বে অবসর গ্রহণের প্রস্ত্ততিমূলক ছুটির জন্য আবেদন না করিলে তাহার পাওনা ছুটি অবসর গ্রহণের তারিখের পর তামাদি হইয়া যাইবে।
(৩) কোন কর্মচারী তাহার অবসর গ্রহণের তারিখের কমপক্ষে একদিন পূর্বে অবসর গ্রহণের জন্য প্রস্ত্ততিমূলক ছুটিতে যাইবেন।
অধ্যয়ন ছুটিঃ
(১) …………….এ তাহার চাকুরীর জন্য সহায়ক এইরূপ বৈজ্ঞানিক, কারিগরি বা অনুরূপ সমস্যাদি অধ্যয়ন অথবা বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ গ্রহণের জন্য কোন কর্মচারীকে ………… অর্ধ বেতনে অনধিক বার মাস অধ্যয়নের জন্য ছুটি মঞ্জুর করিতে পারেন, যাহা তাহার ছুটির হিসাব হইতে বাদ দেওয়া হইবে না।
(২) যে ক্ষেত্রে কোন কর্মচারীকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোন অধ্যয়ন ছুটি মঞ্জুর করা হয় এবং তিনি পরবর্তীকালে দেখিতে পান যে, মঞ্জুরীকৃত ছুটির মেয়াদ তাহার শিক্ষা কোর্স ও পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় মেয়াদ অপেক্ষা কম, সে ক্ষেত্রে সময়ের স্বল্পতা পূরণকল্পে …………. তাহাকে অনধিক এক বৎসরের জন্য উক্ত অধ্যয়ন ছুটির মেয়াদ বর্ধিত করিতে পারিবেন।
(৩) পূর্ণ বেতনে বা অর্ধ বেতনে ছুটি বা বিনা বেতনে অসাধারণ ছুটির সহিত একত্রে অধ্যয়ন ছুটি মঞ্জুর করা যাইতে পারে, তবে এইরূপ মঞ্জুরকৃত ছুটি কোনক্রমেই একত্রে মোট দুই বৎসরের অধিক হইবে না।
নৈমিত্তিক ছুটিঃ
সরকার সময়ে সময়ে উহার কর্মচারীদের জন্য প্রতি পঞ্জিকা বৎসরে মোট যতদিন নৈমিত্তিক ছুটি নির্ধারণ করিবেন কর্মচারীগণ মোট ততদিন নৈমিত্তিক ছুটি পাইবেন।
ছুটির পদ্ধতিঃ-
(১) প্রত্যেক কর্মচারীর ছুটির হিসাব…………কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ম ও পদ্ধতিতে রক্ষণাবেক্ষণ করা হইবে।
(২) ছুটির জন্য সকল আবেদন ……………কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে হইতে হইবে।
(৩) আবেদনকারী কর্মচারী যে কর্মকর্তার অধীনে কর্মরত আছেন তাহার সুপারিশক্রমে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ছুটি মঞ্জুর করিতে পারেন।
(৪) বিশেষ পরিস্থিতিতে, কোন কর্মকর্তা যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, তাহার অধীনে কর্মরত কোন কর্মচারীর ছুটি পাওনা রহিয়াছে, তবে তিনি আনুষ্ঠানিক মঞ্জুরী আদেশ সাপেক্ষে, তাহাকে অনুর্ধ ১৫ দিনের জন্য ছুটিতে যাইবার অনুমতি দিতে পারেন।
ছুটিকালীন বেতন:
(১) কোন কর্মচারী পূর্ণ বেতনে ছুটিতে থাকাকালে উক্ত ছুটি আরম্ভের পূর্বে তিনি সর্বশেষ যে বেতন পাইয়াছেন সেই বেতনের সমান হারে ছুটিকালীন বেতন পাইবার অধিকারী হইবেন।
(২) কোন কর্মচারী অর্ধ বেতনে ছুটিতে থাকাকালে উক্ত ছুটি আরম্ভের পূর্বে তিনি সর্বশেষ যে বেতন পাইয়াছেন সেই বেতনের অর্ধ হারে ছুটিকালীন বেতন পাইবার অধিকারী হইবেন।
ছুটি হইতে প্রত্যাবর্তন করানোঃ
ছুটি ভোগরত কোন কর্মচারীকে ছুটির মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে দায়িত্ব পালনের জন্য তলব করা যাইতে পারে এবং তাহাকে অনুরূপভাবে তলব করা হইলে, তিনি যে কর্মস্থলে ফিরিয়া আসিবার জন্য নির্দেশিত হইয়াছেন, উহার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার তারিখ হইতে তাহাকে কর্মরত বলিয়া গণ্য করা হইবে এবং এই এতদুদ্দেশ্যে ভ্রমণের জন্য তিনি ভ্রমণ ভাতা পাইবার অধিকারী হইবেন।
ছুটির নগদায়নঃ-
(১) যে কর্মচারী অবসর ভাতা বা ভবিষ্য তহবিলের সুবিধা গ্রহণের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন নাই, তিনি তাঁহার সম্পূর্ণ চাকুরীকালের জন্য সর্বাধিক ১৮ মাস পর্যন্ত, প্রতি বৎসরে প্রত্যাখাত ছুটির ৫০% ভাগ নগদ টাকায় রূপান্তরিত করার জন্য অনুমতি পাইতে পারেন।
(২) সর্বশেষ মূল বেতনের ভিত্তিতে উপ-প্রবিধান (১) এ উল্লেখিত ছুটি নগদ টাকায় রূপান্তরিত করা যাইবে।
(ছুটি বিধি: ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া,
বিচারপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট)
CrPC তদন্ত সম্পর্কে আলোচনা:
তদন্ত (Investigaion): ১৮৯৮ সালে প্রণীত ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪(ঠ) উপধারা অনুযায়ী কোনো ঘটনার সত্যতা নির্ণয়ের জন্য সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে পুলিশ অফিসার বা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার অথবা অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক পরিচালিত কার্যক্রমকে তদন্ত বলে।[ফৌ:কা: ১৫৬, ১৫৭ ধারা ও পিআরবি ২৫৮/৬১৬ বিধি]
আদালতে মামলা করলে অনেক সময় তদন্ত করতে থানায় পাঠান ।পুলিশ অফিসার তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠালে তা দেখে আদালত মামলার পরর্বতিতে স্টেপ নেন,
১/ পুলিশের তদন্ত আপনি মেনে না নিলে বিজ্ঞ আদালতে নারাজি দরখাস্ত করবেন।
২/ পি বি আই তদন্ত চাইতে পারেন, তাতেও তদন্তে মূলবিষয় উঠে না আসলে,
৩/ জুডিশিয়াল তদন্ত চাইতে পারেন,
আদালত নারাজি দরখাস্ত খারিজ করলে উচ্চ আদালতে আইননুসারে প্রতিকার চাইতে পারেন।
Maruf Hossen Jewel
M.S.S, B.S.S, LL.B, LL.M
Rajshahi Judge Court, Rajshahi.
যদি সাক্ষ্য প্রমানে প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত ব্যক্তি আদালতে বিচারাধীন অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট বা এই অপরাধটি সে সংঘটন করেছে। আদালত তার বিরুদ্ধে এমন ভাবে ব্যবস্থা নিতে পারবেন যেন সে সমন পেয়ে বা গ্রেফতার হয়ে আদালতে উপস্থিত হয়েছে।
ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৫১/২ ধারা অনুযায়ী, বিচার শুরু হবার পর এইরুপ আটক হলে উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কিত কার্যক্রম নতুন ভাবে আরম্ভ করতে হবে এবং সাক্ষীদের বক্তব্য পুনরায় শুনতে হবে।
More Read পরিমাপ সম্পর্কিত তথ্য
হিন্দু উত্তরাধিকার আইন ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে:
১। দায়ভাগ;
২। মিতাক্ষরা; বাংলাদেশ এবং ভারতে দায়ভাগ মতবাদ প্রচলিত আছে।
দায়ভাগ পদ্ধতিতে পিণ্ডদান মতবাদ দিয়ে উত্তররাধিকারী নির্ণয় করা হয়ে থাকে। পিণ্ড অর্থ হল শরীর: মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধের সময় মৃত ব্যক্তির পিণ্ড বা শরীরের সাথে রক্ত সম্পর্কীয় উক্তরাধিকারীগন মৃত ম্যক্তির আত্নার কল্যাণে কোন কিছু উৎসর্গ করলে তাকে পিণ্ডদান বলে।
দায়ভাগ মতবাদ অনুসারে উক্তরাধিকারী ৩ প্রকার:
ক। সপিণ্ড,
খ। সকুল্য ও
গ। সমানোদক।
উক্ত ৫ জন জীবনস্বত্ত্ব জমি ভোগ দখল করতে পারেন কিন্তু হস্থান্তর করতে পারেন না। তাদের মৃত্যুর পর উক্ত সম্পত্তি মৃত ব্যক্তির নামে ন্যস্ত হয়ে পুনরায় নিকটস্থ উত্তরাধিকারীর কাছে চলে যায়। তবে বিধবা স্ত্রী অস্বচ্ছল হলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে জমি বিক্রি করতে পারেন।
প্রপিতামহের উর্ধ্বতন ৩ পুরুষ সকুল্য নামে পরিচিত। সপি-র ৫৩ জনের কেউ বিদ্যমান না থাকলে সকুল্যগন সম্পত্তির উত্তরাধিকার লাভ করে। সকুল্যেও মোট সংখ্যা ৩৩জন সকলেই পুরুষ।
সকুল্যের উর্ধ্বতন ৭ পুরুষকে সমানোদক বলে। সপিণ্ড ও সকুল্যের কেউ বিদ্যমান না থাকলে সমানোদকগন উত্তরাধিকার লাভ করে। সমানোকদের সংখ্যা ১৪৭ । এরা সকলেই পুরুষ। সপিণ্ড, সকুল্য ও সমানোদক এ ৩ শ্রেণীর উত্তরাধিকারদের কেউ না থাকলে ধর্মগুরুর নিকট সম্পত্তি চলে যাবে। ধর্মগুরুও না থাকলে সম্পত্তি রাষ্ট্রের (সরকারের) নিকট চলে যাবে।
১। সপিণ্ড, সকুল্য ও সমানোদক এর মধ্যে ক্রমানুসারে সম্পত্ত্বি বণ্টন করতে হবে।
২। ১ পুত্র থাকলে সে সকল সম্পত্তি পাবে। একাধিক পুত্র থাকলে সমান ভাগ হবে।
৩। নিকটবর্তী পুরুষ থাকলে পরবর্তী পুরুষ সম্পত্তি পাবে না।
৪। বিধবা স্ত্রী এক পুত্রের সমান অংশ জীবন স্বত্ব পাবে। তার মৃত্যুর পর উক্ত সম্পত্তি পুনরায় পুত্রদের নিকট চলে আসবে। একাধিক বিধবা স্ত্রী থাকলে সকলে একত্রে একপুত্রের সমান সম্পত্তি জীবন স্বত্বে পাবে।
৫। বিধবা পুত্র বধু/বিধবা পৌত্র বধূ থাকলে সে এক পুত্রের সমান জীবনস্বত্ব পাবে। অর্থাৎ বিধবা স্ত্রীর সমান অংশ জীবনস্বত্ব পাবে।
৬। পুত্র, পৌত্র, প্রপৌত্র, বিধবা স্ত্রী, বিধবা পুত্র বধূ/বিধবা পৌত্র বধূ/বিধবা প্রপৌত্র বধূ না থাকলে কন্যা উত্তরাধিকারী হবে। ১ম অবিবাহিত কন্যা পাবে। অবিবাহিত কন্যা না থাকলে পুত্রবতি কন্যা পাবে।
৭। কন্যার পর কন্যার পুত্রগণ এরপর পিতা পরবর্তীতে সপিন্ডের ক্রমানুসারে সম্পত্তি পাবে।
Note: হিন্দু আইনে কিভাবে সম্পত্তি বণ্টন করা হয়, সকলের সাথে শেয়ার করে আইনি বিষয়ে জানতে এবং সচেতন হতে সাহায্য করুন।
Note: অপনি যত আেইন জানবেন, ততই নিজেকে শক্তিশালী অনুভব করবেন।
কোন মামলার চার্জশিটে যদি প্রকৃত আসামী যে অপরাধ সংগঠনে অংশ গ্রহন করেছিল সে বাদ যায় তবে তাকে আসামীভুক্ত করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট আপনি নারাজীর পিটিশন দিবেন।
নারাজী অর্থ আমি মানি না।
অর্থাৎ যাদের কে আসামী থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তা আমি মানি না। তাকে আসামী করা হোক।
মনে করেন আপনি কয়েক জনের মাধ্যমে ভিকটিম হয়েছেন এবং তাদের বিরোধ্য মামলাও করেছেন। কিন্তু মামলার তদন্ত রিপোর্টের সময় দেখলেন, অপরাধে সক্রিয় অংশগ্রহন ছিল কিন্তু পুলিশ তাদের চার্জশিট না দিয়ে ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে যে তারা উক্ত অপরাধে জরিত নয়।
তখন আপনি ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট নারাজী পিটিশন দিবেন যেন বাদ যাওয়া আসামীদের অন্তর্ভুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে বিচার করা হয়।
ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ২০০ ধারা আনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেট ফরিয়াদীর জবানবন্দী গ্রহন করে তা ১৯০ ধারা অনুযায়ী আমলে নিবে। অথবা ২০২ ধারা অনুযায়ী অনুসন্ধানের জন্য কোন ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ অফিসার বা অন্য কোন ব্যাক্তির নিকট প্রেরন করবে।
ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ২০০ ধারা আনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেট ফরিয়াদীর জবানবন্দী গ্রহন করে তা ১৯০ ধারা অনুযায়ী আমলে নিবে। অথবা ২০২ ধারা অনুযায়ী অনুসন্ধানের জন্য কোন ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ অফিসার বা অন্য কোন ব্যাক্তির নিকট প্রেরন করবে।
মনে রাখবেন নারাজী পিটিশন একটি নালিশী মামলা ম্যাজিস্ট্রেট তা মামলার মত নিস্পত্তি করবে।
যদি নারাজী পিটিশন অগ্রাহ্য হয় তবে ৪৩৬ ধারা অনুযায়ী দায়রা আদালত বা হাইকোর্ট বিভাগে তদন্ত বা অনুসন্ধানের আবেদন করবে। অথবা নতুন করে উক্ত বিষয়ে নালিশী দরখাস্ত করতে পারবে।
সকলের সাথে শেয়ার করে আইনি বিষয়ে জানতে এবং সচেতন হতে সাহায্য করুন।
অপনি যত আেইন জানবেন, ততই নিজেকে শক্তিশালী অনুভব করবেন।
Note: সকলের সাথে শেয়ার করে আইনি বিষয়ে জানতে এবং সচেতন হতে সাহায্য করুন।
Note: অপনি যত আেইন জানবেন, ততই নিজেকে শক্তিশালী অনুভব করবেন।
ফৌজদারী
এই কার্যবিধির বিধান সম্পর্ক সম্যক জ্ঞান না থাকলে কোন উকিল কিংবা কোন সাধারণ নাগরিক কোন ফৌজদারি মামলা সাফল্যের সঙ্গে রুজু করতে, মামলা চালাতে বা মক্কেলের পক্ষে যথার্থ ভূমিকা পালন করতে পারেন না, এমন কি একজন ম্যাজিস্ট্রেট মামলার বিচারকার্য যথাযথভাবে পরিচালনা এবং এর নিষ্পত্তি করতে পারেন না। একজন ব্যক্তির জানা আবশ্যক যে, কোন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট অভিযোগ পেশ করতে হবে বা মামলা দায়ের করতে হবে অথবা কোন থানায় এজাহার করতে হবে। যে ম্যাজিস্ট্রেট অথবা যে থানার অধিক্ষেত্র বা এলাকায় অপরাধ সংগঠিত হয়েছে সব সময়েই সেই ম্যাজিস্ট্রেট অথবা সেই থানায় অভিযোগ করতে হবে। কোন অভিযোগ গ্রহণের পর ম্যাজিস্ট্রেট ফরিয়াদীর এবং তার উপস্থিত সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন অথবা মামলার তদন্ত করেন এবং মামলাটি বিচারার্থ গ্রহণ করেন অথবা অভিযোগটি খারিজ করে দেন। অপর দিকে একটি অপরাধ সম্বন্ধে এজাহার গ্রহণের পর পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে। ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্তকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দিতে পারেন অথবা পুলিশের প্রতিবেদনের প্রকৃতি অনুযায়ী অভিযুক্তের বিচারার্থ অপরাধটি গ্রহণ করতে পারেন। বিচারার্থ মামলা গ্রহণ করার পর ম্যাজিস্ট্রেটকে সমন বা পরোয়ানা জারির মাধ্যমে অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করার ব্যবস্থা করতে হয়। যেক্ষেত্রে অভিযুক্ত পলাতক থাকে বা ফেরার হয়ে যায় সেক্ষেত্রে তার সম্পত্তি ক্রোক করার নির্দেশ প্রদান করতে হয়। যদি এ ব্যবস্থায়ও অভিযুক্তকে হাজির করা সম্ভব না হয় তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্তের নাম সরকারি গেজেট এবং জাতীয় দৈনিকসমূহে প্রকাশ করে থাকেন। যদি মামলাটি ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচারের যোগ্য হয় তাহলে তিনি এর বিচার করতে পারেন অথবা বিচারের জন্য তার অধীনস্থ অন্য কোন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট প্রেরণ করতে পারেন। যদি মামলাটি দায়রা আদালত কর্তৃক বিচারের যোগ্য হয় তাহলে তিনি মামলাটি বিচারের জন্য দায়রা জজের নিকট প্রেরণ করেন। দায়রা জজ নিজেই মামলার বিচারকার্য পরিচালনা করতে পারেন অথবা মামলাটি বিচারের জন্য তিনি অতিরিক্ত দায়রা জজ অথবা সহকারি দায়রা জজের নিকট প্রেরণ করতে পারেন। ম্যাজিস্ট্রেট অথবা জজ তখন সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণের মাধ্যমে মামলার বিচারকার্য সম্পন্ন করেন এবং অভিযুক্তকে অপরাধী সাব্যস্ত অথবা খালাস দানের রায় প্রদান করেন। অপরাধী সাব্যস্ত একজন আসামী পরবর্তী উচ্চতর আদালতে আপীল করতে পারেন। আপীল আদালত উক্ত মামলার আপীল শুনানি গ্রহণ করেন। খালাসের আদেশের বিরুদ্ধে আপীল অথবা আদালতে পুনর্বিচারের জন্য আবেদন দাখিল করা যায়। একটি ফৌজদারি মকদ্দমা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধিতে বর্ণিত প্রক্রিয়া দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে।
১। যার কাছ থেকে জমি জমি ক্রয় করবেন তার কাছ থেকে :
ক) সি.এস খতিয়ান,
খ) আর.এস খতিয়ান, বি.এস/ সিটি জরীপের খতিয়ান
গ) সর্বশেষ পর্যন্ত যে সকল বেচাকেনা হয়েছে সেগুলোর বায়া দলিল,
ঘ) নামজরী খতিয়ান
ঙ) হাল সনের খাজনার দাখিলাসহ সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্র।
২। এ কাগজগুলো দিয়ে মালিকানা স্বত্ত্ব পরিক্ষা করে দেখতে হবে।
যেমন- সি.এস খতিয়ান, এস.এ খতিয়ান, আর.এস/বি.এস খতিয়ান ও সিটি জরীপের খতিয়ান পাশাপাশি মিলিয়ে দেখতে হবে জেলা, মৌজা, থানা, দাগ নম্বর ইত্যাদি মিলে কিনা।
যদি না মিলে তবে ঐ মৌজার সি.এস নকশা,আর.এস./বি.এস ও ঢাকা সিটি জরীপের নকশা জোগাড় করে তাদের তুলনা করে দেখতে হবে সি.এস দাগ ভেঙে কয়টি আর.এস. দাগ বা সিটি জরীপের দাগ সৃষ্টি হয়েছে এবং সেগুলো কি কি।
এরপর ভূমি রেকর্ড রুম হতে ঐ খতিয়ানগুলোর সই মুহুরী নকল নিয়ে মালিকের নাম নিশ্চিত করতে হবে।
যদি সি.এস খতিয়ানে মালিকের নামের সহিত এস.এ বা আর.এস খতিয়ানের মিল না পাওয়া যায় তবে দেখতে হবে সি.এস এর মালিক জমিটি কি করলেন। তিনি যদি বিক্রি, দান, হেবা, এওয়াজ বা কোনরূপ হস্তান্তর করে থাকেন তবে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে তল্লাশি দিতে হবে এবং হস্তান্তর দলিলের সই মুহুরী নকল বের করতে হবে। একইভাবে পরবর্তী সকল খতিয়ানের মালিকানার ক্ষেত্রে তা পরিক্ষা করতে হবে। কিভাবে হস্তান্তরিত হয়ে রেকর্ড প্রস্তুত হয়েছে।
৩। বিক্রেতার জমিটি তার অন্যান্য শরীকদের সঙ্গে অংশনামা হয়েছে কিনা তা দেখতে হবে। বিক্রেতা যদি বলেন যে আপোষমুলে বণ্টন হয়েছে, কিন্তু না রেজিস্ট্রি হয়নি, তবে ফারায়েজ অনুযায়ী বিক্রেতা যেটুকু অংশের দাবিদার শুধু সেটুকু কিনাই নিরাপদ হবে।
৪। বিক্রেতা যদি তার কিনা জমি বিক্রি করতে চান তবে রেকর্ডীয় মালিক থেকে পরবর্তীতে হস্তান্তরিত সকল বায়া দলিলসমুহে বর্ণিত স্বত্ব ঠিক আছে কিনা তা দেখতে হবে। ঐ দলিলে বর্ণিত খতিয়ান ও দাগ নম্বর বের করে তাও বিশ্লেষন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিস ও ভূমি অফিস থেকে সই মুহুরী নকল নিয়ে তা যাচাই করতে হবে।
৫। যাচাই করতে হবে জমিটি খাস, পরিত্যক্ত, শত্রু সম্পত্তি কিনা বা সরকার কোন কারনে অধিগ্রহণ করেছে কিনা।
৬। জমি বিক্রেতার মালিকানা স্বত্ব বা বিক্রয়ের বৈধ অধিকার আছে কিনা তা দেখতে হবে। অর্থাৎ জমির মালিক নাবালক বা অপ্রকৃতিস্থ কিনা লক্ষ্য রাখতে হবে। নাবালক হলে আদালতের মাধ্যমে অভিভাবক নিযুক্ত করে বিক্রয়ের অনুমতি নিতে হবে।
৭। কিনার আগে সব অংশীদারকে নোটিশ দিতে হবে যাতে পরবর্তীতে অগ্রক্রয়/প্রিয়েমশান মোকদ্দমা হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে।
৮। এবার দেখতে হবে বিক্রেতা ঐ জমির ব্যাপারে কাউকে আমমোক্তার নিযুক্ত করেছেন কিনা, এছাড়া ব্যাংক কিংবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে বন্ধক রেখেছেন কিনা। আর উক্ত জমিটি নিয়ে কোন মাোমলা বিচারাধীন আছে কিনা কিংবা কোন প্রকার মামলা নিস্পত্তি হয়েছে আছে কিনা তা দেখাও বাঞ্ছনীয়।
৯। জমির মালিকানা স্বত্ব সঠিক পাওয়ার পর আপনাকে সি.এস/আর.এস/বি.এস/ঢাকা সিটি জরীপের নকশা নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখতে হবে নকশা অনুযায়ী ঐ জমিটি সেই দাগের কিনা।
১০। এরপর বিক্রয়ের জন্য নির্দিষ্ট জমিটি বর্তমানে কে দখলে আছে, কিনতে গেলে কোন কারনে ভোগ দখলে বাধাগ্রস্থ হবে কিনা কিংবা রাস্তা বা পথাধিকারের কোন বাধা নিষেধ আছে কিনা তাও সরেজমিনে যাচাই করে নিতে হবে।
সবকিছু সঠিক পাওয়া গেলে তারপর রেজিস্ট্রি করার জন্য দলিল প্রস্তুত করতে হবে। দলিল লিখার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক। এখন আগের মতো বর্ণনামূলক দলিল প্রস্তুত করা হয়না। নতুন আইনে ছকাকারে যেভাবে কলামগুলো পূরণ করতে হয় সেগুলোর প্রতিটি কলাম সঠিক জেনে পূরণ করা উচিত। এক্ষেত্রে ভূমি আইন, হেবা আইন, রেজিস্ট্রেশন আইন জানা লোকদের দিয়ে দলিল প্রস্তুত করাই ভালো। দলিল রেজিস্ট্রির সময় রেজিস্ট্রি অফিসের সত্যায়িত এক কপি সহমুহুরী নকল নিজের কাছে রেখে দিন এবং সময়মত মূল দলিল উঠিয়ে নিবেন।
Maruf Hossen Jewel
M.S.S, B.S.S, LL.B, LL.M
Rajshahi Judge Court, Rajshahi.